পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

একেবারে সত্যি কথা। মাস্টারি করে আমাদের মানুষ করা যেখানে আমার আব্বার লক্ষ্য, সেখানে সাবেদ সেখের লক্ষ্য বছর বছর জমি কেনা। এই তো, গত বছর আমার বড়ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি করতে প্রচুর টাকা লেগেছে। ওই টাকা জোগাড় করতে আব্বাকে আমাদের মরিচডাঙার আড়াই বিঘার দাগটা বিক্রি করতে হয়েছিল। মরিচডাঙার সেই আড়াই বিঘা জমির মালিক এখন সাবেদ সেখ। স্বভাবতই সাবেদ সেখের ওরকম কথা বলা সাজে। আব্বা কিংবা আমরা তার ওই সব কথা নিয়ে ভাবি না।

Read more


লড়াই করে লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গ রুখে দিয়েছিল, ৭১'এর যুদ্ধে ভাই বলে ওপার বাংলার মানুষকে এপার বাংলায় ঠাঁই দিয়েছিল, যে বাঙালির বুকে আজও টাইগার হিলের সূর্যোদয়ের আলো, তারা পাহাড়, ডুয়ার্স, মল্ল রাজাদের ভূম আলাদা করতে দেবে? বঙ্গভঙ্গ ছেলেখেলা নয়। ১৯০৫ সালে হাতে রাখি পরে রাস্তায় নেমে বাঙালি গেয়ে উঠেছিল "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।" সেই ঐতিহ্য, সেই পরম্পরা আমাদের উত্তরাধিকার। বঙ্গভঙ্গের প্রশ্ন উঠলে আমরা আবার রাখি পড়ব, রাস্তায় নামব, গণ আন্দোলন হবে।বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের উচিত অবিলম্বে সর্বভারতীয় নেতাদের হাতে একটি করে বাংলার ইতিহাস ও ভূগোলের বই ধরিয়ে দেওয়া।

Read more


লকডাউনে গরিব খেটেখাওয়া মানুষের সর্বনাশ হয়েছে, হাতে ভাতে ও মারিতে মরেছে। কাজ খুইয়েছে লাখে লাখে। অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে রাস্তায় হেঁটেছে, রেল লাইনে ট্রেনের তলায় চাপা পড়েছে। ধনী ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা ক্রমাগত ফুলে ফেপে আরো বড়লোক হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে দারিদ্র বেড়েছে, বেড়েছে বেকারি। লকডাউনে কি কোভিডে মৃত্যু কমেছে? মনে তো হয় না। এই মৃত্যুর মধ্যে অনেকটাই লকডাউনের বাইপ্রোডাক্ট। অনাহারের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাবার জন্য মারির প্রকোপ যতদিন জারি থাকবে ততদিন মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিতে হবে। অন্তত তিন মাস ৫০০০ টাকা প্রত্যেকের ব্যাংকের খাতায় দিতে হবে। এনরেগায় ২০০ দিনের কাজ দিতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য শহরে সস্তা ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে।

Read more


আমাদের ছেলে মেয়েরা যদি প্রশ্ন করে এই অন্য পৃথিবী নিয়ে, যদি জানতে চায় কেন আমরা তাদের জানতে দিইনি তাদের সহ নাগরিকদের কথা তখন কী উত্তর দেব? আমরা তো আমাদের সুবিধাবাদ দিয়ে জামলোকে মরে যেতে দিয়েছি, রামপুকার পণ্ডিতের বুকফাটা কান্না আমাদের নাড়া দেয়নি, বিহারশরিফের একরত্তি বাচ্চার মৃত মায়ের মুখ আমরা ভুলে মেরে দিয়েছি। এই প্রজন্ম তবু জানুক তাদের হারিয়ে যাওয়া সহ নাগরিকদের, ভাবুক, তৈরি হোক তাদের বাবা মায়েদের ক্রিমিনাল নীরবতা, অপারগতার গ্লানি কিছুটা লাঘব করতে। কারণ “the sky is still blue. Roads are still long. People are still walking”.

Read more


জোব বলল, " এককালে ছিল। সরকার‌ই সে সব অক্ষর পরিচয় ও অংকের ব‌ই ছেপেছিল। পরে সে সব ব‌ই ফুরিয়ে যাবার পর আর ছাপেনি। মহাকরণে পাঁচ-সাত বছর ধরে যাতায়াতের পরে‌ও কোনো সুবিধে করতে পারেনি। তারপর ব‌ইয়ের আশা ছেড়ে দিয়ে শ্রুতি আর স্মৃতির উপর বত্রিশটি রাত-পাঠশাল চলছে।"

Read more


নরেন্দ্র মোদি সাহেব ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এক বছর যেতে না যেতেই এক বছরের মাথায় তিনি স্লোগান দিলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়া”!। শ্লোগানটি রূপায়ণের জন্য তিনি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সুহৃদ, শ্রী অনিল আম্বানি মহাশয় মার্চ ৫, ২০১৫ এক “ব্রেন-স্টর্মিং” অধিবেশনে মিলিত হয়ে কীভাবে “মেক-ইন-ইন্ডিয়া” পরিচালিত করা যায়, তা নিয়ে মাথা খুঁড়তে বসেন। জ্যোতিষ মতে তখন আম্বানির শনির দশা – সিবিআই আম্বানির কোম্পানির বিরুদ্ধে টুজি স্পেক্ট্রাম কেলেঙ্কারিতে সরকারি চাকুরেদের ঘুষ দিয়ে অন্যায্য সুবিধা আদায়ের অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণও মিলেছে, আম্বানির কোম্পানিও ঋণ-খেলাপি মামলায় জর্জরিত।

Read more


বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ধারণার সঙ্গে স্বচ্ছল ভদ্রবিত্ত দ্রুত মানিয়ে নিচ্ছে। বন্ধু আত্মীয়ের বাড়ির নেমন্তন্নে পাত পেড়ে খাওয়াবার রীতি কোন যুগে শুরু হয়েছিল কেউ জানেনা। কিন্তু আমি অন্তত দুই ঘনিষ্ঠ স্বচ্ছল আত্মীয়র বাড়ির নেমন্তন্নে এপ কোম্পানির আনানো খাবার গিলতে বাধ্য হয়েছি। স্বচ্ছল বাঙালি গৃহস্থ খাবারদাবারের নানান সামাজিক প্রথা খুব তাড়াতাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। বড় মিডিয়া বলে ভারতের নানান শহরের তুলনায় কলকাতার ভদ্রবিত্তর রেস্তোঁরায় যাওয়ার প্রবণতা তুলনামূলক বেশি।

Read more


পাখিদের কনসার্ট , নিষ্পাপ ভোর , বেহালার সুরের মতো অস্তরাগ , পূর্ণিমায় নেমে এসে গল্প করে চাঁদ , অমবস্যা রাতে জ্যোতিষ্কদের মেলা , দারুণ ৷ খুব সুখেই ছিল তিনজন আত্মা , ইদানিং সেই সুখ নিজ নিজ কারণে অসুখের গভীরে তলিয়ে যেতে বসেছে ৷

Read more


আমরা বাজারে যাই খালি হাতে। সঙ্গে থলে রাখি না। মাছ-মাংস, সবজি আর যা যা দরকার কিনে আনি প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগে। জিনিসপত্র বাড়ি পৌঁছলেই সেই ক্যারি ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলি বাইরে। বাইরে বাতাস। ক্যারি ব্যাগ বাতাসে উড়ে বেড়ায়। শেষপর্যন্ত তা পশুপক্ষীর গলায় তো বটেই আমাদেরও গলার ফাঁস হয় কিংবা পেটে গিয়ে জমা হয় মৃত্যুর কারণ হিসেবে। আমরা তার হিসেব রাখি না। এত কিছুর পরেও আমরা বাঁচতে চাই। ঘোড়া হাসবে না তো কী! ঘোড়া হাসছে, আমরা কাঁদছি ...

Read more


মুরগী, চিংড়িচাষ, কাটাপোনা – সবইতো এখনই কোম্পানি চাষের আওতায়। দিব্যি তো চলছে। মুরগী, ডিমের দাম কমেছে কত – সস্তায় প্রোটিন পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে -এ কথাও শোনা যাচ্ছে আকাশে বাতাসে। কিন্তু সেই মাছের ডেডবডি, হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক সমৃদ্ধ মুরগীর খাদ্যগুণের কথা আর নাই বা তুললাম। কোম্পানি এসেছে মুনাফা করতে – তার দোষ দেখিনা। কিন্তু রাশি রাশি শহুরে মানুষ এই সাব স্ট্যান্ডার্ড খাবারের পিছনে দৌড়চ্ছেন – আর রাশি রাশি গ্রামের মানুষও চাট্টি দেশী হাঁস মুরগী পুঁটিমাছ পোষার বদলে বাজার থেকে কুখাদ্য কিনে খাচ্ছেন – আর ১১৫ টা দেশের মধ্যে বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ১০২ নম্বর জায়গা দখল করে আমরা এখনও কোম্পানির গুন গাইছি –

Read more


শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ আয়োজিত একটি আলোচনা চক্রে।তখন কাশীশ্বরী কলেজে সবে যোগ দিয়েছি।তাঁর ‘বাবরের প্রার্থনা' প্রকাশিত। কবিতাটা মনে হচ্ছে যেন আমাদের জন্যই লেখা-আমরা যারা সন্তানকে ঘিরে আশঙ্কা আর সংশয় এর মধ্যেই থাকি। কবিতার প্রথম অংশ - ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও/ আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক- তখন সবার মুখে মুখে ফেরে।কিন্তু পরের অংশে কবি যখন বলেন- পাথর করে দাও আমাকে নিশ্চল/ আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক- তৎক্ষণাৎ মনে পড়ে যায় বিভূতিভূষণের গল্প 'মেঘমল্লার'-এর সেই যুবকের কথা।সেই প্রদ্যুম্ন-যে আত্মবিস্মৃতা দেবী সরস্বতীকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য শিল্প সংস্কৃতি চর্চার সুস্থ পরিবেশ আবারো পৃথিবী কে উপহার দেওয়ার জন্য নিজেকে পাথর করে ফেলেছিল।

Read more


শিবনাথ মালাকার গ্রামের মাতব্বর। প্রভূত ধন সম্পত্তি, সেই সুবাদে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বিধানসভা তপশীলি সমষ্টি হয়ে গেলেই নাকি শাসক দলের ক্যান্ডিডেট এমন কানাঘুষো। শিবনাথ কাকুর সঙ্গে পল্লবদের পরিবারের একটা অম্লমধুর সম্পর্ক অনেকদিন থেকেই। রক্তারক্তির একটা শিশুকাণ্ড ঘটেছিল বাবার বালক বয়সে। যদিও সেসব চুকে বুকে গেছিল শৈশবেই। সম্পন্ন দুই কৃষক পরিবারের ছেলেরা বন্ধুই ছিল, কিন্তু পিসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না শিবনাথ কাকার। শিবনাথ মালাকারের বাড়াভাতে ছাই দিয়ে যে বিয়ে করে ফেলল আপিকে।

Read more


২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ভারত সরকার সড়ক উন্নয়ন পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে “টট” মডেল গ্রহণ করে। এই “টট” কথাটি আসলে এসেছে ইউরোপ থেকে, যেখানে এই মডেল চলছে দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী “পুনর্গঠন”-এর পর থেকেই। মার্কিন দেশের দেওয়া “পুনর্গঠন”-এর ঋণ শোধের এটি একটি পরিচিত পদ্ধতি হয়ে ওঠে। এই মডেল অনুসারে, মহাসড়ক বা হাইওয়ে-র যানবাহন চলাচলের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে, সেই টাকায় রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ সহ অন্যান্য খরচা চালানোসহ রাস্তা তৈরির খরচা তোলা হবে। সেই খরচা উঠে গেলে এই ট্যাক্সও আর নেওয়া হবে না।

Read more


লাক্ষা সাগরে মালাবার উপকূলে ভারতের কেন্দ্রশাশিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ। প্রাকৃতিক রূপ-ঐশর্য্যময় ভূমি এই প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ। সেই আকর্ষণে এখানে ভ্রমণ-পিপাসু মানুষের যাতায়াত। লাক্ষাদ্বীপ সম্পর্কে এর বেশি বিশেষ কিছু আমরা অনেকেই জানি না। জানলেও বোধহয় আমাদের অভ্যাসের দৃষ্টিতে দ্বীপবাসীদের ঠিক বুঝতে পারি না। তবু জানা যাক। বোঝাবুঝি যা-ই হোক, জানা ভীষণ দরকার। লাক্ষাদ্বীপ এখন বর্গিহানার শিকার। লাক্ষাদ্বীপবাসী সাহায্যপ্রার্থী। এদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি।

Read more


আধার, পরিচয়পত্র, আরোগ্য সেতু বা কো উইনের মতো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ফাঁদে ফেলে সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আসলে তাদের কাছে প্রতিষেধক রয়েছে সীমিত এবং সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রকে প্রাধান্য দিয়ে চলেছে। সেটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্যই এত সব আয়োজন। যখন যে কোনও ইচ্ছুক ব্যক্তিকে যে কোনও জায়গায় প্রতিষেধক দেওয়াটা জরুরী, তখন তাঁরা নানান টালবাহানা করছে। যখন জরুরী পালস পোলিওর মতো, প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই প্রতিষেধক দেওয়া তখন সরকার কেন এই তথ্য চাইছে, বা এই সব নিয়ে প্রতিদিন নিত্য নতুন নিয়ম চালু করছে, তা কি ভেবে দেখার সময় হয়নি?

Read more


বাঙালির প্রধান খাদ্যদ্রব্য চালের অভাব দেখা দেওয়ায় ভাতের জন্য সারা বাংলায় হাহাকার পড়ে যায়। গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে দুর্ভিক্ষ। পথে-প্রান্তরে লুটিয়ে পড়তে থাকে না খাওয়া মানুষের দল। এখানে-ওখানে পড়ে থাকতে দেখা যায় হাড্ডিসার লাশের সারি। ওই সময় জরুরি খাদ্য সরবরাহের জন্য চার্চিলের কাছে আবেদন করেও বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে ভারতের তৎকালীন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে তখন বুভুক্ষু হাজার হাজার মানুষ একমুঠো অন্নের আশায় স্রোতের মতো ছুটে আসছে কলকাতার দিকে। দেখা গেছে, ওইসব অভাগা মানুষেরা দলে দলে পথের ওপর পড়ে হয় ধুঁকছে না হয় আবর্জনার পাশে উচ্ছিষ্টে ভাগ বসাতে একে অপরের সঙ্গে লড়ছে। পাশাপাশি ওই একই সময়ে ব্রিটিশ কর্মকর্তা এবং তাদের তোষামুদে অবস্থাপন্ন ভারতীয় লোকজন বাড়িতে বসে ভূরিভোজ করছে।

Read more