কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য সর্বপ্রথম ছ বা ছো নাচের পরিবর্তে ছৌ নামে অভিহিত করেন এবং বিদেশে এই নাচের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার পরে এই নাচ ছৌ নাচ নামে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। সুধীর কুমার করণ, 'সীমান্ত বাংলার লোকযান' বইতে বলেছেন, "ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য মহাশয়ও ছৌ নামকরণের পক্ষে কোন যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
বাঙালি সমাজে কয়েক'শ বছর ধরে কালো পুরুষটিকে অসুর-মহিষাসুর যা অশুভ শক্তি, এই রূপেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, অসুর জাতির অস্তিত্ব সিন্ধু-হরপ্পা ইত্যাদি প্রাচীন সভ্যতায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে এঁদের দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল প্রভৃতি দেশগুলোতে ভালো পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় প্রভৃতি জায়গার পাহাড়, পর্বত, বনাঞ্চল জুড়ে অসুর জাতির লোকেরা বসবাস করেন।
আজকের দিনে সোনাম ওয়াংচুক শুধু এক বন্দি নন, তিনি এক পরীক্ষার নাম। পরীক্ষাটা রাষ্ট্রেরও—কীভাবে আইন প্রয়োগ করবে। পরীক্ষাটা জনগণেরও—কীভাবে নিজেদের কণ্ঠস্বর রক্ষা করবে। বরফ জমছে, জল গোপনে গান গাইছে। একদিন সেই গান পাহাড় ছাপিয়ে সমতলেও পৌঁছাবে। তাই বরফে আটকে থাকা সোনাম ওয়াংচুকের কন্ঠস্বরকে আজ আটকে রাখা গেলেও, বেশীদিন কিন্তু তা পারা যাবে না।
বিহারে নির্বাচন তালিকার যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন হয়েছে তার থেকে নির্বাচন কমিশনের মনভাব স্পষ্ট হতে আর বাকি কিছু নেই। পরিস্কারই বোঝা যায় তাদের মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া। বিহার দিয়ে শুরু হলেও এই প্রক্রিয়া চলবে গোটা দেশ জুড়ে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ওড়িশ্যার কথা বলা হচ্ছে। বিহারের মানুষ প্রতিরোধে সামিল হচ্ছে, পালা আসছে আমাদেরও, বুঝে ও যুঝে নেওয়ার। এখন বাংলা সহ আরও ১২টি রাজ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাই এই বিষয়টা সবার ভালো করে জানা উচিৎ।
প্রকৃতি পরিবেশের দূষণ নিয়ে ভাবনা? সে তো অযুত যোজন দূরে! তাই নিজেরা সচেতন হয়ে বাজির ব্যবহার বন্ধ না করলে, আইনি, বেআইনি, সবরকম ভাবেই বাজি তৈরি চলতেই থাকবে। চালু থাকবে সব দিক থেকে প্রাণঘাতী এই ‘শিল্প’। চলতেই থাকবে মানুষ সহ সমগ্র প্রাণের বিপর্যয়। সরকার ও নীতি নির্ধারকরা যখন উদাসীন থাকে, তখন নিজেদের ভালোমন্দ নাগরিককেই বুঝে নিতে হয়।
নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি জয়টা নিশ্চিত করতে পেরেই ঝাঁপি খুলে দিল এসআইআর। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনীর নামে বেছে বেছে দলিত, সংখ্যালঘু, মূলনিবাসী, গরিব মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নাও। এ শুধু বিহারেই থেমে থাকবে না, সব রাজ্যে হবে। পুরোনো ভোটার তালিকাকে খারিজ করে নতুন ভোটার তালিকা বানানোর প্রস্তুতিপর্ব। স্বৈরাচারী-গণতন্ত্রকে আশ্রয় করে এসআইআর গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে।
এই খাস কলকাতার বাংলাভাষী সুশীল সমাজের একাংশ যখন বাঙালির একাংশকে অবলীলায় বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করতে পারেন, কেউ চোখে আঙুল দিয়ে তাঁদের এই ভ্রান্তির কথা ধরিয়ে দেওয়ার পরও তাঁদের কোনো আত্মসমীক্ষা যখন দেখা যায় না, শিয়ালদায় কারমাইকেল হস্টেলে বাঙালি ছাত্রদের নির্যাতনকারী হিন্দি-উর্দুভাষীদের কাছে আমরা আর কীই বা আশা করতে পারি!
ভোর পাঁচটায় এসওএস। অবজারভেটরির ফোন, ডক্টর গুরুমূর্তি, হার্ট এটাক সিরিয়াস, কাম কুইক। ওসি মুরুগাপ্পা সবে প্রাণায়াম শেষ করে শবাসনে শয়ান।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ ষষ্ঠ অধ্যায়- “রক্তপাতহীন” বিপ্লব।
আচার্য ত্রিগুণা সেন স্মারক বক্তৃতায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান হীরেন মুখার্জি এক জায়গায় বলছেন,“….নিজের বিশ্বাস, নিজের মতবাদ থেকে কখনো তাঁকে বিচ্যুত হতে দেখা যায়নি।এ লোকটি তো অসম্ভব লোক।” এরকম অসম্ভব মানুষেরাই পারে অতি মূল্যবান ‘না’ শব্দটি উচ্চারণ করতে। সেটা একটা চর্চার বিষয়।
আচার্য ত্রিগুণা সেন স্মারক বক্তৃতায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান হীরেন মুখার্জি এক জায়গায় বলছেন,“….নিজের বিশ্বাস, নিজের মতবাদ থেকে কখনো তাঁকে বিচ্যুত হতে দেখা যায়নি।এ লোকটি তো অসম্ভব লোক।” এরকম অসম্ভব মানুষেরাই পারে অতি মূল্যবান ‘না’ শব্দটি উচ্চারণ করতে। সেটা একটা চর্চার বিষয়।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ ষষ্ঠ অধ্যায়- “রক্তপাতহীন” বিপ্লব।
এই সরকার গত ১১ বছরে আসলে প্রতিটি নাগরিককে একলা করে দিয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে তাঁর নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত রেখেছে, যে তিনি অন্য কিছু নিয়ে ভাবতেই যাতে না পারেন তার ব্যবস্থা করেছে। কখনো আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সংযোগ, কখনো ফোনের বা রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযোগ করানোর নিদান দেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি নাগরিককে উদ্বেগে রেখেছে। ভোটার তালিকায় যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী চলছে তাতেও বহু মানুষ উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই সাম্প্রতিক রিজেন্ট পার্ক থানার আত্মহত্যার ঘটনা।
বাবা যেদিন ফোন করে জানালো অপার বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা, সেইদিন থেকে অপার জামাইবাবুর মারাত্মক মন খারপ। শালীর মালিকানা বদল হয়ে যাবে; তার থেকেও বড় কথা শ্বশুরবাড়ির যত্ন আত্তি সব এবার থেকে পাবে নতুন জামাই।
বাংলা ভাষা ও বাঙালিয়ানা আজকে আক্রান্ত হচ্ছে নানাভাবে; তার প্রতিরোধ গড়ে তোলার নানা উপায়ের মধ্যে একটা উপায় অবশ্যই বাংলা, বাঙালিয়ানা এবং বাংলা ভাষার গভীরতর চর্চা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষায়, "বাঙলাকে বুদ্ধিপূর্বক জানা"। অথচ আমাদের নগরকেন্দ্রিক যে ভাবনা চিন্তার বা বিদ্যা চর্চার ধারা সেখানে বাংলার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সংস্কৃতির কথা উঠে আসে না সেভাবে। কৃষি নির্ভর যে গ্রামীণ সংস্কৃতি, বিশেষত গোটা বাংলার যে নারী সংস্কৃতি, তাঁদের যে নিজস্ব সৃজন তা এতদিন পর্যন্ত খুব বেশি আলোচিত হয়নি। অথচ কী অসাধারণ মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্ববীক্ষা তার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় । আজ, 'পানি' শব্দ নিয়ে তর্কের কোন প্রয়োজনই হতো না কেননা উভয় বাংলার নানা সম্প্রদায়ের মায়েরা বৃষ্টি নামানোর গানে এ শব্দ ব্যবহার করেছেন যুগে যুগে-- "ওলো মেঘারানি, শাক ধুই ধুই ফেলা পানি"। 'পানি' শব্দের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা লাগানোর চেষ্টা, আমাদের মূর্খতা, অজ্ঞতার ফল।
বাংলা ভাষায় পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, ফরাসী কিম্বা ইংরেজি প্রভাবের বিরুদ্ধে কিন্তু এঁদের বিপুল বিরোধ ছিলো না। ছিল সেই বাংলার বিরুদ্ধে যাতে তথাকথিত মুসলমানী মিশেল আছে। অর্থাৎ একথা বলা চলে যে আসলে মুসলমানী বাংলা ও হিন্দু বাংলা তৈরীর কাজটাতে এঁরা অগ্রপথিক। তারপরে নানা ঘাট দিয়ে নানা জল বয়েছে। এই বাংলায় আজও বাংলা সরকারি কাজের মাধ্যম হতে পারেনি পরের পর শাসকদের অনিচ্ছায় এবং ব্যর্থতায়।