পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি অসুররা বছরের দুবার অসুর পুজো করেন -একবার ফাল্গুন মাসে, আরেকবার দশেরার সময় ৷কোচবিহার জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত শুকানুকুটি " অসুর গ্ৰাম " বলে পরিচিত৷ পুরুলিয়া ভেলাগড়া গ্ৰামে নবমীর দিন পালন হয় " অসুর উৎসব"৷ এখানে অসুরের বড় মূর্তি নির্মাণ করে স্মরণ সভা চলে ৷ এরপর ঝুমুর, ছৌ, কাঠি নাচের অনুষ্ঠান৷ ছৌ নাচেও উঠে আসে অসুরবধের আখ্যান৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি অঞ্চলের কেন্দাশোল গ্রামে ও ঝাড়খন্ড এবং উত্তরাখন্ডের সীমান্তের আলিপুরদুয়ারা জেলার মাঝেরডাবরি এলাকার একটি গ্রাম ‘অসুর গ্রাম’-এ অসুরদের পূজা করা হয়৷
উচ্চবর্ণ-জমিদারশ্রেণির ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্ব সমাজ প্রতিষ্ঠার সাংস্কৃতিক সংগঠন আর.এস.এস, তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্যে দুটি দিক স্পষ্ট করে; এক, ব্রিটিশের ভারত ছেড়ে যাওয়ার বিরোধিতা; দুই, ভারতকে উচ্চবর্ণ-বিত্তবানশ্রেণির জাতি রাষ্ট্র, ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এই কারণেই আগে থাকতে 'অকাল বোধন'-এ বিদেশি আর্যদের দেবতা রামচন্দ্র ও দেবী দুর্গার এদেশীয় অসুর জাতি, আদিবাসী বা অনার্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পরের দিনটি, বিজয়ের দশমীকে আর.এস.এস-এর প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সোনাম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁর খোঁজ অবধি পাওয়া যাচ্ছে না, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তাঁকে নিয়ে হিবিয়াস করপাস মামলা অবধি হয়েছে। বড় পর্দায় তো সোনাম ওয়াংচুক আমাদের সবার পছন্দের মানুষ তাহলে সত্যিকারের জীবনে যখন তিনি লড়ছেন, তাঁর পাশে, তাঁর মুক্তির দাবীতে আমরা সরব হবো না কেন ?
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সৌভাগ্যই বলতে হবে, হিন্দু ধর্ম নিয়ে আজীবন অনেক কুসংস্কার চর্চা, দৃশ্যত অনেক বাড়াবাড়ি করা সত্ত্বেও তিনি যে মনের গভীরে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ছিলেন না, জঙ্গি হিন্দু মৌলবাদীদের অস্ত্রাঘাতে নৃশংস মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণ করার সুযোগ পেলেন। ভারতের প্রথম পঞ্জীকৃত (হিন্দু) জঙ্গি নাথুরাম গদসের বন্দুক মোহনদাসকে শুধুই মারেনি, তাঁর সম্মানকে বাঁচিয়েও দিয়েছে।
মিলি বসে থাকবে। অনেকক্ষণ। এভাবেই। সন্ধ্যে হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। মিলির শীত করছে হাল্কা। বাবা বিছানায় ছোট্ট কম্বলটা রেখে দিয়েছে? মিলি তো চুপচাপ কম্বলের মধ্যে সেঁধিয়ে যাবে। রিক এসে কম্বলটা সরিয়ে দেবে। হাততালি দিয়ে হাসবে। তারপর মিলির কানটা দু’বার, তিনবার টেনে দিয়ে দৌড়বে। ও, দৌঁড়ানোর আগে মিলির মাথায় একটা খাবলা মেরে যাবে। মিলি আগে দৌড়াত ওর পেছনে।
সুপারি পেয়েছিলাম। পেমেন্ট হয়ে গেছিল। গলিটা আলো আঁধারি। মাগরীবের নমাজ সেরে ফিরছিল মালটা। আমি তাক করে ছিলাম অনেকক্ষণ। ফেজটুপি খুলে ফতুয়ার পকেটে ভরে গলিতে খানিকটা এগোতেই বড় বড় পা ফেলে ওর পিছনে পৌঁছে যাই। শর্ট রেঞ্জের পিস্তলটা আজ অবধি কোনোদিনও ফেল করেনি। তিনবার চালিয়েছিলাম। একটা খেয়েই পড়ে গেছিল, কিন্তু শিওর হওয়া দরকার ছিল। তাই বাকি দুটোও পরপর। মালটা টু শব্দ করেনি, তবু পড়ে যাবার শব্দে আর গুলির আওয়াজে হৈহৈ করে দলবল দৌড়ে এল।
এত দিন অবধি কেতাব আলি শরীরে তেমন কোনও সমস্যা টের পায়নি। তে-রাস্তার ধারে তার মুদি দোকান ভালো চলেছে। দুই মেয়ের ভিতর ফরজানার বিয়ে নিয়ে কিছু দিন উদ্বেগ ছিল। ফরজানা গ্রাজুয়েট না হয়ে বিয়ে করবে না। শেষ পর্যন্ত সে ঝামেলাও মিটে গেছে। বিয়ে পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্র ফরজানার পাত্র পাওয়া গেছে আর ফরজানা তাতে আর আপত্তি করেনি। ফলে কেতাব আলি আর তার বউ সালমা এখন অনেক ঝাড়া হাত-পা। চাপ নেই, দেনা-বাকি নেই।
বাড়ি থেকে আমার স্কুল খুব বেশি দূরে নয়, সাইকেল চড়ে মাত্র মিনিট দশেকের পথ। অথচ আজ স্কুল যাব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দশ মিনিট নয়, আরও আরও অনেক মিনিট পেরিয়ে আমি যে কোথায় চলেছি তা আমার নিজেরই অজানা। আমি দেখছি একটা প্রশ্বস্ত পাকা সড়ক। সেই সড়কে হরেক কিসিমের প্রচুর বাইক, মোটরগাড়ি, বাস, লরি। দু-পাশে সারি সারি গাছ নয়, তার জায়গায় সব একই গড়নের বহুতল আকাশ ঢেকে দাঁড়িয়ে আছে।
লালকেল্লা, তাজমহল, নিজামউদ্দিন আউলিয়া আজও সংঘের তথাকথিত সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক। তাই আজ সুলতানি ও মুঘল যুগকে মুছে ফেলার এত তৎপরতা। কৌশলটা হল ব্রিটিশ বিরোধী গৌরবময় স্বাধীনতার লড়াইটাকে মুছে ফেলে, মানুষকে সংশয়াকুল করে তোলা এবং এক প্রাচীন, কষ্টকল্পিত সনাতন ভারতের ছবি প্রতিষ্ঠা করা। কাজটা কঠিন কিন্তু সংঘ প্রকল্পিত হিন্দু রাষ্ট্রের জন্য জরুরি বটে।
এই চরে এত রাতে “ মারা গেল! মারা গেল!”, বলে কে চিল্লায়? দু’বার চিল্লেই চিল্লানোটা হাওয়া হয়ে যায়। এখন চর আবার চুপ। মকদুম মৌলভী খানিক তাজ্জব বনে যায়। এখানে কারো কিছু হলে “ আগগে মা’গে মইরা গ্যাল্লো রে!” বলেই বিলাপের রীতি। ‘বিলাপ’ শব্দটাও এখানে মকদুম ছাড়া কেউ জানে বলে মকদুমের মনে হয় না।
এই চরে এত রাতে “ মারা গেল! মারা গেল!”, বলে কে চিল্লায়? দু’বার চিল্লেই চিল্লানোটা হাওয়া হয়ে যায়। এখন চর আবার চুপ। মকদুম মৌলভী খানিক তাজ্জব বনে যায়। এখানে কারো কিছু হলে “ আগগে মা’গে মইরা গ্যাল্লো রে!” বলেই বিলাপের রীতি। ‘বিলাপ’ শব্দটাও এখানে মকদুম ছাড়া কেউ জানে বলে মকদুমের মনে হয় না।
লালকেল্লা, তাজমহল, নিজামউদ্দিন আউলিয়া আজও সংঘের তথাকথিত সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক। তাই আজ সুলতানি ও মুঘল যুগকে মুছে ফেলার এত তৎপরতা। কৌশলটা হল ব্রিটিশ বিরোধী গৌরবময় স্বাধীনতার লড়াইটাকে মুছে ফেলে, মানুষকে সংশয়াকুল করে তোলা এবং এক প্রাচীন, কষ্টকল্পিত সনাতন ভারতের ছবি প্রতিষ্ঠা করা। কাজটা কঠিন কিন্তু সংঘ প্রকল্পিত হিন্দু রাষ্ট্রের জন্য জরুরি বটে।
এক কথায় যেসব ইস্যু কে অবলম্বন করে বিজেপি মানুষের মধ্যে জনভিত্তি গড়তে চেয়েছিল, সেগুলো দ্রুত কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এ অবস্থায় বিজেপিকে অনেক বেশি হঠকারী ভূমিকায় নামতে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনটাকেই নিজের পায়ের তলায় নিয়ে এসো।
এবারের সহমনের গল্প বিভাগে ৩টি অণু গল্প থাকলো। সুদূরের পিয়াসী, মোহরের চিঠি ও মানুষ ভাসছে এই ৩টি অণু গল্প নিয়ে আজ সহমনের গল্প সাজালেন অয়ন মুখোপাধ্যায়।
সরকার জিএসটির এই সংস্কারকে একটি ‘বুস্টার শট’ হিসেবে দেখালেও, অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এবং শিল্প বিশেষজ্ঞরা এর কার্যকারিতা ও বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। জিএসটি ২.০-এর সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো এর আর্থিক প্রভাব। সরকারের অনুমান অনুযায়ী, এই সংস্কারের ফলে বার্ষিক ৪৮,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে। তবে, বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলো আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে, যা সম্মিলিতভাবে ১.৫ -২ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
বিহার জুড়ে ১৬ দিনের ভোট অধিকার যাত্রা বহুকাল বাদে বিরোধী ঐক্যকে সংহত করেছে। বিশাল জনসমুদ্রে বক্তব্য রেখে চলেছেন রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি আর জে ডির তেজস্বী যাদব, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিহারের ৩৮টি জেলার ২৫ টি জুড়ে প্রায় ১১০ টি বিধানসভা ছুঁয়ে এই যাত্রা এক অভূতপূর্ব সম্ভাবনাকে সামনে এনেছে। সাধারণ মানুষের বিপুল যোগদান প্রমাণ করে যে এদেশের মানুষ ভোটাধিকার নিয়ে কতখানি সচেতন। কিন্তু তাতে কি সোনালীর মতো মানুষেরা নিশ্চিন্ত হতে পারলেন?