পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

জলের আমি জলের তুমি..... কূটনীতি বা অর্থনীতি : জল সর্বত্র

‘সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য’ -৬ এর উদ্দেশ্য হল, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য জল এবং স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি জলের টেকসই কাঠামো গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যে গোটা বিশ্বকে এক সুতোয় বাঁধতে, জাতিসংঘ গত বছর মার্চে, নিউ ইয়র্কে প্রথম জল বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। বর্তমানে গোটা বিশ্ব ভয়াবহ জল সংকটের মুখে।

আমি কিরকমভাবে বেঁচে আছি তুই এসে…

ইলেকশন আসা মানেই সরকারি কর্মচারীদের বাঁশ ! এ সত্যি কথাটা কেউ লেখে না । তিন দিন ধরে ট্রেনিংয়ে যাও , ভোটের আগের দিন লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যালট পেপার থেকে শুরু করে ছুঁচটি অব্দি বুঝে নিয়ে গাছ তলায় চট পেতে বসে সব মেলাও , তারপর হন্যে হয়ে তোমার অন্য ভোট সহকর্মীদের খুঁজে নাও, তারপর স্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অজস্র বাসের মধ্যে নির্দিষ্ট বাসটিকে খুঁজে নিয়ে আবার অপেক্ষা করতে থাকো ওই বাসটি আরো দুটি ভোটকেন্দ্রের লোকজন, মালপত্তর সমেত কখন ছাড়ে !

দেয়া নেয়ার কথা

ইলেকটোরাল বন্ডের যে তথ্য এসবিআই দিয়েছে তাতে এখনো সরাসরি কোন দল কার থেকে কত টাকা নিয়েছে তার প্রমাণ জুটছে না। পরোক্ষ প্রমাণ জুটছে। বিশেষজ্ঞরা সেই সব প্রমাণ নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কয়েকটা কথা আমাদের জন্য উদ্ধার করেছেন। আমরা সেই প্রমাণের দিকে যাব না। বরং আমরা একটু ভক্ত, ভগবান আর ধনী-দরিদ্রের সম্পর্কটাকে দেখে নিই। ঐ কৃষ্ণ-সুদামা গল্প দিয়েই।

বিধির বাঁধন নাগরিকত্ব (সংশোধিত) বিধি, ২০২৪

আসামে বিজেপির নেতৃত্বে, এনআরসি-র ক্ষেত্রে, এটাই প্রমাণিত যে হিন্দু বলে ছাড় পাওয়া যায় না। এনআরসিতে যায়নি, সিএএর ক্ষেত্রে আরো অসম্ভব। ফলে নিজের জন্য নথি সংগ্রহ করে রাখুন। কিন্তু একই সঙ্গে চোখ কান খোলা রাখুন এবং অন্ধের মত ঝাঁপ দেবেন না। কারণ আপনাকে বাঁচানোর জন্য শেষ অবধি একমাত্র আপনিই থাকবেন। আর কাউকে পাওয়া নাও যেতে পারে।

পেট

ডান হাতে স্টিয়ারিং সামলে অন্য হাত দিয়ে ড্যাশবোর্ডের উপর থেকে বিড়ির প্যাকেটটাকে তুলল রবিন। এরপর প্যাকেটের ফুটোটাকে ঠোঁটের কাছে আনল। এবার বাঁ হাতে ধরে-রাখা প্যাকেটের বিড়িগুলিতে আঙুল বুলিয়ে সুবিধামতো একটাকে বুড়ো আঙুলের সঙ্গে অন্য আর একটা আঙুল দিয়ে চেপে ধরে ঠোঁটের দিকে চাগিয়ে রাখা প্যাকেটের ফুটোটার দিকে ঠেলতে শুরু করল। বিড়ির লেজটাকে কোনও মতে ফুটোর বাইরে বের করতে পারলেই উজিয়ে রাখা ঠোঁটদুটি দিয়ে বিড়িটাকে চেপে ধরবে সে।

নির্বাচনী বন্ডের সত্যিটা যাঁরা প্রকাশ করছেন, তাঁদের কুর্ণিশ।

যে কাজটা একজন সাংবাদিকের কাজ, তার বদলে তিনি যদি সরকারের গুণকীর্তন প্রচারে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে সাংবাদিকতার মৃত্যু হয়। রোজ সন্ধ্যেবেলা, কোনও একটি চ্যানেলে বসে, চিৎকার করাটা আর যাই হোক সাংবাদিকতা নয়। পুণম আগরওয়াল, যে কাজটা দীর্ঘদিন ধরে করছেন, সেটাই আসল সাংবাদিকতা। ময়ূখ, অনির্বাণ বা সবার পরিচিত সুমন দে, যা করেন, তাকে দালালি বলে, সাংবাদিকতা নয়।

হলদ্বানিতে উচ্ছেদ, বুলডোজার রাজ এবং গণতন্ত্রের হকিকত

হলদ্বানিতে উচ্ছেদ ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয় এবং তা সংখ্যাগুরু আধিপত্যকামী রাজনীতি হওয়ায় উচ্ছেদে বিফল হয়ে ধর্মীয়ভাবে আঘাত করল। এর কিছু আশু উদ্দেশ্য আছে। ধর্মস্থানে আঘাত-ধর্মীয় পরিচিতির দিক থেকে বিরোধিতা-হিন্দু ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দেওয়া— একটি উদ্দেশ্য হতে পারে।

নির্বাচনী বন্ড- সবাই এখন সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে

একটা বিষয় স্পষ্ট বর্তমান শাসক দল নির্বাচনী বন্ডের সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে বা করছে। বিরোধীরা এ বিষয়ে খুব একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারছে বলে মনে হয় না। নির্বাচন কমিশনও টু শব্দটি করছে না। উল্টে লোকসভা নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ ৭০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৯৫ লাখ টাকা করেছে। ফলে বন্ডের সাহায্যে বাড়তি রোজগারের রাস্তা প্রশস্ত করেছে। উপায় এখন উচ্চ আদালত। ভরসা প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

আরও পুরানো লেখাগুলি

পৃথিবীতে একমাত্র এখানেই নারী সর্বেসর্বা - পুরুষ শুধুই স্পার্ম দাতা

মসুও উপজাতি প্রাচীন সম্প্রদায়ভুক্ত ছোট্ট একটা জনপদ। মূলত স্বনির্ভর। কৃষিকাজ যাদের মূল জীবিকা। এঁদের জীবন আবর্তিত হয় কঠোর ধর্মবিশ্বাস আর বিশেষ এক সংস্কৃতিকে ঘিরে। ভাবলে অবাক লাগে পিতা ছাড়া একটি সমাজ! যেখানে বিবাহ নেই অথচ সন্তান আছে। এঁরা একক পরিবারের পরিবর্তে যৌথ পরিবারে বিশ্বাসী। নারী দিবসের প্রাক্কালে এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি থাকলো।

মুসলিম নারীদের ভোট কোনদিকে?

সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষমতায়ন আর চাকরি - এই অধিকারের দাবি তোলার মতন স্বর তৈরি না করতে পারলে, মন্দের ভালো বা লেসার এভিল কে ভোট দেওয়া চলতেই থাকবে। উদার অর্থনীতির হাত ধরে আসা কনজিউমারিজম এখন প্রতিটি মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। আর দক্ষিণপন্থী দলগুলোর সাফল্য এখানেই।

আখ্যান

মুসলিম নারীদের ভোট কোনদিকে?

সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষমতায়ন আর চাকরি - এই অধিকারের দাবি তোলার মতন স্বর তৈরি না করতে পারলে, মন্দের ভালো বা লেসার এভিল কে ভোট দেওয়া চলতেই থাকবে। উদার অর্থনীতির হাত ধরে আসা কনজিউমারিজম এখন প্রতিটি মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। আর দক্ষিণপন্থী দলগুলোর সাফল্য এখানেই।

পৃথিবীতে একমাত্র এখানেই নারী সর্বেসর্বা - পুরুষ শুধুই স্পার্ম দাতা

মসুও উপজাতি প্রাচীন সম্প্রদায়ভুক্ত ছোট্ট একটা জনপদ। মূলত স্বনির্ভর। কৃষিকাজ যাদের মূল জীবিকা। এঁদের জীবন আবর্তিত হয় কঠোর ধর্মবিশ্বাস আর বিশেষ এক সংস্কৃতিকে ঘিরে। ভাবলে অবাক লাগে পিতা ছাড়া একটি সমাজ! যেখানে বিবাহ নেই অথচ সন্তান আছে। এঁরা একক পরিবারের পরিবর্তে যৌথ পরিবারে বিশ্বাসী। নারী দিবসের প্রাক্কালে এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি থাকলো।

লাল গোপালের গোমন!

খবরটা শুনে চটাদার কাছেই প্রথম ছুটে গেলাম। অনেক কাল ধরেই রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি, এদিক ওদিক মতামত দিচ্ছি, নানা রকম তর্কবিতর্ক শুনছি, নিজেও যেখানে যা পারি বলছি, কিন্তু সত্যিই বলছি, জীবনে এতটা ধাক্কা কখনও খাইনি। এর থেকে নিজেকে উদ্ধার করতে, এর পেছনকার রহস্য উদ্ঘাটিত করতে ভূভারতে কেউ যদি পারে, সে শুধু চটাদাই পারবেন। প্রচুর অভিজ্ঞতা থেকেই এটা আমার দৃঢ় উপলব্ধি।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কি আমাদের সার্গিও মোরো ?

আমরা যদি একবার হাইকোর্টের এজলাসে বসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিভিন্ন মন্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণের বিষয়টিকে মাথায় রাখি, তাহলে একমাত্র ব্রাজিলের সার্গিও মোরোর বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদাহরণই মনে পড়বে। এবং তাঁকে নিয়ে কলকাতার তথাকথিত প্রথম শ্রেণির সংবাদমাধ্যম এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলির উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করার সময় খেয়াল ছিল না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই কথাগুলি আইনের এক্তিয়ার মেনে বলছেন না নিজেকে ‘মসিহা’ বলে তুলে ধরার চেষ্টায় ক্রিজের বাইরে গিয়ে খেলছেন।

বিজেপির অন্দরের বিতর্ক সামলানোটাই এখন বড় কাজ

লোকসভা নির্বাচনের দিন সমাগত, কিন্তু বেশ কিছু কথা বিজেপির মধ্যে চলছে। সেই বিতর্কগুলো সামলাতে পারাই এখন নরেন্দ্র মোদীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিরোধীদের চ্যালেঞ্জের থেকেও বিজেপির অন্দরের বিতর্ক সামলানোটাই এখন বড় কাজ।

পাপবোধ

ছুটে এসেই বাসটা ধরে অরণ্যা। আজ বেশ দেরিই হল। স্টপে পৌঁছনো মাত্রই নিজের গন্তব্যের বাস পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। লটারির টিকিট কাটলে হত।