পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

সাধারণ ধর্মঘট --- সফল করা কেন প্রয়োজনীয়?

৯ জুলাইয়ের সাধারণ ধর্মঘট আদতে একচেটিয়া লগ্নি পুঁজি নিয়ন্ত্রিত বৃহৎ পুঁজিপতি ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সকল অংশের জনগণের। এই সাধারণ ধর্মঘট নিজেকে বাঁচানোর, নিজের পরিবারকে বাঁচানোর, সন্তানদের স্থায়ী ভবিষ্যত সুনিশ্চিতিকরণের লক্ষ্যে। এটি এই মুহূর্তে ব্রাহ্মণ্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী হিংস্রতার কবল থেকে দেশকে বাঁচানোর স্বার্থের প্রকৃত জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক কর্মসূচির ডাক; শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসাদার, ছোট পুঁজিপতি ইত্যাদি ব্যাপক অংশের জনগণের।

ভাসানদীঘির আশেপাশে

"একটু দাঁড়িয়ে যাবেন সুবোধদা, আজ গাড়ি আনা হয়নি। সারাতে দিয়েছি। ভাবছি আপনার বাইকেই আমাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবো।" সাধারণত এমআর বা মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সামনে ডাক্তারবাবুরা বেশ গম্ভীর হয়েই থাকেন।

ট্রাম্প-মাস্ক ও সমাজ মাধ্যম

গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, এক্স - আর কেবল কর্পোরেশন নেই। এগুলি মনোযোগ আকর্ষণের পরিকাঠামো। আমরা যে প্রতিটি ক্লিক বা টাচ করি, একটি ছবির উপর চোখ থামিয়ে বুড়ো আঙুলের বিরতি নিই, অনুসন্ধান বাক্সে আমরা যে প্রতিটি প্রশ্ন টাইপ করি - এগুলি এই পরিকাঠামোতে কোনো অলস অঙ্গভঙ্গি হিসাবে গণ্য করা হয় না। এগুলি হল নতুন অর্থনীতির অবৈতনিক শ্রম। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি কেবল আমাদের বিনোদিত করে না; তারা আমাদের অধ্যয়ন করে, খনন করে, আমাদের অনুকরণ করে। আর এটি করার মাধ্যমে, তারা একটি নতুন ধরণের উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি করে যা অদৃশ্য কিন্তু বিশাল।

বিজেপি-আরএসএস কোন মুখে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলছে?

অনুমান করা যায়, তারা কার্তিক মহারাজ, রাম রহিমদের মত ধর্ষকদের নিজের বাবার আসনে বসায়। তাই ধর্ষকদের দিয়ে তারা নিজেদের রাজনৈতিক প্রচার চালায়। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মেয়েরা, ক্যুয়াররা কথা বললে তাই এদের গাত্রদাহ হয়। যারা আদর্শগতভাবে নারী ও কুকুরকে সমার্থক ভাবে, যারা নারীদের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে চায়— সেই বিজেপি, আরএসএস-এর ধর্ষণের ঘটনার বিরোধিতা আসলে নিপীড়িতদের অভিজ্ঞতাকে ভোটের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টার বাইরে কিছুই নয়।

আধিপত্য বিস্তারের দুই হাতিয়ার- যুদ্ধের অর্থনীতি ও অর্থনীতির যুদ্ধ

রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারের জন্য একটি দেশ যখন অন্য দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করে, তখন তাকে অর্থনীতির যুদ্ধ বলা হয়। এটি এমন একটি কৌশল যেখানে রাষ্ট্রগুলো সামরিক শক্তির পরিবর্তে অর্থনৈতিক হাতিয়ার ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করার চেষ্টা করে।

যুদ্ধ কি কেবলই শান্তির শত্রু, নাকি পরিবেশেরও খুনি ?

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত বিপর্যয় যখন মানব জাতির অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে, তখন ‘যুদ্ধ’ বিষয়টিকে শুধুই রাজনৈতিক বা মানবিক সংকট হিসেবে দেখা ভুল হবে। যুদ্ধ একদিকে যেমন অগণিত প্রাণহানির কারণ, তেমনি অপরদিকে পরিবেশের উপর এক নিঃশব্দ, স্থায়ী এবং গভীর ক্ষত তৈরি করে।

শূন্যবিন্দু

গোষ্ঠীর উত্থান পতন আর বিলোপের সঙ্গে ভাষারও উত্থান পতন আর মৃত্যু। পূর্বসুরীদের জ্ঞান অভিজ্ঞতার কোনও কিছুই লিখিত না থাকার ফলে আবার গোড়া থেকে শুরু করতে হল সব। কত শত সহস্র বছর পেরিয়ে গেল এই রকম সাপলুডো খেলতে খেলতে! ভাষা আবিষ্কারের পরেই সব কিছু এগিয়ে চলল খুব দ্রুত। শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন, অনামা কেউ; পরবর্তীতে, তার গুরুত্ব বোঝালেন, আর্যভট এবং ব্রহ্মগুপ্ত। এই আখ্যান সেই অজানা মানুষটির।

ভৌম জল ও রাজনীতি

আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর। কৃষিতেই ভূ-গর্ভস্থ জল সব থেকে বেশি ব্যবহার হয়। বেসরকারি কিছু গবেষণার হিসেব বলছে ৯০ শতাংশ। সদ্য প্রকাশিত (২০২৩)-এর কেন্দ্র সরকারি রিপোর্ট বলছে ৬২ শতাংশ (পৃ-১)। পরিসংখ্যান কম বেশি যাই হোক না কেন আমাদের মতন কৃষি নির্ভর দেশে কৃষিতে সেচের জলের ব্যবহার ‘অপচয়’ হিসেবে ভাবার কোন প্রশ্নই ওঠে না।

আরও পুরানো লেখাগুলি

শ্রমিক, ভারত থেকে ইজরায়েল

ভারতের শ্রমিকেরা বিদেশ গড়তে ইজরায়েলের শরণাপন্ন। কেরালার কোল্লামের বাসিন্দা পাটনিবিন ম্যাক্সওয়েলের কথা মনে আছে? ২০২৪ সালের ৪ঠা মার্চ লেবানন থেকে ছোড়া অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলের আঘাতে নিহত হয়েছিলেন ইজরায়েল ভূখণ্ডে। তিনি নির্মাণ শিল্পের দক্ষ-শ্রমিক ছিলেন। তাঁর সাথে আরও দু'জন ভারতীয়সহ মোট ৭জন আহত হয়েছিলেন। আজকের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতীয় শ্রমিকেরা ইজরায়েলে কী করছেন?

তৃণমূলের রাজনীতি বিজেপির রাজনীতির নকলমাত্র!

হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে বৈচিত্র আছে, তাকে ব্যবহার করার মুন্সীয়ানা দেখাতে হবে বিজেপি বিরোধীদের। তবেই, হিন্দু ঐক্য গড়তে চাওয়া বিজেপির রাজনীতিকে কার্যকরী ধাক্কা দেওয়া সম্ভব। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনরা সেটা করছেন। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সেসব বোধবুদ্ধি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পয়সায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করে ভাবছেন, কি দারুন দিলাম! এদিকে এতে করে তারা যে, ধর্ম নিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করা বিজেপির রাজনীতির সঙ্গেই অভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেলেন তা বোঝার ক্ষমতা তার নেই।

আখ্যান

তৃণমূলের রাজনীতি বিজেপির রাজনীতির নকলমাত্র!

হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে বৈচিত্র আছে, তাকে ব্যবহার করার মুন্সীয়ানা দেখাতে হবে বিজেপি বিরোধীদের। তবেই, হিন্দু ঐক্য গড়তে চাওয়া বিজেপির রাজনীতিকে কার্যকরী ধাক্কা দেওয়া সম্ভব। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনরা সেটা করছেন। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সেসব বোধবুদ্ধি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পয়সায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করে ভাবছেন, কি দারুন দিলাম! এদিকে এতে করে তারা যে, ধর্ম নিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করা বিজেপির রাজনীতির সঙ্গেই অভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেলেন তা বোঝার ক্ষমতা তার নেই।

শ্রমিক, ভারত থেকে ইজরায়েল

ভারতের শ্রমিকেরা বিদেশ গড়তে ইজরায়েলের শরণাপন্ন। কেরালার কোল্লামের বাসিন্দা পাটনিবিন ম্যাক্সওয়েলের কথা মনে আছে? ২০২৪ সালের ৪ঠা মার্চ লেবানন থেকে ছোড়া অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলের আঘাতে নিহত হয়েছিলেন ইজরায়েল ভূখণ্ডে। তিনি নির্মাণ শিল্পের দক্ষ-শ্রমিক ছিলেন। তাঁর সাথে আরও দু'জন ভারতীয়সহ মোট ৭জন আহত হয়েছিলেন। আজকের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতীয় শ্রমিকেরা ইজরায়েলে কী করছেন?

ম্যাডলিন, গ্রেটা থুনবার্গ ও মৃত্যুকীর্ণ গাজা

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর আগে গাজার জনসংখ্যা ছিল ২২ লক্ষ ৩০হাজার। রাষ্ট্রসংঘের বর্তমান হিসেবে তা কমে গিয়ে ২১ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার হ্রাস সে দেশের মানব সম্পদ ও অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছে ও দিচ্ছে। এমনকি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ৪৫০ এর উপর কর্মীদের মেরে দেওয়া হয়েছে। এই বীভৎসার মাঝে দাঁড়িয়ে গাজার শিশু নারী সহ সুনাগরিকেরা। মৃত্যুকীর্ণ খন্ডহরে যাবার পথে ইজরায়েলের জল সীমায় প্রবেশ না করেও গ্রেটাদের আটকে দেওয়া হয়।

টাটার হাতে এয়ার ইন্ডিয়া : তিন বছরের হিসেব নিকেশ

এয়ার ইন্ডিয়ার তিন বছরের অভিজ্ঞতা আর এক বার প্রমাণ করল বেসরকারিকরণ হলেই পরিষেবা ভালো হবে বা সংস্থা লাভজনক হবে,এমনটা নয়। টাটার এয়ার ইন্ডিয়া ক্রয় এক লাভজনক সওদা ছিল। এই কথাটির বিস্তারে ব্যাখ্যা প্রয়োজন। বাজারের সাধারণ নিয়ম হল পণ্যের চাহিদা থাকলে বিক্রেতা ভালো দাম পাবেন এবং চাহিদা না থাকলে কম দাম পাবেন। সাম্প্রতিক আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার পরে অনেক প্রশ্ন সামনে আসছে। সেই কথাগুলো বলা জরুরি।

ফেস্টুন

ওয়েলিংটন স্কোয়ার থেকে মিছিল বেরিয়েছে, বেশ বড় মিছিল। সাম্প্রতিককালে দেশজুড়ে ঘটে চলা নারী নির্যাতন ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী সমাজের মিছিল।

নদীর জীবন্ত লোককথা

বাংলা সাহিত্যে এরকম বই বিরল। শুধুমাত্র নদী নির্ভর, সাহিত্য গুণে এবং কিছু তথ্য দিয়ে নদীমাতৃক বাংলার ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা তার সঙ্গে কাতর আবেদন, যাতে করে নদী বাঁচে, আমাদের সভ্যতা বাঁচে। নাহলে যে কতবড় বিপদ হতে চলেছে তা খুব তাড়াতাড়িই টের পাব। "জলের ইতিকথা নদীর উপকথা" বইটি পড়লেন দেবজ্যোতি কর্মকার।