পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

হীরাঝিলের রাত

পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৭ তে। এই যুদ্ধে পরাজিত হোন নবাব সিরাজ দৌলা। এই যুদ্ধের মেন খল নায়ক লর্ড ক্লাইভ। যাদের নিয়ে চক্রান্ত করেছিলেন। তারা হলেন মীরজাফর, ঘসেটি বেগম, জগৎ শেঠ, ইয়ার লতিফ, উমিচাঁদ।

ফ্যাসিবাদ - দর্শন, আদর্শ ও অনুশীলন

ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ প্রথম অধ্যায়। ধারাবাহিকভাবে এই লেখা প্রকাশিত হবে।

ভাতের লড়াইয়ে নামা জরুরি

ধর্মের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ যথেষ্ট না। রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি, বিজেপি এবং তার চালিকাশক্তি আরএসএস'এর নেতা-কর্মীরা যেভাবে দিনের পর দিন রাজ্যজুড়ে তথা দেশজুড়ে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি অনুশীলন করছে, তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ প্রয়োজন। সেই লড়াইটা কীভাবে হবে ?

ভারতবর্ষের সংবিধানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ কেবল দুটি শব্দ নয়

ধর্মনিরপেক্ষ শব্দকে মুছে ফেললে ভারতবর্ষ মহাতীর্থের রূপ ভেঙে পড়ে কেবল ভারত হয়ে থেকে যাবে। সেটা আমাদের কাছে কোনো ভাবেই কাম্য নয়। ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ নীতি অনুসারে ভারতবর্ষে ব্যক্তিমালিকানা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানা স্বীকৃত। মিশ্র অর্থনীতির মধ্যে দিয়েই সরকারি উদ্যোগের প্রসার এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চেয়েছিলেন এক সময়ের রাষ্ট্রনায়করা। আজকে এই দুটো শব্দ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ কি এত সহজে মুছে ফেলা যায়?

সাধারণ ধর্মঘট --- সফল করা কেন প্রয়োজনীয়?

৯ জুলাইয়ের সাধারণ ধর্মঘট আদতে একচেটিয়া লগ্নি পুঁজি নিয়ন্ত্রিত বৃহৎ পুঁজিপতি ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সকল অংশের জনগণের। এই সাধারণ ধর্মঘট নিজেকে বাঁচানোর, নিজের পরিবারকে বাঁচানোর, সন্তানদের স্থায়ী ভবিষ্যত সুনিশ্চিতিকরণের লক্ষ্যে। এটি এই মুহূর্তে ব্রাহ্মণ্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী হিংস্রতার কবল থেকে দেশকে বাঁচানোর স্বার্থের প্রকৃত জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক কর্মসূচির ডাক; শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসাদার, ছোট পুঁজিপতি ইত্যাদি ব্যাপক অংশের জনগণের।

ভাসানদীঘির আশেপাশে

"একটু দাঁড়িয়ে যাবেন সুবোধদা, আজ গাড়ি আনা হয়নি। সারাতে দিয়েছি। ভাবছি আপনার বাইকেই আমাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবো।" সাধারণত এমআর বা মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সামনে ডাক্তারবাবুরা বেশ গম্ভীর হয়েই থাকেন।

ট্রাম্প-মাস্ক ও সমাজ মাধ্যম

গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, এক্স - আর কেবল কর্পোরেশন নেই। এগুলি মনোযোগ আকর্ষণের পরিকাঠামো। আমরা যে প্রতিটি ক্লিক বা টাচ করি, একটি ছবির উপর চোখ থামিয়ে বুড়ো আঙুলের বিরতি নিই, অনুসন্ধান বাক্সে আমরা যে প্রতিটি প্রশ্ন টাইপ করি - এগুলি এই পরিকাঠামোতে কোনো অলস অঙ্গভঙ্গি হিসাবে গণ্য করা হয় না। এগুলি হল নতুন অর্থনীতির অবৈতনিক শ্রম। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি কেবল আমাদের বিনোদিত করে না; তারা আমাদের অধ্যয়ন করে, খনন করে, আমাদের অনুকরণ করে। আর এটি করার মাধ্যমে, তারা একটি নতুন ধরণের উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি করে যা অদৃশ্য কিন্তু বিশাল।

বিজেপি-আরএসএস কোন মুখে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলছে?

অনুমান করা যায়, তারা কার্তিক মহারাজ, রাম রহিমদের মত ধর্ষকদের নিজের বাবার আসনে বসায়। তাই ধর্ষকদের দিয়ে তারা নিজেদের রাজনৈতিক প্রচার চালায়। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মেয়েরা, ক্যুয়াররা কথা বললে তাই এদের গাত্রদাহ হয়। যারা আদর্শগতভাবে নারী ও কুকুরকে সমার্থক ভাবে, যারা নারীদের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে চায়— সেই বিজেপি, আরএসএস-এর ধর্ষণের ঘটনার বিরোধিতা আসলে নিপীড়িতদের অভিজ্ঞতাকে ভোটের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টার বাইরে কিছুই নয়।

আরও পুরানো লেখাগুলি

শূন্যবিন্দু

গোষ্ঠীর উত্থান পতন আর বিলোপের সঙ্গে ভাষারও উত্থান পতন আর মৃত্যু। পূর্বসুরীদের জ্ঞান অভিজ্ঞতার কোনও কিছুই লিখিত না থাকার ফলে আবার গোড়া থেকে শুরু করতে হল সব। কত শত সহস্র বছর পেরিয়ে গেল এই রকম সাপলুডো খেলতে খেলতে! ভাষা আবিষ্কারের পরেই সব কিছু এগিয়ে চলল খুব দ্রুত। শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন, অনামা কেউ; পরবর্তীতে, তার গুরুত্ব বোঝালেন, আর্যভট এবং ব্রহ্মগুপ্ত। এই আখ্যান সেই অজানা মানুষটির।

যুদ্ধ কি কেবলই শান্তির শত্রু, নাকি পরিবেশেরও খুনি ?

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত বিপর্যয় যখন মানব জাতির অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে, তখন ‘যুদ্ধ’ বিষয়টিকে শুধুই রাজনৈতিক বা মানবিক সংকট হিসেবে দেখা ভুল হবে। যুদ্ধ একদিকে যেমন অগণিত প্রাণহানির কারণ, তেমনি অপরদিকে পরিবেশের উপর এক নিঃশব্দ, স্থায়ী এবং গভীর ক্ষত তৈরি করে।

আখ্যান

যুদ্ধ কি কেবলই শান্তির শত্রু, নাকি পরিবেশেরও খুনি ?

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত বিপর্যয় যখন মানব জাতির অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে, তখন ‘যুদ্ধ’ বিষয়টিকে শুধুই রাজনৈতিক বা মানবিক সংকট হিসেবে দেখা ভুল হবে। যুদ্ধ একদিকে যেমন অগণিত প্রাণহানির কারণ, তেমনি অপরদিকে পরিবেশের উপর এক নিঃশব্দ, স্থায়ী এবং গভীর ক্ষত তৈরি করে।

শূন্যবিন্দু

গোষ্ঠীর উত্থান পতন আর বিলোপের সঙ্গে ভাষারও উত্থান পতন আর মৃত্যু। পূর্বসুরীদের জ্ঞান অভিজ্ঞতার কোনও কিছুই লিখিত না থাকার ফলে আবার গোড়া থেকে শুরু করতে হল সব। কত শত সহস্র বছর পেরিয়ে গেল এই রকম সাপলুডো খেলতে খেলতে! ভাষা আবিষ্কারের পরেই সব কিছু এগিয়ে চলল খুব দ্রুত। শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন, অনামা কেউ; পরবর্তীতে, তার গুরুত্ব বোঝালেন, আর্যভট এবং ব্রহ্মগুপ্ত। এই আখ্যান সেই অজানা মানুষটির।

ভৌম জল ও রাজনীতি

আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর। কৃষিতেই ভূ-গর্ভস্থ জল সব থেকে বেশি ব্যবহার হয়। বেসরকারি কিছু গবেষণার হিসেব বলছে ৯০ শতাংশ। সদ্য প্রকাশিত (২০২৩)-এর কেন্দ্র সরকারি রিপোর্ট বলছে ৬২ শতাংশ (পৃ-১)। পরিসংখ্যান কম বেশি যাই হোক না কেন আমাদের মতন কৃষি নির্ভর দেশে কৃষিতে সেচের জলের ব্যবহার ‘অপচয়’ হিসেবে ভাবার কোন প্রশ্নই ওঠে না।

বাঙালি কি ওরা বেছে খায় ?

বিপদ মানে সমুহ বিপদ! আত্মরক্ষার উপযুক্ত অস্ত্র প্রয়োগের আগেই তো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। যেখানে-সেখানে, যখন-তখন বাঙালি সম্পর্কে নানা মন্তব্য ইচ্ছে-অনিচ্ছেয়, অজ্ঞতায়, অসভ্যতায়, না-জেনে বা জেনে, অত্যন্ত সতর্কভাবে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উট কাঁটা বেছে খায় কি না খায় - এই প্রশ্ন থেকে খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এদের খুঁজে খুঁজে বাঙালিকে টার্গেট করার প্রসঙ্গ...এদের ক্যাকটাসের কাঁটা এখন বাঙালি ! এরা এখন বাঙালি বাছতে বসেছে …না হলে বৃথা সর্বভারতীয় রাজনীতি!

তৃণমূলের রাজনীতি বিজেপির রাজনীতির নকলমাত্র!

হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে বৈচিত্র আছে, তাকে ব্যবহার করার মুন্সীয়ানা দেখাতে হবে বিজেপি বিরোধীদের। তবেই, হিন্দু ঐক্য গড়তে চাওয়া বিজেপির রাজনীতিকে কার্যকরী ধাক্কা দেওয়া সম্ভব। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনরা সেটা করছেন। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সেসব বোধবুদ্ধি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পয়সায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করে ভাবছেন, কি দারুন দিলাম! এদিকে এতে করে তারা যে, ধর্ম নিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করা বিজেপির রাজনীতির সঙ্গেই অভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেলেন তা বোঝার ক্ষমতা তার নেই।

শ্রমিক, ভারত থেকে ইজরায়েল

ভারতের শ্রমিকেরা বিদেশ গড়তে ইজরায়েলের শরণাপন্ন। কেরালার কোল্লামের বাসিন্দা পাটনিবিন ম্যাক্সওয়েলের কথা মনে আছে? ২০২৪ সালের ৪ঠা মার্চ লেবানন থেকে ছোড়া অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলের আঘাতে নিহত হয়েছিলেন ইজরায়েল ভূখণ্ডে। তিনি নির্মাণ শিল্পের দক্ষ-শ্রমিক ছিলেন। তাঁর সাথে আরও দু'জন ভারতীয়সহ মোট ৭জন আহত হয়েছিলেন। আজকের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতীয় শ্রমিকেরা ইজরায়েলে কী করছেন?