আসন্ন নির্বাচনে মোদীকে পরাজিত করাই রাহুলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জকে সফল করার মূলমন্ত্র হচ্ছে বিরোধী ঐক্য। সেই ঐক্য সঠিকরূপে গড়তে পারলেই মোদীর পরাজয় সুনিশ্চিত। কিন্তু সেই ঐক্য গড়ার কাজটিই সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন। তবে কঠিন হলেও তা অসম্ভব নয়। বিশ্লেষণ করলেন কল্যাণ সেনগুপ্ত
টাকা আসছিল। আসছিল মানে দিচ্ছিল কেউ। রুমির মা ২ টাকা, শান্তির পিসি ১ টাকা, পলুর মাসি ৫ টাকা। শিওরতনের বাবা একদিন ১০ টাকাই দিল। এইরকম। সন্তুর ঠাকুমা কিছু দেয় না। চুপ করে বসে থাকে আর অতসীর মুখের দিকে চেয়ে থাকে, যেন কিছু লক্ষ করে, যেন কিছু জরিপ করতে চায়। শুধু টাকাই না। শুভ্রা একদিন পেয়ারা এনে দিল, বলল, গাছপাকা। আপ্পা একদিন কাচকলা এনে দিল, বলল, আমরা কেউ কাচকলা খাই না। দেখাদেখি একদিন কমলালেবু এনে দিল বেণী, বলল, তার ভাই নাসিক থেকে এনেছে। তবে অবাক করে দিল পুন্যির মা, সে আনল আলু বেগুন আর আলোচাল।
কর্ণাটকের নির্বাচন শেষ হয়েছে, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ১৩৫টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে। তারপরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যদি কংগ্রেস বাংলায় তাঁদের বিরুদ্ধে না লড়াই করে, তাহলে তাঁরা অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেসকে বিজেপির বিরুদ্ধে সমর্থন করতে রাজি। বিজেপি বিরোধী ঐক্য কি আদৌ সম্ভব বাংলায়? এই কথার অর্থ কী, খুঁজলেন রাহুল মুখার্জী।
আরএসএস রবীন্দ্রনাথের জীবনের প্রারম্ভিক পর্ব এবং ফ্যাসিস্ট মত সমর্থনের ছোট্ট পর্বকে আলাদা করে নিয়ে রবীন্দ্রনাথকে নিজেদের রঙে রাঙিয়ে নিতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়কে বলা হচ্ছে প্রথম ভারতীয় নয়, প্রথম হিন্দুর নোবেল জয়। শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়ের প্রথম পর্বকে দেখিয়ে বিশ্বভারতীকে হিন্দুত্বের ছাঁচে ঢেলে সাজাতে চাইছে।
পদ্মাপাড়ের একটা জীর্ণ কুটির। আঙিনার উদোম হেঁসেলে বসে আটা মেখে রুটি সেঁকছে বিশ বছর বয়সী কাবিরা। এপাশ ওপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ছেঁড়াফাটা মাছধরা জাল। হঠাৎ বোন শাবিরা হন্তদন্ত হয়ে বাইরে থেকে এসে প্রথমেই তার কাছে গেল। চুপিচুপি জিজ্ঞেস করল, বুবু- মা কোথায়? কাবিরা বলল, ঘরে শুয়ে আছেন। হয়তো ঘুমোচ্ছেন । আল্লা যেন তাঁকে শান্তিতে রাখেন। বলতে বলতে কাবিরা দেখল, শাবিরা তার আঁচলের আড়াল থেকে পলিথিন-মোড়া একটা পুঁটলি বের করছে। কাবিরা রুটি সেঁকতে সেঁকতে জিজ্ঞেস করল, কী ওটা- কিসের পুঁটলি?
আজকের সময়ে সাদাত হাসান মান্টোর লেখা আমাদের প্রত্যেকের পড়া উচিৎ। একজন ঘাতকের মনের ভিতরটা পড়ে ফেলে, তাঁর স্বরূপকে কি প্রক্রিয়ায় পাঠকের সামনে নিয়ে আসা যায়, সেই চেষ্টাই করে গেছেন সাদাত হাসান মান্টো।
প্রবল দেশপ্রেমের আবেগ থেকেই কবি সেদিন এমন দুএকটা টপ্পাঙ্গের গান গেয়েছিলেন, যা আজও আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে আলোড়ন তুলতে পারে। এই আলোড়নের জোরেই এক দিন “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা লাভ করেছিল। আর পাশাপাশি আর একবার অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল এই অসাধারণ গানটি--- সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে। সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে॥
শরৎ পেরিয়ে হেমন্ত শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে। আজ সতেরোই অগ্রহায়ণ। ঠাণ্ডা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে।এবার শীতে না বড়ো ভোগান্তি হয়। দিন ছোটো, রাত শেষ হতে চায় না।
দুর্বল কেন্দ্র ও সবল রাজ্য বিরোধী এই মতাদর্শগত পশ্চাদপদতার আলোচনার শুরুতে এটুকু বলা উচিত যে আজকাল ভবিষ্যতের থেকে কম্যুনিস্টরা স্মৃতি রোমন্থনেই বেশি স্বস্তি অনুভব করেন। আজকাল নাকি সমাজতান্ত্রিক জনচেতনার বড়ই অভাব, যা নাকি এককালে বিরাট ছিল --- এই ভ্রান্তিতেই আমাদের দিন কাটছে। আমরা ভুলেই গেছি বোধহয় যে প্যারী কম্যুনের সাহস হয়নি মেয়েদের ভোটাধিকার দেওয়ার। বা ১৮৮৬ সালের সেই ঘটনার সময় ট্রেড ইউনিয়নগুলিতে মেয়েদের প্রবেশাধিকার দেওয়া কিছুতেই হয়নি। তৃতীয় লিঙ্গদের সমাজের অন্তর্ভুক্তিকরণের সাহস হয়নি কয়েক দশকের আগের গণচেতনার।
অনেকে হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করছেন, অনেকে হয়তো দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে কাঠগড়ায় তুলছেন, কিন্তু তাঁরা কি একবার ভেবে দেখবেন, এই সর্বোচ্চ আদালতই এখনও অবধি কেন্দ্রের শাসকদলের পুরো বিচারব্যবস্থাকে করায়ত্ব করার প্রয়াসকে কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে। তদন্ত শেষ হয়নি বলে, দিনের পর দিন কাউকে গ্রেপ্তার করে রাখা অন্যায় এই রায়ের মধ্যে দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত কি সেই চেষ্টাই করলেন না?
অনেকে হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করছেন, অনেকে হয়তো দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে কাঠগড়ায় তুলছেন, কিন্তু তাঁরা কি একবার ভেবে দেখবেন, এই সর্বোচ্চ আদালতই এখনও অবধি কেন্দ্রের শাসকদলের পুরো বিচারব্যবস্থাকে করায়ত্ব করার প্রয়াসকে কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে। তদন্ত শেষ হয়নি বলে, দিনের পর দিন কাউকে গ্রেপ্তার করে রাখা অন্যায় এই রায়ের মধ্যে দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত কি সেই চেষ্টাই করলেন না?
দুর্বল কেন্দ্র ও সবল রাজ্য বিরোধী এই মতাদর্শগত পশ্চাদপদতার আলোচনার শুরুতে এটুকু বলা উচিত যে আজকাল ভবিষ্যতের থেকে কম্যুনিস্টরা স্মৃতি রোমন্থনেই বেশি স্বস্তি অনুভব করেন। আজকাল নাকি সমাজতান্ত্রিক জনচেতনার বড়ই অভাব, যা নাকি এককালে বিরাট ছিল --- এই ভ্রান্তিতেই আমাদের দিন কাটছে। আমরা ভুলেই গেছি বোধহয় যে প্যারী কম্যুনের সাহস হয়নি মেয়েদের ভোটাধিকার দেওয়ার। বা ১৮৮৬ সালের সেই ঘটনার সময় ট্রেড ইউনিয়নগুলিতে মেয়েদের প্রবেশাধিকার দেওয়া কিছুতেই হয়নি। তৃতীয় লিঙ্গদের সমাজের অন্তর্ভুক্তিকরণের সাহস হয়নি কয়েক দশকের আগের গণচেতনার।
আর সাত মিনিট আটান্ন সেকেন্ডের মাথায় আরও পাঁচশো পয়সা জমা হবে অন্তরার ওয়ালেটে। পয়সা শব্দটা যদিও ঊহ্য থাকে কাক্কুতে। অ্যাপের পরিভাষায় শব্দটা কয়েন। সেই হিসেবে আর সাত মিনিট ছাপ্পান্ন সেকেন্ডের মাথায় আরও পাঁচশো কয়েন জমা হবে তার ওয়ালেটে। যার দরুণ প্রায় বারো মিনিট চোখ রাখা যায়নি হোয়াটসঅ্যাপে। খোলা হয়নি ফেসবুক। পাঁচ মিনিট পরপর আঙুল ছুঁইয়ে জ্যান্ত রাখতে হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড স্ক্রিনকে। অপেক্ষা ঠিক আর সাত মিনিট চুয়ান্ন সেকেন্ডের।
হ্যারি বেলাফন্টে, জন্ম পয়লা মার্চ, ১৯২৭ হারলেম , নিউ ইয়র্ক। মৃত্যু পঁচিশে এপ্রিল, ২০২৩, ম্যানহাটান, নিউ ইয়র্ক। ছিয়ানব্বই বছরের এই মানুষটা ছুঁয়ে গেছে মানুষের জীবন। তিনি পেরেছেন পাল্টে দিতে রাষ্ট্রের রীতি নীতি, লক্ষ মানুষের মন তাদের জীবনবোধ । সারি সারি অট্টালিকার মাঝে তিনি কখনো হারিয়ে যেতে দেননি তার সোনালী বালুচরী নীল সমুদ্র টাকে। আমাদের চির জীবনের বন্ধু বেলাফন্টে তোমাকে সেলাম!
১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী জমানায় যে মানুষটিকে ভারতে শ্রেষ্ঠতম খেতাব ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়েছিল এখন তাঁকে সেই বাজপেয়ীর দলেরই কিছু লোক চোর প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। যেহেতু এই রাজনৈতিক দলটি গোয়েবলসীয় কায়দায় বারবার মিথ্যা বলে তাকে সত্যে পরিণত করতে চায় এখন এদের সমস্ত প্রচার যন্ত্র এই কথাটাই বলবার চেষ্টা করছে।
২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একশ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। কর্পোরেট আগ্রাসন ও হিন্দুত্বের মেলবন্ধনে যে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের আখ্যান তৈরি করা হচ্ছে তার নিয়ন্ত্রণ আজ পুরোটাই সংঘের হাতে আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে।নরেন্দ্র মোদি- অমিত শাহের জুটির ক্ষমতা কি মোহন ভাগবতদের প্রভাবকে কি দূর্বল করে দিচ্ছে?