পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh
ব্যঙ্গচিত্র

পুরানো লেখাগুলি

গল্প হলেও সত্যি

রাজবাড়িতে কয়েকমাস ধরে মহা ধুমধাম। ছোট রাজপুত্রের বিয়ে; পাত্রী এক স্বপ্নের রাজকন্যা। চারিদিকে সাজ সাজ রব। সারা পৃথিবীর সেরা অলঙ্কার, বস্ত্র, বৈভব সামগ্রী এসে জড়ো হচ্ছে রাজপ্রাসাদে। তার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে দিকবিদিকে। সেই ছটায় চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষের। মুগ্ধ বিষ্ময়ে তারা দেখছে প্রাচুর্যের প্রবল আস্ফালন। ক্ষুধার্ত, জীবনসংগ্রামে ক্লান্ত, রিক্ত মানুষগুলো দুচোখ ভরে দেখছে রাজ ঐশ্বর্য্যের কি বাহার।

কাফেরের বাপ

গিয়াসসাহেব ইফতার সেরে সবে মাগরিবের নামাজে দাড়িয়েছেন, দুঃসংবাদটা তখনই এল। এমন একটা সংবাদ যে আসবে তা তিনি আগে থাকতেই জানতেন। তাই নামাজ থেকে আর সরে দাঁড়ালেন না। ছোট ছেলে রেহানের হাতে মোবাইল ফোনটা ফিরিয়ে দিয়ে খোদার কাছে নিজেকে সমর্পণ করলেন। দিনরাত মিলিয়ে রোজ যেমন পাঁচ ওয়াক্ত সমর্পণ করে আসছেন, তেমনি। যদিও আজ পর্যন্ত খোদার কাছে নিজের জন্যে কখনও কিছু চান না।

কোনো যুক্তিতেই বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষার্থী-অভ্যুত্থানকে বিরোধিতা করা যাবে না

বাংলাদেশের এই আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে প্রায় সকল ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে একেবারে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা রয়েছেন। বস্তুত তাঁরাই সংখ্যাগুরু। রয়েছেন বামপন্থী বা কমিউনিষ্ট ছাত্রছাত্রীরা। আর তার পাশে পাশেই রয়েছেন বিএনপি, জামাতের সমর্থকরাও।

বাংলাদেশে চলমান ছাত্র আন্দোলন ও পশ্চিমবঙ্গে তার প্রভাব

বাংলাদেশে যে কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলছে সে সম্পর্কে বহু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বচ্ছ ধারণা নেই। অনেকেই ভাবছেন সমস্ত কোটাই তুলে দেওয়ার পক্ষে আন্দোলন করছে ছাত্ররা। ব্যাপারটা কিন্তু আদৌ তা না। ছাত্ররা কোটা সংস্কারের কথা বলছেন। এবং যে কোটা সংস্কারের কথা বলছেন তা হল মুক্তিযোদ্ধার পরিবারদের জন্য যে ৩০ শতাংশ কোটা আছে সেটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছে ছাত্ররা আর সেই লড়াইতে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রায় পঞ্চাশজন ছাত্র শহীদ হয়েছেন।

রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্যপালের নাম বোসসাহেব

এমন নয় যে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি কেবল এই রাজ্যেই আছে। লর্ড ওয়াভেল ( ভারতের শেষ ভাইসরয়) তাঁর ডায়রিতে দাবি করেছেন যে এ দেশে শিক্ষাক্ষেত্রেই দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি। এরপরেও কেবল দুর্নীতির গল্প খবরের কাগজের পাতায় পাতায়। এর অর্থ স্পষ্ট, মেইনস্ট্রইম মিডিয়াও চায় না এই সরকার চলুক; জনতা চায়। তাই বুঝি বোস সাহেবের এতো রাগ! তিনি এতটাই রেগে আছেন যে সংবিধানও মানতে চান না আর সংবিধানে রয়েছে যে, রাজ্য সরকার কোনও বিল আনলে (অবশ্যই বিধানসভায় পাস হওয়া বিল) রাজ্যপালকে তা গ্রহণ করতেই হবে অথবা তা পুনর্বিবেচনার জন্য বিধানসভাতেই ফেরত পাঠাতে হবে।)

বিজেপি কি আর ফ্যাসিবাদী পথে ফিরতে পারবে?

সব ব্যর্থতা পেরিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রকে টিকিয়ে রেখে মোদী কি এই সব দোষ শুধরে নতুন করে ফ্যাসিস্ট হতে চাইছেন এবং রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্রকেই যুদ্ধ অর্থনীতির মেরুদন্ড করে তুলতে চাইছেন? অনেকে বলতে পারেন কংগ্রেস ও তো বেসরকারিকরণ করেছিল, তাঁদের নীতির সঙ্গে তো বিজেপির নীতির ফারাক নেই, তাহলে দু'টো দল আলাদা কোথায়? ফারাক অবশ্যই আছে। বিজেপির মূল লক্ষ্য, কেন্দ্রীভবন, দলের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।

সকলি কৃত্রিম নহে

গৃহিনীরই মনে করিয়ে দেবার কথা, প্রত্যেকবারই সেই পুরনো কৌশলে মনে করিয়ে দেন। কৌশলটা এরকম, " সামনের মাসের ২৬ তারিখ সন্ধ্যেবেলাতেও কি তুমি এরকম আড্ডা দিতে বেরিয়ে যাবে? " বহুকাল আগে বোকার মতন প্রশ্ন কিরে ফেলেছিলাম, " কেন বলো তো? ওই দিন বাড়িতে কোনো কাজ আছে নাকি?" ঝাঁঝালো জবাব এসেছিল, " ওই তারিখটাতেই আমার বাবা আমার হাত -পা বেঁধে আমাকে জলে ফেলে দিয়েছিল! হুঁ! রসকষহীন মানুষ একটা! " হাতপা বেঁধে জলে ফেলে দেওয়া প্রবচনটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মনে পড়ে গেসল ছাব্বিশ তারিখটির বিশেষত্বটি কি! তবে এবারে আর গৃহিনীকে মনে পড়াতে হয় নি আমাদের পুত্রটির কারণে।

ফরাসী জনতার রায় - পশ্চিমে সূর্যোদয়

প্যারি কমিউন দুনিয়াকে দিয়েছিল সর্বহারার আন্তর্জাতিক সংগীত - ল্য ইন্টারন্যাশনালি। বিতাড়িত কমিউনার্ড ইউজিন পতিয়ের লন্ডনে বসে লিখেছিলেন 'লা ইন্টারন্যাশনালি'। উচ্ছ্বসিত ফরাসী জনতার সোচ্চার সমবেত কন্ঠে আজ আবার লা ইন্টারন্যাশনালি। জ্যঁ-লুক মেঁলশঁ প্যারিসের রাস্তায় সমবেত জনতার মাঝে মঞ্চে উঠছেন জনতাকে অভিবাদন জানাতে, লাখো লাখো জনতা সেখানে।

আরও পুরানো লেখাগুলি

খেয়াঘাট

এই গ্রামের বাইরে বড় একটা যায়নি হাবুল মাঝি। নৌকা নিয়ে ব্রাহ্মণী নদীর তীরের শিবরাত্রির মেলায় যাওয়া ছাড়া। দু একবার অবশ্য নবদ্বীপ গেছে পার্বণে। এই তার পৃথিবী। কলকাতার নাম শুনেছে, টিভিতেও দেখেছে, লোকে লোকারণ্য, যেন বারমাস মেলা লেগে আছে। অবশ্য কলকাতার গঙ্গা নদী দেখার একটা সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য কোথায়? এই বই নদীর উপরেই খেয়া পারাপার করছে তার তিন গুষ্টি, এ নদীও তো ব্রাহ্মণী হয়ে গঙ্গা বেয়ে বৈতরণীর ঘাটেই ঠেকেছে। জল স্পর্শ করে মাথায় ঠেকায় মাঝি।

বিজেপি বনাম আরএসএসঃ রাগ-অভিমান না নাটক

বাজারে জোর খবর বিজেপির নির্বাচনী রথ ২৪০ আসনে আটকে যাওয়ায় আরএসএস বেজায় ক্ষুব্ধ। অনেকে বলছেন দল যদি ৩০০ আসন পেত তাহলে নাগপুরের গুরুরা বিশ্বগুরুর একাধিপত্য মাথা পেতে মেনে নিতেন। অনেকে বলছেন বিজেপি বিপাকে পড়লে সংঘ খুশিই হয় কারণ তখন তাঁদের গুরুত্বটা প্রতীয়মান হয়ে ওঠে। কিন্তু সত্যিটা কী? বিজেপি এবং আরএসএসের মধ্যে কি দূরত্ব বাড়ছে?

আখ্যান

বিজেপি বনাম আরএসএসঃ রাগ-অভিমান না নাটক

বাজারে জোর খবর বিজেপির নির্বাচনী রথ ২৪০ আসনে আটকে যাওয়ায় আরএসএস বেজায় ক্ষুব্ধ। অনেকে বলছেন দল যদি ৩০০ আসন পেত তাহলে নাগপুরের গুরুরা বিশ্বগুরুর একাধিপত্য মাথা পেতে মেনে নিতেন। অনেকে বলছেন বিজেপি বিপাকে পড়লে সংঘ খুশিই হয় কারণ তখন তাঁদের গুরুত্বটা প্রতীয়মান হয়ে ওঠে। কিন্তু সত্যিটা কী? বিজেপি এবং আরএসএসের মধ্যে কি দূরত্ব বাড়ছে?

খেয়াঘাট

এই গ্রামের বাইরে বড় একটা যায়নি হাবুল মাঝি। নৌকা নিয়ে ব্রাহ্মণী নদীর তীরের শিবরাত্রির মেলায় যাওয়া ছাড়া। দু একবার অবশ্য নবদ্বীপ গেছে পার্বণে। এই তার পৃথিবী। কলকাতার নাম শুনেছে, টিভিতেও দেখেছে, লোকে লোকারণ্য, যেন বারমাস মেলা লেগে আছে। অবশ্য কলকাতার গঙ্গা নদী দেখার একটা সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য কোথায়? এই বই নদীর উপরেই খেয়া পারাপার করছে তার তিন গুষ্টি, এ নদীও তো ব্রাহ্মণী হয়ে গঙ্গা বেয়ে বৈতরণীর ঘাটেই ঠেকেছে। জল স্পর্শ করে মাথায় ঠেকায় মাঝি।

হকার সরাতে বুলডোজার?: অপারেশন সানশাইন ২.০!!

অপারেশন সানশাইন বিরোধী আন্দোলনের কালজয়ী নেতৃত্বও আজকের এই উচ্ছেদ নিয়ে নিঃশর্ত ভাবে হকারদের পাশে নেই। কেন? দাবার চালে অন্য খেলায় কি মগ্ন তাঁরা? অপারেশন সানশাইনের সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া বুলু পোদ্দারের কথা কি তাঁরা ভুলে গেছেন? তাঁরা কি ভুলে গেছেন লকডাউনের সময় কীভাবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন এই শহরেরই তিন হকার।

উন্নয়ন সবার জন্য হলে, হকার উচ্ছেদ তবে কার জন্য?

হকার উচ্ছেদের বা নিয়ন্ত্রণের পেছনে যে যুক্তি সেটি বৈধতার যুক্তি ও নাগরিক নিয়মের যুক্তি। পথ তো পথচারীদের জন্য সেখানে কেউ জিনিষ বিক্রি করবেন কেন? কথাটা মোটেই ফেলে দেওয়ার মত নয়। সত্যিই তো পথ জোড়া ডালা নিয়ে বসলে পথিকদের হাটতে অসুবিধা হওয়ারই তো কথা। এর পরের যুক্তি সৌন্দর্যায়নের, হকারি অসুন্দর। যেমন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সুন্দর নিউ টাউনে হকারদের ঝুপড়ি দেখতে মোটে ভালো লাগে না। এই দুই যুক্তির সাথে আসলে মিলে মিশে আছে বৈধতার যুক্তি। কেন কেউ অনুমতি ছাড়া কোনও জায়গায় ডালা নিয়ে বসেই যাবেন? সেটা তো অবৈধ।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্গঠন করবেন নরেন্দ্র মোদি?

আজকাল নরেন্দ্র মোদিরা এমন হাবভাব করছেন যে মনে হচ্ছে বুঝিবা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় নতুনভাবে গড়ে তোলাটা বিজেপির পরিকল্পনা। কিন্তু আসলে সে পরিকল্পনা পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের। ২০০৭-এ অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়া শীর্ষ বৈঠকে ভারতের বিহার রাজ্যে প্রাচীন নালন্দা মহাবিহারের কাছেই নালন্দার নামে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা আলোচনা হয়। দক্ষিণ এশিয় দেশগুলি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। ২০২৪ সালে একটা ভবন উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী হিন্দু-মুসলমান খেলতে শুরু করে দিলেন। ভাষণ দিলেন নালন্দা গৌরব তারা ফিরিয়ে আনবেন।

মোদি -৩ সরকার : ‘এম এস পি’ – র বর্তমান বৃদ্ধিতে কৃষক-প্রীতি কতখানি ?

কৃষকদের সঙ্গে সংঘাতের রাজনীতিকে চালিয়ে যাওয়াই মোদি সরকারের কৃষি নীতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কৃষক আন্দোলনের চাপে কৃষি আইন প্রত্যাহার করাটা মোদি সরকার কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এম এস স্বামীনাথনকে ভারতরত্ন প্রদান আর তাঁর এম এস পি সংক্রান্ত সুপারিশকে বাজে কাগজের ঝুড়িতে ফেলে দেওয়ার দুমুখো নীতিই মোদি সরকারের স্বাভাবিক চরিত্র। সাম্প্রতিক এম এস পির ঘোষণাতেও তার প্রতিফলন ঘটল। স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশের তুলনায় অনেক কম মূল্যে কৃষিপণ্যের এম এস পি নির্ধারণ করে মোদি ৩ সরকার তাদের কৃষক বিরোধী নীতি বজায় রাখার কথা ঘোষণা করল।