নদীর ধারে যেখানে এসে বাইক দাঁড়াল তার ওপাশেই পাহাড়। ডাইনে বাঁয়ে যত দূর চোখ যায় সেই পাহাড়ের সারি। নদী তেমন চওড়া নয়, তবে নদীখাত অনেকটাই বড়। পুরোটাই নুড়ি আর পাথরে ভরাট। মাঝখানে হাত দশেকের জায়গায় এক নাগাড়ে বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি জলের ধারা। নদী। ওপারের পাহাড় ঘন সবুজ।
NRC যে কোন রথে চড়ে কোন শুভ (!) দিনে আসছে তা বোঝা দুষ্কর। ইতিমধ্যে সাম্প্রতিক CAG প্রতিবেদনে আসামের NRC সম্বন্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। তৎকালীন NRC কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা এবং সিস্টেম ইন্টিগ্রেটর উইপ্রো কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে এই প্রতিবেদন। কিন্তু এই NRC কর্মকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কারিগর বিজেপি দল ও সুপ্রিম কোর্ট কি এর দায় এড়াতে পারে?
ভারত জোড়ো যাত্রার মহারাষ্ট্র চ্যাপটারে অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যু গুলোর সঙ্গে আদিবাসীদের জমির অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সামনে এনেছেন রাহুল। বিজেপি - আরএসএস'র মুখিয়াদের ওই 'আদিবাসী' বা ‘মূলবাসী' নামটা একেবারেই না পসন্দ, তাঁরা দেশের ওই বিশাল সংখ্যক মানুষকে 'জঙ্গল বাসী' বলে চালিয়ে দিতে চান তাদের কর্পোরেট লুঠেরাদের স্বার্থে। সংবেদনশীল এই ইস্যুটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশের প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতির পরম্পরা।
১ স্বমেহনে ভারমুক্ত হয়ে লেখার প্লট এ আবার মন বসাতে চেষ্টা করে রাজনৈতিক প্রবন্ধকার রাজিউদ্দীন আহমদ রাজু। কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারে না। লেখার সূত্রগুলো সুতা ছেঁড়া ঘুড়ির মত উড়ে ফুঁড়ে কেবলই হারিয়ে যাচ্ছে হেথায় হোথায়। অক্ষরগুলোকে বিক্ষিপ্ত লাগছে। যেন নাচছে, গাইছে। কখনও ছোট হয়ে তলিয়ে যাচ্ছে আবার কখনও বিকট বড় হয়ে মুখব্যাদান করছে ল্যাপটপের পর্দায়। বিপর্যস্ত হাতের চাপে ককিয়ে উঠছে মাউস। রাজু বুঝতে পারে হিমবাহ গতিতে ধমনী বেয়ে নেমে আসছে অবসাদ। তাৎক্ষণিক তৎপরতায় এ অবসাদ এখুনি ঝেড়ে ফেলতে না পারলে মানসিকভাবে ও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
এই মূহুর্তে যোশীমঠ চর্চার মধ্যে রয়েছে,সবাই পড়ছে শুনছে তারপর আবার নতুন কোন খবর এসে যাবে আমাদেরও দৃষ্টি সেদিকে ঘুরে যাবে। আবার কোনদিন দেখবো চামোলি কিম্বা শ্রীনগর কিম্বা দেবপ্রয়াগ কিম্বা রুদ্রপ্রয়াগ সংবাদে উঠে এসেছে, আবার আমরা অবাক হবো। অথচ যে বিনাশ যাত্রার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তাকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবো না কখনও।
ভারতের মত দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয় কর্মসংস্থান। প্রতিবছর তাই কর্মসংস্থানের প্রশ্নে ভারতীয় রাজনীতিবিদরা একের পর এক প্রতিশ্রুতি দেন যা কখনো বাস্তবায়িত হয় না।২০১৪ পরবর্তী সময়ে এই প্রতিশ্রুতির পরিমাণ যেমন বেড়েছে ( প্রতিবছর ২-৩ কোটি) তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেকারি।একথা ইতিপূর্বে বহু আলোচিত যে নরেন্দ্র মোদির আমলে বিগত পঁয়তাল্লিশ বছরের যাবতীয় রেকর্ডকে ভেঙে দিয়ে বেকারি শিখর ছুঁয়েছে। সেই আচ্ছে দিনের গল্প, সেই আচ্ছে দিনের শবযাত্রার কাহিনী থাকলো।
অন্যরা যখন অর্থবল বা সরকারের পেশীবলের কাছে আত্মসমর্পণ করে চলেছেন একে একে তখন রবীশকুমার দেখালেন যে, সব মানুষের শিরদাঁড়া বিক্রি হয় না, হবার নয়।
অবশেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আপাতত মাথা নত করলো, কেন্দ্রীয় সরকার। কলেজিয়াম পদ্ধতি যত দিন না পরিবর্তন হচ্ছে, ততদিন বিচারপতিদের আসন শূন্য থাকবে বলে হুমকি দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে ৪৪ জন বিচারপতিকে নিয়োগ করবে বলে জানালো সর্বোচ্চ আদালতে। কি সেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা, যা নিয়ে এতো ভীত কেন্দ্রের সরকার? কলেজিয়ামের পরিবর্তে NJAC হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হবে, সেই নিয়েই এই আলোচনা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি সরকারী অনুষ্ঠানে জয় শ্রী রাম শ্লোগান তোলা নিয়ে তাঁর আপত্তি জানিয়ে থাকেন, নিশ্চিত উচিৎ কাজই করেছেন, কিন্তু আরো একটা কথা থেকেই যায়, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন, তখন কি তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, যে এই প্রধানমন্ত্রী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়েই গুজরাট গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল? তিনি কি ভুলে গিয়েছিলেন এই প্রধানমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মানুষদের নিয়ে কী বলেছিলেন?
মোবাইল ফোনের প্রযুক্তিটা আজকাল এমন যে একজন মানুষ কোথায় কখন কার সঙ্গে কী কথা বলছেন, কী বার্তা চালাচালি করছেন, সব একটা সেন্ট্রাল সার্ভারে প্রতি দিন জমা হচ্ছে। কেউ দেখতে চাইলেই দেখতেও পারে, তার ভিত্তিতে মনিটরিংও করতে পারে। তার সঙ্গে যদি পেগাসাসের মতো স্পাইওয়ার যুক্ত হয়, কি হতে পারে?
মোবাইল ফোনের প্রযুক্তিটা আজকাল এমন যে একজন মানুষ কোথায় কখন কার সঙ্গে কী কথা বলছেন, কী বার্তা চালাচালি করছেন, সব একটা সেন্ট্রাল সার্ভারে প্রতি দিন জমা হচ্ছে। কেউ দেখতে চাইলেই দেখতেও পারে, তার ভিত্তিতে মনিটরিংও করতে পারে। তার সঙ্গে যদি পেগাসাসের মতো স্পাইওয়ার যুক্ত হয়, কি হতে পারে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি সরকারী অনুষ্ঠানে জয় শ্রী রাম শ্লোগান তোলা নিয়ে তাঁর আপত্তি জানিয়ে থাকেন, নিশ্চিত উচিৎ কাজই করেছেন, কিন্তু আরো একটা কথা থেকেই যায়, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন, তখন কি তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, যে এই প্রধানমন্ত্রী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়েই গুজরাট গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল? তিনি কি ভুলে গিয়েছিলেন এই প্রধানমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মানুষদের নিয়ে কী বলেছিলেন?
মিড-ডে মিল ব্যাপারটা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলো ভীষণই গোলমেলে। আমাদের রাষ্ট্রনেতারা এটাকে একটা ফালতু খরচের বেশি কিছু মনে করেন না। কারণ সহজবোধ্য। ছয় থেকে চোদ্দর বাচ্চারা ভোটার নয়। আঠারোইয় পৌঁছে ভোটার হতে হতে তারা স্কুলে কী খাবার পেয়েছিল না-পেয়েছিল সেসব ভুলে যাবে। (এ তো আর কন্যাশ্রী নয় যে আঠারোয় পা দিতেই হাতে-হাতে নগদ পঁচিশ হাজার এবং প্রতিদানে এক-একটি পরিবারের অন্তত খান চারেক ভোটের নিশ্চয়তা।) আমরা, সমাজের সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষজন মিড-ডে মিলকে দেখি গরীব ছাত্রদের জন্য নিছক একটা দয়ার দান হিসেবেই গণ্য করি।
বিষাদগ্রস্ত হরিমেলার মাঠটা ভাবেনি, হরিমেলা ভাঙার সাতদিনের মাথায় আবার এত মানুষের সমাগম হবে মাঠে। সে তার বিষাদ ভেঙে চোখ মেলে দেখে অনেক লোক। কিছুদিন আগেই মেলা ভেঙেছে। মেলার দোকানের ছাই, আধ পোড়া কাঠ, জলের বোতল, এঁটো বাসি খাবারের কাগজ ঠোঙা, ছেঁড়া চিপসের প্যাকেট এখনও উড়ে বেড়াচ্ছে মাঠময়। মেলা চলার সময় কেউ খেয়াল রাখে না, মেলা ভেঙে গেলে ফেলে যাওয়ার পর কতখানি বিষাদ মাঠের বুক ভারী করে রাখে।
দুই বছর আগে ফুটবল রাজপুত্র মারাদোনা পাড়ি দিয়েছিলেন চিরঘুমের দেশে, এবার তাঁর সঙ্গে সেখানে মিলিত হতে চললেন আরেক মহিমান্বিত ১০ নম্বর জার্সি, আদ্যন্ত ঈশ্বরভক্ত ক্যাথলিক ফুটবল সম্রাট এডসন আরান্টেস ডু নাসিমেণ্টো ওরফে একমেবাদ্বিতীয়ম ‘পেলে’। খালি পড়ে রইল সম্রাটের সিংহাসন আর মুকুট, চিরনিদ্রার দেশে পাড়ি দিলেন ফুটবল সম্রাট, কিন্তু ফুটবলপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে রয়ে গেল ফুটবল সম্রাটের উপস্থিতি, তিনি একজনই একমেবাদ্বিতীয়ম, ফুটবল হৃদয়ের দুর্লভতম হীরে, কালোমানিক ‘ব্রাজিলের পেলে’।
সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখলে মৌসুমী ভৌমিক একটি অনন্য ছাপ রেখে চলেছেন। ১৯৯২ সাল পরবর্তী বাংলা গানের মেজাজে যে পরিবর্তন চিহ্নিত হল, তাতে শহরের যাপন, বাম রাজনীতির স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের কথা কিম্বা শহরকে ভালবাসার যে অনাবিল মুহূর্তগুলি তৈরি হল তার মধ্যে মহিলা যাপনের সুখদুঃখ-বেদনানুভূতির এক অচেনা সমারোহে নিয়ে মৌসুমীর গানে ধরা দিল, আর আমরা পেলাম মৌসুমী ভৌমিকের গান।