পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

আলোর সন্ধানে

  • 29 June, 2023
  • 1 Comment(s)
  • 926 view(s)
  • লিখেছেন : মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়
তখন যন্তরমন্তরে ধর্না দিয়ে আছেন এ দেশের নারী কুস্তিগীরেরা। কুস্তিগীর ও নারী শব্দটিকে পাশাপাশি রেখে যারা দুনিয়া জয় করেছেন তাদের ন্যায়ের জন্য বসতে হয়েছে রাস্তায়। বেটি বাঁচানোর সমস্ত বুলির ভিতরের ফাঁপাটুকু সবার সামনে উঠে এসেছে। সেই সময়েই এক নতুন লড়াইয়ের খবর দিলেন মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়

তমসাচ্ছন্ন দেশে যখন সব দিক দিয়ে বহুস্বরকে রুদ্ধ করা হচ্ছে,  ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, জনগোষ্ঠীর পারষ্পরিক বিভেদ, বিদ্বেষ ঘৃণা দেখে মনে হচ্ছে সৃষ্টির মনের কথা দ্বেষ, আর  অন্যদিকে ভোগের উত্তুঙ্গ পর্বত দেখনদারির অশ্লীল আয়োজন,  তখন মন  খুঁজতে থাকে সেই দেশ  যেখানে এখনো মিলনের বাণীই  মূলভাব , যেখানে বহু রকম ভাবে প্রতিবাদের প্রতিরোধের ধারা বয়ে চলে। দেশের দুইটি রাজ্যে দুটি ভিন্ন দলীয় রাজনীতি মুক্ত উদ্যোগে উপস্থিত হয়ে কিছুটা ভরসা হল।

প্রথমটি নারী নেতৃত্বের সম্মেলন।‌
তখন যন্তরমন্তরে ধর্না দিয়ে আছেন এ দেশের নারী কুস্তিগীরেরা। কুস্তিগীর ও নারী শব্দটিকে পাশাপাশি রেখে যারা দুনিয়া জয় করেছেন তাদের ন্যায়ের জন্য বসতে হয়েছে রাস্তায়। বেটি বাঁচানোর সমস্ত বুলির ভিতরের ফাঁপাটুকু সবার সামনে উঠে এসেছে।

সেই সময় উত্তম দেশ ও দুনিয়ার ভাবনা নিয়ে নারী নেতৃত্বের  দুদিনের জাতীয় স্তরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল  ভুবনেশ্বরে। মূলতঃ ওড়িশা ও ঝাড়খন্ডের মেয়েদের পাশাপাশি ছিলেন মহারাষ্ট্র, দিল্লী, হরিয়ানার নারী নেতৃত্ব। বিভিন্ন রকম কাজের সাথে এরা যুক্ত, আন্দোলন ও নির্মাণ উভয় দিকেই।
এই উদ্যোগটি শুরু হয়েছে সম্প্রতি মূলতঃ গান্ধী ভাবনা, সর্বোদয় বিচারধারায় অনুপ্রাণিত মহিলাদের মাধ্যমে।‌ মূল উদ্যোক্তা সর্বোদয় কর্মী ও অর্থনীতিবিদ প্রেরণা দেশাই । এই সময়ে একদিকে যুদ্ধ, দাঙ্গা, ঘৃণার মে ভয়াবহ পরিবেশ তার পাশাপাশি পরিবেশ ও জনজীবনকে ধ্বংস করা অতিকেন্দ্রিক বিকাশ গোটা দুনিয়াকে ঢুকিয়ে দিয়েছে এক অন্ধ গলিতে যেখান থেকে বেরোনোর কোন পথ নেই। এ যদি পিতৃতান্ত্রিক দুনিয়া হয় সেখান থেকে পুরুষেরও মুক্তি নেই। মূলতঃ এইখান থেকেই এই  উদ্যোগের শুরু।‌
এদের প্রথম সভা হয় দিল্লিতে। আমাদের দেখা হল ভুবনেশ্বরে।
এই সময়ে অসাম্য, কর্পোরেট লুঠ এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট বক্তব্যের পাশাপাশি মেয়েরা কতভাবে এই নিয়ে কাজ করছেন জেনে বড় ভালো লাগলো।

এদের বড় অংশই গান্ধী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত।

আমাদের বিস্মিত করেন ঝাড়খন্ডের বিন্নি যিনি ৩৫ হাজার একাকী মেয়েদের সংগঠিত করে ঘরে বাইরে লড়ছেন। একটি তাৎক্ষণিক নির্মিত নাটকে দেখালেন কীভাবে তফসিলভুক্ত আদিবাসী অঞ্চলে পর্যটনের নামে পরিবেশ ও সংস্কৃতি দুই নষ্ট হচ্ছে। অত্যন্ত মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন ইন্দিরা দাশগুপ্ত তার কর্মকাণ্ড দেশ জুড়ে, একদা শান্তিনিকেতনে যাদের পরিচালনায় সংহতি বিপণীতে প্রথম আমরা বিভিন্ন সংগঠনের তৈরি হাতের কাজ দেখেছি।
চমকিত করেন কুমকুম যখন তার কাছে জানি সংবিধান কমিটির অন্যতমা দাক্ষায়ণী ভেলায়ুধনের কথা দলিত ভাবনায় যিনি অত্যন্ত মৌলিক অবদান রেখেছেন। মুম্বাই এর মার্লিন দেখালেন কীভাবে প্লাস্টিকের বোতল যা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে তাকে কীভাবে অন্যরকম নির্মাণে লাগানো যায়।


বড় আশ্চর্য লাগে জেনে যে উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যে যেখানে সাংবাদিক খবর সংগ্রহ করতে গেলে গুলির শিকার হন, যেখানে রামরাজ্য আর মনুসংহিতার বিরুদ্ধে মুখ খোলা যায় না, সেখানেও মেয়েরা কাজ করছেন।


কিন্তু সবার উপরে যিনি উজ্জ্বল হয়েছিলেন তিনি ৮৪ বছর বয়স্কা সর্বোদয় নেত্রী ওড়িশার কৃষ্ণা মহান্তি, সকলের অতি প্রিয় 'তিনু আপা'। তিনি  মালতী  ও নবকৃষ্ণ চৌধুরীর কন্যা যাঁদের দেখা হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। মালতী ব্রাক্ষ্ম পরিবারের মেয়ে, রবীন্দ্রনাথ ডাকতেন মিনু আর নবকৃষ্ণ ওড়িশা থেকে এসেছিলেন গান্ধীর পরামর্শে। উভয়েই রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ। বিয়ের পর দুজনেই গান্ধীর আন্দোলনে যুক্ত হন। গান্ধী মালতীকে বলতেন তুফানি, এমনই জোরালো ছিল তাঁর ব্যক্তিত্ব। নবকৃষ্ণ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। আবার দুজনেই পড়ন্ত বেলায় জরুরী অবস্থার প্রতিবাদে জেলে গেছেন।

কৃষ্ণা মহান্তি অবশ্য তার নিজের জীবনব্যাপী কর্মকাণ্ড দিয়েই সর্বজনশ্রদ্ধেয়। কী স্পষ্ট তার ভাবনা এবং বক্তব্য।  কুসংস্কারের বিরুদ্ধে,  জল জমি জঙ্গলের বানিজ্যিকরণের বিরুদ্ধে , সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে এবং সর্বোপরি সরকারের ভ্রান্ত নীতির কঠোর সমালোচনা করলেন।

আমাদের সাথে স্পষ্ট বাংলায় কথা বললেন। মুক্তধারা অনুবাদ করেছিলেন ওড়িয়ায়। কিছুকাল আগে ওড়িশাতে একটি হেতুবাদী আন্দোলন হয়েছে যা কুসংস্কারবিরোধী। সাধারণ ভাবে ওড়িশার দৃশ্যমান বড় অংশ ধার্মিক এবং তাদের অনেকের মধ্যেই এই অনুষঙ্গে গোটা ভারতের মতই মেয়েদের মধ্যে নব্য হিন্দুত্ববাদী কুসংস্কারের প্রাবল্য। (ইদানিং বাংলায় যেমন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজে ব্রতপালনের ঝোঁক এসেছে।) এই  আলোচনাতেও একধরনের নরমপন্থী ভাব উঠে আসছিল, ফলে বিতর্ক শুরু হল। কৃষ্ণাদি তখন শোনালেন তাঁর কমবয়সের গল্প, যে বেড়ে ওঠায় কোনো কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য এই দেশের বর্তমান সংকটের স্বরূপ উন্মোচিত করে যেখানে নবীন প্রজন্ম হয়ে উঠছে ধর্মান্ধ।

১৯২৫ সালে হেডগেওকার প্রমুখের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, রোপিত হয়েছে বিষবৃক্ষ। আজ যে মহীরুহ হয়ে গোটা দেশকে ঘৃণার বিষবাষ্পে গ্রাস করেছে। সংঘের প্রচার ও প্রসারের মূল ভিত্তি হল শাখা। যার মূল লক্ষ্য হল ছোট ছেলেমেয়েরা। প্রত্যেকদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে (প্রায় সর্বত্র) চলতে থাকা এই শাখায় ছোটরা আসে স্বাভাবিক আগ্রহে, সেখানে খেলাধূলা ও অন্যআন্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয় ফ্যাসীবাদ। এই শাখা উগ্রপন্থী হিন্দু তৈরি করে, যারা কোনো যুক্তির সামনে দাঁড়ায় না। পশ্চিমবঙ্গের  মত অনেক রাজ্যেই এই বিষয়টিকে কখনোই তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। মাদ্রাসায় নাকি জঙ্গি তৈরি হচ্ছে এইধরনের ভাবনা যারা ছড়াতেন তারাও‌ কিন্তু শাখা নিয়ে কোনো চিন্তা ব্যক্ত করেননি। আজ এই শাখা তার আনুষঙ্গিক কাজকর্মের ভয়াবহ‌ ফলে যত্রতত্র আমরা সেই হিন্দুজাগরণ দেখছি। আজ মণিপুরের ভয়াবহ পরিণতির পিছনেও আছে বহু বছরের শাখা রাজনীতি।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এই বাড়বাড়ন্তের কালে এমন নয় যে এর বিকল্প ভাবা হয়নি। খোদ মহারাষ্ট্র থেকেই শুরু হয়েছিল একটি প্রতিস্পর্ধী উদ্যোগ রাষ্ট্র সেবা দল। এই উদ্যোগ প্রায় সমসাময়িক হলেও তার মূল আদলটি তৈরি হয় ১৯৪১ সালে। এর মূলে ছিলেন সে সময়ের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজবাদী মানুষজন। পান্ডুরঙ্গ সদাশিব সানে মারাঠি লেখক, শিক্ষক, স্বাধীনতা সংগ্রামী, শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত সবার প্রিয় 'সানে গুরুজী' যার অন্যতম। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই রাষ্ট্র সেবা দলের শাখা চলে সেখানে ছেলেমেয়েদের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বৈজ্ঞানিক চিন্তা, সমাজবাদের পাঠ দেওয়া হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সানে গুরুজীর বিখ্যাত আন্দোলন পান্ধারপুরে বিঠ্ঠল মন্দিরে দলিত প্রবেশাধিকারের সত্যাগ্রহ। জরুরী কিছু তথ্য দেওয়া উচিৎ এই বিষয়ে, রাষ্ট্র সেবা দলের সঙ্গে বিশেষ ভাবে যুক্ত ছিলেন  নরেন্দ্র দাভোলকার, গোবিন্দ পানসারে। আর ছিলেন স্মিতা পাতিল ও মেধা পাটেকার। ইউসুফ মেহেরালী সেন্টারে তেল তৈরির একটি যন্ত্র দান করেছেন চিত্রতারকা মনোজ বাজপেয়ী।

সম্প্রতি রাষ্ট্র সেবা দলের বিহারের একটি শিবিরে গিয়ে রীতিমত চমৎকৃত হলাম সভা গৃহে একই সাথে গান্ধী আম্বেদকর ফুলে সাবিত্রীবাই ফাতেমা শেখ এবং ইউসুফ মেহেরালীকে দেখে। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে ফ্যসিবাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এদের একসাথে মিলানো গেছে তাহলে। ভাগলপুর থেকে প্রায় ঘন্টা খানিকের পথ বিহপুরে। সপ্তাহব্যাপি এই শিবিরে ছেলে মেয়ের সংখ্যা প্রায় আশি।  বিহারের বিভিন্ন জেলা তারা থেকে এসেছে তার মধ্যে মেয়েই বেশি। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নিয়মে বাধা এই শিবিরে প্রার্থনা যোগব্যায়াম ক্যারাটে এরোবিক্স ল্যাটিন এর পাশাপাশি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। এই সাতদিনে বিভিন্ন জন বিভিন্ন বিষয়ের উপর ক্লাস নিলেন যে পড়াশোনা ইস্কুলে কখনো হয় না। তথাকথিত সামার ক্যাম্প নয়, এখানে এসেছে গ্রামীণ সরকারি স্কুলে পড়া ছেলেমেয়েরা। কলেজেরও ছিল। শিবিরের নিয়ম অনুযায়ী এরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সমস্ত কাজকর্ম করছে। বিহারে বসে সংরক্ষণের মত বিতর্কিত বিষয় নিয়ে চমৎকার আলোচনা হল। আমার ভাগে ছিল মেয়েদের 'সশক্তিকরণ". দেখা গেল মেয়ে এবং ছেলের শক্তি ও মেধার বিশেষ পার্থক্য আছে বলে আজকের ছেলেমেয়েরা মনে করে না। এটা বেশ ভালো লাগল। বছর দশেক আগেও এধরনের আলোচনায় ছেলেদের বুদ্ধি এবং শক্তি দুটোই বেশি বলে ধরা হতো। আর যখন জানতে চাইলাম মেয়েদের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা কী, সবাই বললো মেয়েদের চলাফেরায় স্বাধীনতা নেই। এটাও এক অর্থে ইতিবাচক কারণ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না, জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ জাতীয় সম্প্রতি এখন আর তত বড়‌ নেই। কিন্তু সকলকে ভাবিয়ে তুললেন আর এক সমাজকর্মী গৌতম তখন তিনি বললেন কুসংস্কারের কথা। ইদানিং সব বয়সের মানুষের মধ্যেই সংস্কার চিহ্ন বড় প্রবল ভাবে দৃশ্যমান। হাতে ধাগা, গলায় ধাগা , তাবিজ ইত্যআদই নিয়ে জোরদার সওয়াল জবাব চললো। জানি না এর কতটুকু ছেলেমেয়েরা অতিক্রম করবে, কিন্তু প্রশ্নটা মনে জাগবেই। বিষয়গুলি যতই তুচ্ছ থাক এখন এই "আচারের মরুবালিরাশি" মানুষকে কীভাবে বন্দী করছে আমরা দেখছি।


 
বিহপুরের এই শিবিরের প্রধান উদ্যোক্তা রবীন্দ্রজী এই গ্রামেই থাকেন। সমগ্র আয়োজন হয়েছে মানুষের কাছে দান নিয়ে। প্রত্যেকদিন ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গ্রামের মানুষও দেখছেন এবং সাহায্যও করছেন। রবীন্দ্রজী আমায় নিয়ে গেলেন ইউসুফ মেহেরালী সেন্টারে। অবহেলায় ভেঙে পড়া গান্ধী প্রতিষ্ঠানের মাঝে একটি মাত্র অক্ষত ঘরে ইউসুফ মেহেরালী সেন্টার চলছে। সেখানে সর্ষে পেষাই করে তেল তৈরি করেন গ্রামের এক মহিলা। অতি খাঁটি এই তেল বিক্রি হয় দূর দূরান্তে। ইউসুফ মেহেরালী সেই প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি সাইমন গো ব্যাক ও কুইক ইন্ডিয়া স্লোগানের স্রষ্টা। স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের যোগদানকে বারবার মিথ্যা প্রচারে খর্ব করা হয়, সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইউসুফ মেহেরালীর নামাঙ্কিত এই সেন্টার যা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আছে তার কর্মকাণ্ড সত্যিই ভাবায়। রবীন্দ্রজী বললেন স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রণী মুসলমান ব্যক্তিত্বের কথা ইতিহাসে তেমন নেই। একটু হেসে জুড়লেন ছবি এবং নাম দেখলেই লোকে প্রশ্ন করে। সেখান থেকেই কথা শুরু হয়।

ওড়িশা এবং বিহারে বিশেষ পরিসরে এই কথা বলা ও শোনার প্রক্রিয়া দেখে ভরসা জাগলো। এই মুহূর্তে এই নারী উদ্যোগ দেশজুড়ে মণিপুরের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে সচেতনতার উদ্যোগ নিয়েছে।‌ ফ্যাসীবাদ ও মনুবাদের মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় রাজনীতির বাইরে নানান প্রয়াস চলছে।‌
এইটুকুই সম্বল।
ওড়িশায় শেষদিনে মের্লিন বললেন এসো নিজের নিজের ভাষায় বলি কবির সেই অমোঘ বাক্য

"চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির"

1 Comments

Somenath Guha

01 July, 2023

একদম বুনিয়াদি স্তরে ভিন্ন ধরনের একটি আন্দোলন। পড়ে খুব ভালো লাগল। যারা দিন বদলের স্বপ্ন দেখেন তাঁদের এই সব সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়া উচিত।

Post Comment