পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পারস্পরিক সম্পর্ক, ভালবাসা জাতিধর্মনিরপেক্ষ। হিংসা-বিদ্বেষ কৃত্রিম; প্রেম, সহিষ্ণুতা হল স্বাভাবিক। তবু মানুষ কেন অন্য মানুষকে ঘৃণা করে! হিংসা মানুষের স্বগত ধর্ম নয়, তার প্রধান বৈশিষ্ট্য শান্তরস। তবু পিটিয়ে মারা হচ্ছে অন্য মানুষকে। কেন? কোন দেশে বাস করি আমরা?

Read more

by চম্পা খাতুন | 05 August, 2019 | 2287 | Tags : hatred bigotry lynching


তেলেঙ্গানাতে এক ৮০ বছরের বয়স্ক মহিলাকে তাঁর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, যদি তিনি করোনার বাহক হন, এই ভয়ে। এই বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক জলপাইগুড়িতে ফিরেছিলেন কেরালা থেকে। সরকারী নিয়মের মান্যতা দিয়ে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বাড়ির রান্নাঘরে থাকতে দেন। একদিন পর তাঁকে খাবার দিতে গিয়ে দেখা যায় যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ‘ মনে রাখবেন আমাদের রোগের সঙ্গে লড়তে হবে, রুগীর সঙ্গে নয়’ এটা প্রতিদিন হয়তো আমরা বহুবার শুনছি, কিন্তু আদপে কি করছি সেটা মনে করার কি সময় এখনও হয়নি?

Read more


প্রথাগত সংবাদপত্রের তুলনায় অনেক বেশি জনমত গড়ে তলা সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে।তার একটি বড় কারণ হল মাধ্যমটি ইন্টেরাক্টিভ। এর মধ্যে অডিও,ভিসুয়াল, প্রিন্ট,এমনকী লাইভ স্ট্রিমিং এর মতো এতগুলো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে! কিন্তু এই সামাজিক মাধ্যমের বিপদ সম্পর্কে সচেতন থাকাটা জরুরী।

Read more


ভারতেও আজকে যে কথা উঠেছে যে তারা তাদের ব্যবসার জন্য শাসকদলের কিছু নেতা মন্ত্রীর করা ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক পোস্টকে সরায়নি তা আবারও দেখিয়ে দেয় যে তৃতীয় বিশ্বের দেশে তাদের কোনও নিয়ম নেই। আমেরিকাতে তারা যেমন কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে প্রভাবিত করে, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া দেশে তারা তাদের ব্যবসার জন্য গৃহযুদ্ধ কিংবা গণহত্যার মতো ঘটনাও ঘটাতে পারে ফেসবুক

Read more


যে কোনো কৌম স্মৃতির শেষে যেভাবে সাজানো থাকে প্রকাণ্ড বাজার, মধুর রস গিয়ে ঠেকে বাৎসল্যে, ঠিক সেই নিয়মেই অধুনা আমরা সকলে দস্তুরমতো গৃহী। পারিবারিক পানাহারের আসরগুলোয় আমাদের সন্তানেরা ঘোরে ফেরে। আমরা সতর্ক থাকি, এইসব আসরে ছেলেমেয়ের সামনে যেন রাজনীতি আলোচিত না হয়। যেন নিউজ চ্যানেল না চলে। ওদের টেকনোপ্রীতি আমাদের মোহিত করে।

Read more


দেশে বিকল্পের রাস্তা খোলাই আছে। স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিবাহবন্ধনই যুক্তিপূর্ণ পন্থা। নারীর মর্যাদার দিক থেকে সেটাই প্রয়োজন। অপর ধর্মে যখন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সমস্যা আছে, তখন এটা সামাজিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভাবেই দাম্পত্য জীবনে ধর্মীয় সমমর্যাদার সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।

Read more

by মনসুর মণ্ডল | 14 November, 2020 | 1549 | Tags : Love Jihad Bigotry


সাংবিধানিক নিয়ম মেনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার হস্তান্তরে হঠাৎ সবকিছু বদলে গেল। যে শক্তির হাতে মানুষ রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিল, সে এসে থেকেই বলে চলেছে তোমাদের বোধবুদ্ধি মেধা শ্রম সবকিছু আমাদের কাছে বন্ধক রাখো। না হলে সমূহ সর্বনাশ। আর লেখাপড়া জানা বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বলে যাদের এতদিন জানা ছিল, তারাও নিষ্পাপ ভক্তে পরিণত হচ্ছেন। লিখছেন সামসুন নিহার।

Read more


ঘৃণা-বিদ্বেষের মুদ্রাটাকে উল্টে নিলে দেখা যাবে পুরুষোচিত কর্তৃত্ব-মনস্কতা। সামাজিকতা ও সংস্কারে ওতপ্রোত অথবা অনুশাসিত নারীর জীবনক্ষেত্রে আরোপিত পুরুষোচিত মাহাত্ম্য। তার প্রতি প্রীতি-মমতা-দায়-দায়িত্বে স্থিত পৌরুষেয় অনুগ্রহ। বিদ্বেষে পৌরুষ বিভীষিকাময়। পুরুষতন্ত্রের বিশেষত্ব এটা। সমাজে পিছিয়ে পড়া কিংবা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ-ভাবাপন্ন মানসিকতা ও অনিয়ন্ত্রিত পুরুষতন্ত্র পরস্পরে ঠিক মিলে যায়।

Read more


রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সবচেয়ে বড়ো সাফল্য হল ঘৃণার এক দ্বিমুখী ন্যারেটিভকে জনমানসে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হওয়া। এই ন্যারেটিভের একদিকে রয়েছে সন্ত্রাস ও হিংসার নীল নকশা যার আদর্শ উদাহরণ গুজরাট নরমেধ যজ্ঞ। সেই দর্শন ধর্ম সংসদ আবাহন করে মুসলমানদের শারীরিক ভাবে নিকেশ করার নিদান হাঁকে,মুসলমানদের আর্থিক ভাবে দুর্বল করার জন্য তাদের ব্যবসা বাণিজ্য হিন্দুদের হাতে তুলে দেবার হুমকি দেয়। আর এই ঘৃণার রাজনীতির ফেরিওয়ালাদের সাফল্য নিশ্চিত হয় যখন দেখি রেলওয়ে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর এক জওয়ান, যার দায়িত্ব রেলে সফররত যাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়া,কামরা থেকে কামড়া মুসলমান খুঁজে বেড়ায় গুলি করে হত্যার জন্য। এটাই আচ্ছে দিনের ভারত!

Read more


মুজফফরনগরে একটি স্কুলের ঐ ভিডিও দেখে চমকে উঠেছে, সারা দেশ। যাঁরাই দেখেছেন, তাঁরাই, ছিঃ ছিঃ করেছেন। একজন শিশুর মনে এইভাবে ঘৃণার বিষ ঢোকানো নিয়ে সরব হয়েছেন সকলে। অনেকেই বলেছেন, এই যদি একজন শিক্ষকের আচরণ হয়, তাহলে, আজকের এই শিশুরা কি শিখছে? তারা কি এই শিক্ষককে সম্মান করতে শিখবে, না অন্য ধর্মের সহপাঠীকে ঘেন্না করতেই শিখবে?

Read more