পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার ফলে মানুষ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের ওপরে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাই অ-আইনি পদ্ধতিতে অপরাধী শাস্তি পেলে তারা খুশি হয়। এই প্রবণতা আজকে মানুষের মধ্যে মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রীসান্ত্রীদের সমর্থন এই প্রবণতাকে সমাজের গভীরে প্রোথিত করেছে।

Read more


যখন দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের বিপন্নতার গভীরতা বুঝতে চাইছি, তখন অদ্ভুতভাবে দেখছি এক মাপকাঠি— দেখতে পাচ্ছি, এই বিপন্নতা ততটাই যতটা বিপন্ন দেশের মুসলিমরা। দেশের স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী বর্ষ পেরিয়ে এসে মুসলমান সমাজের বিপন্নতা ও সংবিধানের রিক্ততা সমার্থক হয়ে গেছে।

Read more


হকার উচ্ছেদের বা নিয়ন্ত্রণের পেছনে যে যুক্তি সেটি বৈধতার যুক্তি ও নাগরিক নিয়মের যুক্তি। পথ তো পথচারীদের জন্য সেখানে কেউ জিনিষ বিক্রি করবেন কেন? কথাটা মোটেই ফেলে দেওয়ার মত নয়। সত্যিই তো পথ জোড়া ডালা নিয়ে বসলে পথিকদের হাটতে অসুবিধা হওয়ারই তো কথা। এর পরের যুক্তি সৌন্দর্যায়নের, হকারি অসুন্দর। যেমন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সুন্দর নিউ টাউনে হকারদের ঝুপড়ি দেখতে মোটে ভালো লাগে না। এই দুই যুক্তির সাথে আসলে মিলে মিশে আছে বৈধতার যুক্তি। কেন কেউ অনুমতি ছাড়া কোনও জায়গায় ডালা নিয়ে বসেই যাবেন? সেটা তো অবৈধ।

Read more


মুসলমান, অনুপ্রবেশ, সন্ত্রাসবাদ – তিনটি প্রসঙ্গকে পরস্পরের পরিপূরক হিসাবে দেশবাসীর কাছে উপস্থিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বিজেপি ময়দানে নেমেছে। ধর্মীয় বিদ্বেষের নিক্তিতে মুসলমান আর জাতি-বিদ্বেষের নিক্তিতে বাঙালি -- দুইকে মিলিয়ে-মিশিয়ে বিদ্বেষ-বিভাজনের এক ককটেল পলিটিক্স নামিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। এতে ম্যাজিক আছে; ‘হিন্দু খতরেমে হ্যায়’ বলে বাঙালি মুসলিমদের তাক করার মধ্য দিয়ে সূক্ষ্মভাবে জাতি বিদ্বেষকে লালন-পালন করা যায়। হিন্দুত্ববাদীরা সেটাই করছে। এর ভবিষ্যৎ হবে সংঘাতময়।

Read more