আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘোষণা করেছেন “আমার সোনার বাংলা — আমি তোমায় ভালোবাসি” গানটি আর কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে গাওয়া যাবে না। কারণ? এটি “বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত”। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষও মন্তব্য করেছেন— “আমরা ভারতীয়, বাঙালি নই—ভারতীয়ত্বই আমাদের পরিচয়।” এই বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি সাংস্কৃতিক জাত্যাভিমান বিরোধী এক পরিকল্পিত বার্তা। তাই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে: হঠাৎ করে সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়ে বিজেপি নেতারা কেন রবীন্দ্র নাথের গান নিয়ে এতো উঠে পড়ে লাগল? এর মধ্যে কি এমন বিষয় লুকিয়ে আছে যাতে রবীন্দ্রনাথের গানকে নিষিদ্ধ করতে হবে? আমাদের মনে প্রশ্ন জাগছে—তাহলে কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান আগামী ভারতবর্ষে নিষিদ্ধ হতে পারে? নাকি রবীন্দ্রচর্চা ভারতবর্ষে ধীরে ধীরে “নিষিদ্ধ ইশতেহার”-এ পরিণত হবে? এরই একটা পোস্টমর্টেমের চেষ্টা এই নিবন্ধে। প্রসঙ্গত, নিবন্ধের শুরুতেই বলে রাখা ভালো—আজ এই দেশে শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথের গান নয়, রবীন্দ্র সাহিত্যকেও সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে যা অতি সন্তর্পনে কৌশলে এবং সারা দেশজুড়ে। তাই আমরা নিবন্ধের মধ্য দিয়ে অনুসন্ধান করব—রবীন্দ্রনাথকে “সেন্সর” করার প্রকৃত কারণ কী? কেন বারবার রবীন্দ্রনাথের ভাবনা-চিন্তার উপর এই সেন্সরশিপ নেমে আসছে?
রবীন্দ্রনাথ: জাতীয়তাবাদের অন্য স্বর
প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো, আমরা রবীন্দ্রনাথকে শুধুমাত্র নোবেলজয়ী কবি হিসেবে দেখব না; বরং তাকে বিশ্লেষণ করবো এক রাজনৈতিক চিন্তক হিসেবে—তবেই আমরা আমাদের মূল প্রশ্নের উত্তর এর কাছে যেতে পারবো এবং বুঝতে পারব কেন রবীন্দ্রনাথকে সেন্সর করা হচ্ছে। আসলে রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন ভারতবর্ষের প্রকৃত আত্মাকে, ভারতবর্ষের প্রকৃত সংস্কৃতিকে; তাই তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতির বিকাশের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদের বিকাশ লক্ষ্য করেছিলেন—তার রাজনীতির উদ্দেশ্য ছিল ঐক্যমূলক জাতীয়তাবাদ। তাই আমরা দেখি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের প্রাক্কালে তিনি লেখেন “আমার সোনার বাংলা — আমি তোমায় ভালোবাসি” গানটি । যা দুই বাংলার ঐক্যের যোগসূত্র, তখন সেটি কোনো দেশের জাতীয় সংগীত নয় ; বরং বিভক্ত বাঙালির আত্মপরিচয়ের গান ছিল—“আমার সোনার বাংলা — আমি তোমায় ভালোবাসি”। এই বিষয়ে মনে পড়ে যায় কবি এজরা পাউন্ডের কথা। এজরা পাউন্ড বলেছিলেন—বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় লেখা রবীন্দ্রনাথের গান বাঙালিকে একটা জাতিতে পরিণত করেছিল। সুতরাং বঙ্গভঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে দুই বাংলার কাছে এই গানটি একাধারে প্রতিবাদের ও ঐক্যের গান, যা সেদিন থেকে আজও আপামর বাঙালির মনের মণিকোঠায় গভীরভাবে অনুরণন তুলে এসেছে। এই দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে রবীন্দ্রগানের মধ্যে যে দেশপ্রেম তা কখনো সংকীর্ণ ছিল না। বরং রবীন্দ্রনাথ আমাদেরকে এই শিক্ষা দিয়েছেন—যদি দেশপ্রেমের পরিণতি অন্য দেশের প্রতি ঘৃণা করতে শেখায়, তবে সে দেশপ্রেম মানবতার পক্ষে নয়। উপরিউক্ত ভাবনাগুলোর দিকে আলোকপাত করলে পরিষ্কার বোঝা যায়—উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা আরএসএস বা বিজেপির “হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদের” বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ; সেই কারণে আরএসএস এর রেপ্লিকা বিজেপি তাদের পরিচালিত রাজ্যগুলোতে ধীরে ধীরে কৌশলে, পরিকল্পিতভাবে রবীন্দ্রনাথকে পাঠ্যক্রম থেকে মুছে ফেলার পরিকল্পনা করছে । প্রকৃত প্রস্তাবে, বিজেপি রবীন্দ্রনাথের মুক্তচিন্তাকে ভয় পায়। আরএসএস জানে—রবীন্দ্রনাথের মানবতাবাদী দর্শন তাদের মতাদর্শিক ধর্মতত্ত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সুতরাং—রবীন্দ্রনাথকে আটকাও, রবীন্দ্রনাথকে হটাও।
পাঠ্যক্রম থেকে রবীন্দ্রনাথের অপসারণ: সাংস্কৃতিক সেন্সরশিপের রাজনীতি
২০২৪ সালের পর থেকে গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এমনকি মধ্যপ্রদেশে ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পাঠ্যসূচি থেকে ক্রমশ বাদ পড়ছে। NCERT-এর নতুন সংস্করণে “জাতীয়তাবাদ” অধ্যায়ে রবীন্দ্রনাথের নাম নেই; ‘সভ্যতার সংকট’, ‘চিঠিপত্র’, ‘ঘরে-বাইরে’ ইত্যাদি বাদ পড়েছে—যুক্তি হচ্ছে তা “ভারতকেন্দ্রিক ঐক্যের” সঙ্গে খাপ খায় না। শুনলে আশ্চর্য লাগে; হাস্যকরও যে—রবীন্দ্রনাথ সারা ভারতবর্ষের সংস্কৃতি কে তার লেখায় তুলে ধরেছেন; তাঁর লেখায় “ভারতকেন্দ্রিক ঐক্য” নেই—এই কথা শুনে আস্তাবলের ঘোড়ারা আজকে হাসছে। প্রসঙ্গত, সিলেবাসের ভেতর থেকে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখাকে বাদ দেওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার বলেছেন—“এই পরিবর্তনগুলো আসলে ইতিহাসকে মুছে ফেলার রাজনীতি। যেখানে রবীন্দ্রনাথ আছেন, সেখানে হিন্দুত্ববাদ কোনোভাবেই টিকতে পারে না।” ঐতিহাসিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেছেন “রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ছিল ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ভাবনা, যা হিন্দি এক ভাষিক সাম্রাজ্যবাদের প্রকল্পের সামনে এক মস্ত বড় বাধা।” সুতরাং—প্রথমেই রবীন্দ্রনাথকে আটকাও। ফলে আরএসএস বা বিজেপি লেজ তুলে নেমে পড়েছে রবীন্দ্রনাথকে সিলেবাস থেকে বাদ দিতে। তারা ভেবেছে—এইভাবে ভারতের বহু-সাংস্কৃতিক, বহুভাষিক রাষ্ট্র কাঠামোর ভাবনা মুছে ফেলবে এবং বিজেপির “এক জাতি, এক ধর্ম, এক রাষ্ট্র” নীতিকে সফল করবে; এই এজেন্ডা বাস্তবায়িত করতেই মূলত রবীন্দ্রনাথের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রাচীর তৈরি করছে বিজেপি। প্রমাণ স্বরূপ আপনারা দেখবেন —হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের সুপরিকল্পিত চাপে বাংলা, তামিল, মারাঠি, মালায়ালম প্রভৃতি আঞ্চলিক সংস্কৃতিই ধীরে ধীরে হিন্দি রাষ্ট্রনীতির ছায়ায় নিষ্প্রভ হয়ে পড়ছে। যা খুবই ভয়ানক—এবং প্রাতিষ্ঠানিক হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দেওয়ার সময় এসেছে।
হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের ছায়ায় বাংলা সংস্কৃতির ওপর নতুন আক্রমণ
ভারতের সংবিধান (১৯৫০) দেশকে “বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক” বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সরকারি নথি, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, এমনকি বিমানবন্দরের ঘোষণা পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অপরদিকে রবীন্দ্রনাথের গান—বাংলা ভাষায় রচিত, বাংলাতেই গাওয়া—তাই হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের চোখে “অন্য ভাষার দেশপ্রেম” মনে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনে রবীন্দ্রনাথের গানকে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে; এর ফলে জন্ম নিচ্ছে বিতর্ক ও বিভাজনের রাজনীতি। আর এই বিভাজনের মধ্যে দিয়ে বিজেপি ভাবছে—নতুন মেরুকরণে তাদের ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি হবে এবং তারা এভাবেই ভারতবর্ষের উপর পূর্ণ দখল করবে। এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায় কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিপিআইএম ল লিবারেশনের দীপঙ্কর ভট্টাচার্য সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেছেন—ইতালি ও জার্মানিতে ফ্যাসিজমের পরাজয়ের পর ইউরোপ থেকে ফ্যাসিজম ৫০ বছর ধরে মুছে গিয়েছিল। কিন্তু ভারতবর্ষে আরএসএস কখনোই মুছে যায়নি; বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের নাম নিয়ে বারবার ফিরে এসেছে। আর এখন আরএসএসের ১০০ বছর ধরে পুষে রাখা সেই পুরনো ধ্যানধারণা ফ্যাসিবাদী ভাবনা হিসেবে প্রয়োগ করছে। ভারতবর্ষের উপর আরএসএসের কর্মকাণ্ড সবটাই হিন্দি-বলয়-কেন্দ্রিক, হিন্দি-সংস্কৃতি-কেন্দ্রিক। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সঞ্জয় হেগড়ে যথার্থই বলেছেন—“হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ কেবল ভাষার নয়, চিন্তার সাম্রাজ্যবাদও।” তাই বলা যায়—‘আমার সোনার বাংলা’ নিষিদ্ধ করা মানে বাংলা চিন্তার স্বাধীনতাকে গরুর গোয়ালেই বন্দি করা। যা বাঙালির আত্মপরিচয়ের ওপর সরাসরি আঘাত হানে।
রবীন্দ্রনাথ মানে বাঙালির আত্মপরিচয়
রবীন্দ্রনাথ মানে কেবল সাহিত্য নয়—তিনি বাঙালির আত্মপরিচয়। তাঁর গান, কবিতা, চিন্তা আমাদের কান্না-হাসির দোল-দোলানো পৌষ-ফাগুনের পালার সাথে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে যুক্ত। বাংলার মানুষ “আমার সোনার বাংলা” গান গেয়ে বড় হয়েছে। সেই গানকে “বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত” বলে মানুষের মগজে কারফিউ জারি করতে চাইছে, ফ্যাসিস্ট বিজেপি এবং নির্দেশ দিচ্ছে—এই গান গাওয়া যাবে না। সজল ঘোষের হুমকি আসলে সমগ্র বাঙালি জাতির অপমান ; অনেকটা তাসের দেশের নিয়মের মতো সকলকে একটি ছাঁচে ভাবতে বাধ্য করা। আর সেই নিয়মের বাইরে গেলে—আমার সোনার বাংলা গান গাইলেই আপনি বা আমি বহিরাগত। ইতিহাসবিদ সুগত বসু বলেছেন—রবীন্দ্রনাথের ওপর আক্রমণ আসলে বাঙালি সত্তার অস্তিত্বের প্রশ্ন। তিনি ভারতেরও, বাংলাদেশেরও, বিশ্বেরও সম্পদ—তাঁকে সংকীর্ণ জাতীয় সীমানায় বেঁধে রাখা যায় না।
বিজেপির সংস্কৃতিবাদী রাজনীতি সাধারণত তিনটি সূত্র মেনে চলে:
১. সমালোচনামূলক চিন্তাবিদকে ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দেওয়া;
২. আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে “অ-ভারতীয়” বলে প্রান্তিক করা;
৩. ইতিহাসে উত্তর ভারতের মানুষের বীরত্বকে সমগ্র ভারতবর্ষের মুকুটে বসিয়ে একটি নতুন ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করা।
এই তিনটি কৌশলের ফাঁদেই পড়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি ব্রিটিশদের বিরোধী ছিলেন, আবার কংগ্রেসীয় জাতীয়তা বাদেরও সমালোচক—অর্থাৎ কোনো পক্ষের অনুগামী নন। তাই আজকের রাজনৈতিক মঞ্চে তাঁর চিন্তা অস্বস্তির কারণ।
সংস্কৃতির রাজনীতি বনাম রাজনীতির সংস্কৃতি
আজকের ভারতে রাজনীতি সংস্কৃতিকে গ্রাস করছে। তাই রবীন্দ্রনাথের গান, রবীন্দ্রনাথের ভাবনা প্রতিস্রুত প্রাতিষ্ঠানিক নেতাদের কাছে এখন “রাজনৈতিক ঝুঁকি”। মনে রাখতে হবে—সংস্কৃতিই রাজনীতিকে শেখায় কীভাবে মানুষ হতে হয়। রবীন্দ্রনাথের মতে—সংস্কৃতি মানে স্বাধীন চিন্তার বিকাশ। আর এই রবীন্দ্রক ভাবনা-চিন্তার মধ্য থেকে বিজেপি তাদের পরিকল্পিত রামকেন্দ্রিক, হিন্দি-বলয়-নির্ভর নতুন জাতীয়তাবাদী ভাবনায় উত্তরণ খুঁজছে। সেই কারণেই ইতালীয় দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসিও Prison Notebooks-এ লিখেছেন—“The crisis consists precisely in the fact that the old is dying and the new cannot be born; in this interregnum, a great variety of morbid symptoms appear.” অর্থাৎ যখন পুরনো সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, কিন্তু নতুন চিন্তা ও সংস্কৃতি জন্ম নেয়নি, তখনই ক্ষমতাবানরা সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। আজকের ভারতের রাজনৈতিক বাস্তবতা সেইরকম এক interregnum—যেখানে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ এক নতুন জাতীয়তাবাদ তৈরির প্রয়াসে, রবীন্দ্রনাথের মানবতাবাদী কণ্ঠস্বরকে অস্বস্তিকর করে তুলছে।
শেষ কথা: রবীন্দ্রনাথকে বাঁচানো মানে ভারতকে বাঁচানো
যদি ভারতের কোনো সত্যিকারের “জাতীয় চেতনা” থাকে, তবে তার মূল সুর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীতেই। আজ যখন “আমার সোনার বাংলা” গাওয়া নিষিদ্ধ হয়, তখন তা কেবল একটি গান নয়—একটি ইতিহাস, একটি ভাষা, একটি মানসিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ। এই মুহূর্তে বাঙালির দায়িত্ব—রবীন্দ্রনাথকে আবার নিজের করে দেখা, তাঁর গানে স্বাধীনতার সুরকে ফিরিয়ে আনা। কারণ তাঁর কথায় আমাদের বলা শুরু করতে হবে।
কেহ নাহি জানে, কার আহ্বানে কত মানুষের ধারা
দুর্বার স্রোতে এল কোথা হতে, সমুদ্রে হল হারা।
হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড়—চীন
শক-হুন-দল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন।
পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার; সেথা হতে সবে আনে উপহার,
দিবে আর নিবে, মিলাবে—মিলিবে; যাবে না ফিরে—
এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।
আজ আবার ভারত-তীর্থ কবিতা পাঠ করার সময় এসেছে—বাঙালির, তথা ভারতবাসীর। সময় এসেছে গলা ছেড়ে গান গাওয়ার—“আমার সোনার বাংলা — আমি তোমায় ভালোবাসি।”
তথ্যসূত্র
NCERT Curriculum Revision Reports, 2024–25
The Hindu, “Rabindranath Tagore Removed from NCERT Nationalism Chapter”, June 2024
Scroll.in, “Assam Bans Singing of ‘Amar Sonar Bangla’ in State Functions”, October 2025
Interviews: Romila Thapar, Partha Chatterjee, Sugata Bose (2024–25)
Government of India, Constituent Assembly Debates (1948–49), National Anthem Selection Committee Records