পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

কারা থাকবে, কারা ফিরবে?

  • 29 November, 2022
  • 0 Comment(s)
  • 862 view(s)
  • লিখেছেন : শুভ্রদীপ ঘোষ
বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের খেলা প্রায় শেষ, কারা যেতে পারে দ্বিতীয় রাউন্ডে, কারা বাড়ি ফিরে যাবে, এই নিয়েই চলবে আগামী কয়েকদিনের আলোচনা।

বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড শেষের পথে। প্রতি গ্রুপেই বাকি আর দুটি করে ম্যাচ। দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করতে পেরেছে খুব অল্প দলই। একাধিক অপ্রত্যাশিত ফলের এই বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের শেষ পর্ব হতে চলেছে তুমুল উত্তেজনাময়। কোন গ্রুপ থেকে কার সম্ভাবনা কতটা তার একটা বিশ্লেষণ ফুটবলপ্রেমীদের চায়ের কাপে তুফান তুলে দিতে পারে। প্রায় প্রতি গ্রুপেই শেষ দুটির মধ্যে একটি ম্যাচের ফলাফলই  নির্ধারক হয়ে উঠবে। দেখে নেওয়া যাক কে কোথায় দাঁড়িয়ে আর কী হলে কী হবে।

গ্রুপ এ

 

দল

পয়েন্ট

গোল পার্থক্য

নেদারল্যান্ড

ইকুয়েডর

সেনেগাল

0

কাতার

0

-৪

 

এই গ্রুপ থেকে কাতারের পরবর্তী রাউন্ডে যাবার সম্ভাবনা নেই। টক্কর হবে বাকি তিন দলের। শেষ ম্যাচে খেলবে নেদারল্যান্ড - কাতার এবং ইকুয়েডর - সেনেগাল। এবারে দেখা যাক সম্ভাবনাগুলি ঃ

 

সম্ভাবনা ১ঃ নেদারল্যান্ড জিতলে, ইকুয়েডর জিতলে বা ড্র করলে এই দুটি দল কোয়ালিফাই করবে। সেনেগাল জিতলে তারা পরের রাউন্ডে যাবে।

সম্ভাবনা ২ঃ নেদারল্যান্ড ড্র করলেও তারা পরের রাউন্ডে যাবে। বাকি দলটি ঠিক হবে সম্ভাবনা ১ এর সমীকরণ মেনেই।

সম্ভাবনা ৩ঃ যদি নেদারল্যান্ড হারে, তবে তাদের ভাগ্য নির্ভর করবে ইকুয়েডর - সেনেগাল খেলার ফলাফলের উপর। যদি সেনেগাল জেতে তবে তারা কোয়ালিফাই করবে। দ্বিতীয় দলটি ঠিক হবে গোল পার্থক্যে যা দ্বিতীয় ম্যাচের পর নেদারল্যান্ড ও ইকুয়েডরের সমান। এবার শেষ ম্যাচে দুটি দলই যদি একই ব্যবধানে হারে তাহলে ভাগ্য নির্ধারিত হবে কে বেশি গোল দিয়েছে তার ভিত্তিতে। এই মুহূর্তে দুটো দল সেক্ষেত্রেও এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। ফলে এই সম্ভাবনাটি সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক। যদি ইকুয়েডর জেতে বা ড্র করে, তাহলেও তাদের সাথে সাথে নেদারল্যান্ডও কোয়ালিফাই করবে যদি না তারা কাতারের কাছে তিন গোলের ব্যবধানে হারে। বর্তমান ফর্মের নিরিখে সেই সম্ভাবনা প্রায় শূন্য।

 

তাহলে দাঁড়ালনেদারল্যান্ডের কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা ৯৪ শতাংশ, ইকুয়েডরের ৭২ শতাংশ এবং সেনেগালের ৩৩ শতাংশ। কিন্তু সমস্তটাই এক ম্যাচের ব্যাপার। সেনেগাল জিতে গেলে এইসব হিসেব নিকেশের প্রয়োজনই পড়বে না।

 

 

গ্রুপ বি

 

দল

পয়েন্ট

গোল পার্থক্য

ইংল্যান্ড 

ইরান 

-২

যুক্তরাষ্ট্র 

0

ওয়েলশ

-২

 

ওয়েলশের সম্ভাবনা শূন্য। তাদের ম্যাচ বাকি ইংল্যান্ডের সঙ্গে। সেই ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৪। কিন্তু ইংল্যান্ডকে অন্তত ৭ গোলের ব্যবধানে না হারালে (যা অসম্ভব) কোন সম্ভাবনা নেই। এবার দেখে নেওয়া যাক বাকিদের সম্ভাবনাগুলি।

 

সম্ভাবনা ১ঃ ইংল্যান্ড শেষ ম্যাচ জিতল। ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জেতে বা ড্র করে তাহলে দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র জিতলে তারা কোয়ালিফাই করবে।

সম্ভাবনা ২ ঃ ইংল্যান্ড ড্র করল। সেক্ষেত্রেও ইরান - যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের জয় পরাজয় বা ড্র দিয়ে অন্য দলটি  নির্ধারিত হবে। ইরান জিতলে তারাই গ্রুপের শীর্ষে থাকবে। অন্য কোন ফলাফলে ইংল্যান্ড শীর্ষে থাকবে পয়েন্ট কিংবা গোল পার্থক্যের নিরিখে (যদি না যুক্তরাষ্ট্র ৫ গোলের ব্যবধানে ইরানকে হারায়) ।

সম্ভাবনা ৩ঃ ইংল্যান্ড হারল। তাও তারা পরের রাউন্ডে যাবে। ইরান জিতলে বা ড্র করলে তারা প্রথম অথবা দ্বিতীয় দল (গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায়) হিসেবে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র জিতলে তারা শীর্ষস্থান দখল করে কোয়ালিফাই করবে, ইংল্যান্ড দ্বিতীয় দল হিসেবে যাবে।

 

সুতরাং ইংল্যান্ডের কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ, ইরানের ৬৬ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ শতাংশ। ইরান - যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটি নির্ধারক হবে।

 

গ্রুপ সি

 

দল

পয়েন্ট

গোল পার্থক্য

পোল্যান্ড  

আর্জেন্টিনা  

সৌদি আরব  

-১

মেক্সিকো

-২

 

এই গ্রুপে প্রথম তিনটি দলের মধ্যে অবস্থান তুল্যমূল্য। দেখে নেওয়া যাক সম্ভাবনাগুলি।

 

সম্ভাবনা ১ঃ পোল্যান্ড আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিল। সেক্ষেত্রে সৌদি আরব মেক্সিকোকে হারালে বা খেলা ড্র হলে পোল্যান্ড এবং সৌদি আরব পরের রাউন্ডে। কিন্তু হেরে গেলে দ্বিতীয় দল হিসেবে মেক্সিকো পরের রাউন্ডে যাবে।

সম্ভাবনা ২ঃ পোল্যান্ড ড্র করল। সৌদি আরব না জিতলে পোল্যান্ড এবং আর্জেন্টিনা কোয়ালিফাই করবে। মেক্সিকো সৌদি আরবকে হারালেও পরের রাউন্ডে যাবার জন্য অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে যা বর্তমান ফর্মের বিচারে একরকম অসম্ভব।

সম্ভাবনা ৩ঃ পোল্যান্ড হেরে গেল। সেক্ষেত্রে সৌদি আরব জিতলে তবেই আর্জেন্টিনা এবং সৌদি আরব পরের রাউন্ডে যাবে। সৌদি আরব মেক্সিকো ম্যাচ ড্র হলেও পোল্যান্ড পরের রাউন্ডে যাবে। মেক্সিকো জিতলেও ৫ গোলের ব্যবধান না রাখতে পারলে পোল্যান্ডকে টপকে পরের রাউন্ডে যেতে পারবে না।

 

সম্ভাবনার বিচারে পোল্যান্ডের সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ, আর্জেন্টিনার ৫৫ শতাংশ, সৌদি আরব ৪৫ শতাংশ, মেক্সিকো ১১ শতাংশ।

 

গ্রুপ ডি

 

দল

পয়েন্ট

গোল পার্থক্য

ফ্রান্স  

অস্ট্রেলিয়া  

-২

ডেনমার্ক  

-১

তিউনিসিয়া

-১

 

এই গ্রুপ থেকে ফ্রান্স কোয়ালিফাই করেই গেছে। তাদের খেলা বাকি গ্রুপের শেষে থাকা তিউনিসিয়ার সঙ্গে। তুখোড় ফর্মে থাকা ফ্রান্স দৈববলে হেরে গেলেও গ্রুপের শীর্ষে থাকা নিশ্চিত। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জন্য লড়াই মূলত অস্ট্রেলিয়া ডেনমার্কের মধ্যেই। সম্ভাবনাগুলি এইরকম ঃ

 

সম্ভাবনা ১ঃ ফ্রান্স তিউনিসিয়াকে হারাল। অস্ট্রেলিয়ার দরকার একটি ড্র। কিন্তু ডেনমার্ক জিতে গেলে তারাই কোয়ালিফাই করবে।

সম্ভাবনা ২ঃ ফ্রান্স তিউনিসিয়া ড্র হল। সেক্ষেত্রেও দ্বিতীয় দল নির্ভর করবে অস্ট্রেলিয়া - ডেনমার্ক ম্যাচের ফলের উপর।

সম্ভাবনা ৩ঃ ফ্রান্স হেরে গেল। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া - ডেনমার্ক ম্যাচ ড্র হলে গোল পার্থক্যের বিচারে দ্বিতীয় দল হিসেবে তিউনিসিয়া উঠবে। ডেনমার্ক যদি জিতে যায় এবং তিউনিসিয়া যে ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারিয়েছে একই ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় তবে দুটো তিউনিসিয়া এবং ডেনমার্ক একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকবে - আর একটি অসম্ভব কিন্তু চিত্তাকর্ষক সম্ভাবনা, গ্রুপ এ’র মতই।

 

সুতরাং ফ্রান্সের সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ার ৫৫ শতাংশ, ডেনমার্কের ২৮ এবং তিউনিসিয়ার ১৭ শতাংশ।

 

গ্রুপ ই

 

দল

পয়েন্ট

গোল পার্থক্য

স্পেন  

জাপান

কোস্টারিকা

-৬

জার্মানি

-১

 

প্রথম ম্যাচের অবাক হারের পর জার্মানি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। পয়েন্টের বিচারে গ্রুপের তলানিতে থাকলেও শেষ ম্যাচ কোস্টারিকার সঙ্গে। কে না জানে এইরকমমরণ বাঁচন অবস্থায় জার্মানরা মরণকামড় দিয়ে থাকে। নিছক সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে সম্ভাবনাগুলো বিচার করে দেখা যাক।

 

সম্ভাবনা ১ ঃ স্পেন জাপানকে হারাল। কোস্টারিকা জার্মানির সঙ্গে জিতলে বা ড্র করলে তারাই পরের রাউন্ডে, হারলে জার্মানি কোয়ালিফাই করবে।

সম্ভাবনা ২ঃ স্পেন জাপান ম্যাচ ড্র হল। কোস্টারিকা জার্মানি ম্যাচ ড্র হলে জাপান কোয়ালিফাই করবে। জার্মানি যদি দু গোলের ব্যবধানে জেতে তবে স্পেনের সাথে তারাও কোয়ালিফাই করবে। জার্মানি হেরে গেলে স্পেন আর কোস্টারিকা পরের রাউন্ডে যাবে।

সম্ভাবনা ৩ঃ স্পেন হেরে গেল। সেক্ষেত্রে জাপান গ্রুপের শীর্ষে থাকবে। স্পেন ছিটকে যাবে যদি কোস্টারিকা জেতে অথবা জার্মানি ৮ গোলের ব্যবধানে কোস্টারিকাকে হারায়। শেষের সম্ভাবনাটি কষ্টকল্পিত।

ফলে ধরা যেতে পারেস্পেনের সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ, জাপানের ৪৫ শতাংশ, কোস্টারিকার ৪৫ শতাংশ আর জার্মানির ২২ শতাংশ। এই গ্রুপের অবস্থা সত্যিই ‘ গ্রুপ অফ ডেথ’ এর মত।

 

গ্রুপ এফ

 

দল

পয়েন্ট

গোল পার্থক্য

ক্রোয়েশিয়া  

৩ 

মরক্কো  

৪ 

বেলজিয়াম  

-১

কানাডা

-৪

 

সব হিসেবনিকেশ উল্টে অন্যতম ফেভারিট বেলজিয়াম অপসারণের আশঙ্কায় দুলছে।তাদের শেষ ম্যাচ গ্রুপ শীর্ষে থাকা ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে।এদিকে বেলজিয়ামকে হারিয়ে সাড়া ফেলে দেওয়া মরক্কোর শেষ ম্যাচ একটিও পয়েন্ট না পাওয়া কানাডার সাথে যারা শেষ ম্যাচে সম্মানরক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবে আশা করা যায়।

 

সম্ভাবনা ১ঃ ক্রোয়েশিয়া জিতল। সেক্ষেত্রে অন্য ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কো পরের রাউন্ডে।

সম্ভাবনা ২ঃ ক্রোয়েশিয়া ড্র করল। সেক্ষেত্রেও মরক্কো যদি ৩ গোলের বেশি ব্যবধানে (সম্ভাবনা শূন্য বলা চলে) না হারে তবে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে তারাও কোয়ালিফাই করবে।

সম্ভাবনা ৩ঃ ক্রোয়েশিয়া হেরে গেল। মরক্কো ড্র করলে বা জিতলে বেলজিয়ামের সাথে তারা কোয়ালিফাই করবে, হারলে ক্রোয়েশিয়া আর বেলজিয়াম কোয়ালিফাই করবে যদি না ক্রোয়েশিয়া অন্তত ২ টি বেশি গোলের ব্যবধানে হারে (সম্ভাবনা খুব কম)।

তাহলে দাঁড়াল ক্রোয়েশিয়ার সম্ভাবনা ৭৮ শতাংশ, মরক্কোর ৮৮ শতাংশ, বেলজিয়াম ৩৩ শতাংশ। 

 

গ্রুপ জি

 

দল

পয়েন্ট

গোল পার্থক্য

ব্রাজিল  

৩ 

সুইজারল্যান্ড  

ক্যামেরুন  

-১

সার্বিয়া

-২

 

এই গ্রুপ থেকে ব্রাজিল পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলেছে।দ্বিতীয় দল হিসেবে কে যাবে তার সম্ভাবনাগুলি দেখে নেওয়া যাক।

 

সম্ভাবনা১ঃব্রাজিল শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনকে হারাল। সুইজারল্যান্ড জিতলে বা ড্র করলে তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে, হারলে সার্বিয়া।

সম্ভাবনা২ঃব্রাজিল - ক্যামেরুন ড্র হল। তাহলেও দ্বিতীয় দলটি সুইজারল্যান্ড বা সার্বিয়া, সম্ভাবনা ১এর মতই।

সম্ভাবনা৩ঃক্যামেরুন ব্রাজিলকে হারিয়ে দিল। তাও সুইজারল্যান্ড জিতলে ব্রাজিলের সঙ্গে তারাই কোয়ালিফাই করবে। সুইজারল্যান্ড ড্র করলে ব্রাজিলের সঙ্গে ক্যামেরুন কোয়ালিফাই করবে একমাত্র যদি তারাব্ রাজিলকে ২ গোলের ব্যবধানে হারায়।সুইজারল্যান্ড হেরে গেলে ক্যামেরুন না সার্বিয়াকে কোয়ালিফাই করবে তা নির্ভর করছে কোন ম্যাচে কত গোলের ব্যবধান হচ্ছে। ক্যামেরুন ১ গোলের ব্যবধানে জিতলে সার্বিয়াকে অন্তত ৩ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে যা বর্তমান ফর্মের নিরিখে প্রায় অসম্ভব।

 

ফলে ব্রাজিলের সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের ৫৫ শতাংশ, ক্যামেরুন আর সার্বিয়ার ২২.৫ শতাংশ।

 

গ্রুপ এইচ

দল

পয়েন্ট

গোল পার্থক্য

পর্তুগাল   

৩ 

ঘানা   

কোরিয়া    

-১ 

উরুগুয়ে 

-২

 

পর্তুগাল কোয়ালিফাই করেই গেছে। কিন্তু জোর লড়াই হতে পারে অন্য তিনটি দলের মধ্যে। সম্ভাবনাগুলি এইরকম

 

সম্ভাবনা ১ঃ পর্তুগাল শেষ ম্যাচে কোরিয়াকে হারাল। ঘানা উরুগুয়েকে হারালে বা ম্যাচ ড্র হলে তারাই দ্বিতীয় রাউন্ডে, হারলে উরুগুয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে।

সম্ভাবনা ২ঃ পর্তুগাল - কোরিয়া ম্যাচ ড্র হল। সেক্ষেত্রেও দ্বিতীয় দলটি ঠিক হবে সম্ভাবনা ১ এর ফলাফলের ভিত্তিতে।

সম্ভাবনা ৩ঃ কোরিয়া পর্তুগালকে হারিয়ে দিল। তখন ঘানা ড্র করলেই পর্তুগালের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে। হেরে গেলে কোরিয়া বা উরুগুয়ে দুজনেরই সম্ভাবনা, শেষমেশ ঠিক হবে গোল পার্থক্যে। সুতরাং,পর্তুগালের সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ বাদ দিলে  ঘানার ৬৬ শতাংশ, উরুগুয়ের ২৮ শতাংশ, আর কোরিয়ার মাত্র ৬ শতাংশ।

 

এই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ব্রাজিল, পর্তুগাল, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স পৌঁছে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। নেদারল্যান্ড, স্পেন কোয়ালিফাই না করলে বিরলতম অঘটন হবে। খুব ভাল জায়গায় রয়েছে মরক্কো এবং পোল্যান্ড। গ্রুপসি, ই এবং এফ এর দুটি ম্যাচই হতে চলেছে রক্তচাপ বাড়ানোর।হিসেবে না রাখা মরক্কো, সৌদিআরব এবং ইরানের সামনে সুবর্ণ সুযোগ ইতিহাস গড়ার। নিশ্চিতভাবেই আগামী কয়েক সন্ধ্যে এবং রাত ফুটবলপ্রেমীদের কাছে নন স্টপ পিকনিক হতে চলেছে।

0 Comments

Post Comment