মোহন চেক পোস্টে সে যখন আসে তখন সে ঠকঠক করে কাঁপতে থাকে। তার জিনসের প্যান্ট ফেঁড়ে গিয়ে অল্প রক্ত বেরয়। একমাত্র প্ল্যাটিনা নামের বাইকে চড়েছিল বলে সে পালাতে পেরেছিল। এই বলে সে কাঁপে আর বলে আসরাফুলকে নিয়ে গেছে। আসরাফুল কে আর কে নিয়ে গেছে বলতে বলতে সে ঠকঠক করে কাঁপছিল। তখনই সে বলল প্ল্যাটিনা নামের বাইকের কথা।
বোঝাই যাচ্ছে জিম করবেট ক্যাপ্টন ছিলেন। জঙ্গল যুদ্ধে বিশেষ দক্ষতা ও নির্ভুল নিশানা ছিল তাঁর। মোহনের মানুষখেকোকে মারার সময় জিম রাইফেল ব্যবহার করেন। সে আগের কথা। অনেক আগেই জানা গেছে মোহনের মানুষখেকোটা স্ত্রী না পুরুষ। জিমই জানিয়েছেন। তার পাগ মার্ক নিখুঁতভাবে জানতেন করবেট সাহেব বা সাহাব।
ববি চাঁদকে যখন ধরল তখন ও বুঝতে পারল যে বাঘ তাকে ধরেছে তার ওজন দু কুইন্টাল মতো। ওই ওজন বাঘেরই হতে পারে বাঘিনীর নয়। বড্ডজোর ওয়ান পয়েন্ট সেভেন বা এইট কুইন্টাল হয় বাঘিনীরা। ববি চাঁদ দুহাতে বাঘের থাবা ধরেছিল আর ধনগড়ি গেট থেকে তার দিকে, সারা জঙ্গলের দিকে তাকিয়েছিলেন জিম করবেট যার বোনের নাম ছিল ম্যাগি। এ ছবিটা বাঘও নিশ্চয়ই দেখে থাকবে। তাই ও ববি চাঁদকে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি। বাকিটা করেছে দিল্লীর এ্যাপোলো হাসপাতাল। ববি চাঁদ সে সব জানে।
ও যখন মোহন চেক পোস্টে পৌঁছয় আর আসরাফুলের কথা বলে তখন করবেটকে ডাকা হয়। পাগমার্ক দেখে করবেট ধরতে পারেন এটা এক বাঘিনী যে কখনই পুরুষ সম্বরের সঙ্গে সুবিধে করতে পারে না। তার সঙ্গে দুটো সাব এ্যাডাল্টও আছে যাদের সে মা হয়েছিল। তারা সবাই মিলে আশি নব্বই কিলোর আসরাফুলের এতটাই খায় যে করবেট শুধুমাত্র একটা হাতই উদ্ধার করতে পারেন। আর বলেন এটা আসরাফুলের ডান হাত। তিনজনে না খেলে কিছুতেই শুধু হাত পাওয়ার ঘটনা ঘটত কি ? বড্ডজোর ত্রিশ কিলো খেতে পারে একা অথবা চল্লিশ কিলো ।
ববি চাঁদ কথা বলছে। আসরাফুল বলতে পারছে না। কারণ শুধুমাত্র ডান হাত দিয়ে কথা বলা যায় না। আর ওকে, আসরাফুলের দোস্তকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় কে তাকে এ্যাকচুয়ালি বাঁচায় তখন সে বলে বসল,“ কেন , করবেট সাহাব। ” ফরেস্ট বিভাগের লোকেরা আশ্চর্য হওয়ায় সে বলল,“ প্ল্যাটিনা। ” তবে মোহনের মানুষখেকোকে যে করবেট আবারও ট্র্যাক করছেন এতে কারো সন্দেহ নেই না হলে আসরাফুলের ডান হাতটা পাওয়া যেত কি ?