পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

ভারতবর্ষের সংবিধানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ কেবল দুটি শব্দ নয়

  • 01 January, 1970
  • 0 Comment(s)
  • 203 view(s)
  • লিখেছেন : সামসুন নিহার
ধর্মনিরপেক্ষ শব্দকে মুছে ফেললে ভারতবর্ষ মহাতীর্থের রূপ ভেঙে পড়ে কেবল ভারত হয়ে থেকে যাবে। সেটা আমাদের কাছে কোনো ভাবেই কাম্য নয়। ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ নীতি অনুসারে ভারতবর্ষে ব্যক্তিমালিকানা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানা স্বীকৃত। মিশ্র অর্থনীতির মধ্যে দিয়েই সরকারি উদ্যোগের প্রসার এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চেয়েছিলেন এক সময়ের রাষ্ট্রনায়করা। আজকে এই দুটো শব্দ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ কি এত সহজে মুছে ফেলা যায়?

প্রত্যেকটি শব্দের নির্দিষ্ট অর্থ আছে, সেটা অভিধানগত অর্থ। আবার কখনো কখনো সেই শব্দ বিষয়ের তাৎপর্য ভেদে এবং লেখকের লেখার শৈল্পিক চেতনায় অন্য মাত্রা লাভ করে থাকে। চলমান সময়ে স্বাধীনতা ধর্মনিরপেক্ষতা সমাজতান্ত্রিক শব্দগুলিও তেমনি বহুমাত্রিক রূপ লাভ করেছে। প্রবাহিত সময়ের হাত ধরে বয়ে আসা মানুষের মনন মানসিকতা দ্বারা সেই কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। ভারতবর্ষ স্বাধীন হবার মূল্য চুকিয়েছে নিজের বুকে রক্তক্ষয়ী ক্ষত সৃষ্টির দ্বারা। ক্ষমতা বড় বালাই যে! সে তো গেল একটা দিক। স্বাধীনতা তো ঘরে এলো। ধর্মের আবেগে দেশ ভাগ হলেও ভারতবর্ষের দেহে ধর্মীয় চাদর চাপাতে দেন নি গান্ধীজী। সেই সময়েই অলিখিত ভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষের জন্ম হয়। নবজাতক ভারতের মাটিতে সমাজতান্ত্রিকতার বীজ যে সেই সময়ে রোপিত হয় নি একথাও জোর দিয়ে বলা যাবে না। যাই হোক দেশ ও দেশ চালানোর ক্ষমতা পেল দেশের মানুষ। তারপর দেশকে মেরামত করার কাজ শুরু হল, লেখা হলো সংবিধান। তখনো ভারতীয় সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক ভারতের  সরকারি ঘোষণা করে নি। আরও অনেক সময় পার করে ইন্দিরা গান্ধী সংবিধানের সংশোধনের মধ্যে দিয়ে  ভারতবর্ষকে লিখিত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর  মধ্যে দিয়েই  ভারতবর্ষের “বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের” রেখাচিত্র আাঁকা হয়।

সেই সময়ে ভুল -ত্রুটি, ক্ষমতার অপব্যবহার,  স্বৈরাচারিতা, দুর্নীতি, ধর্মীয় হানাহানি — এসব যে একেবারেই ছিল না তা তো নয়। তবুও সেই সময়ের রাষ্ট্র  নেতারা কর্মের দ্বারা উন্নতি সাধনের উদ্দ্যশেই দেশের মানুষের মনকে চালিত করতে নানা রকম কর্মযজ্ঞের আয়োজন করছিলেন। ধর্মের আফিং সেই সময়ের সমাজমানুষের মননেও ছিল। তবে রষ্ট্রচালকেরা সেই তৃণকে বৃক্ষে পরিণত করতে জল-বতাস দেননি বরং মানুষের মনে কর্মের আয়োজনকে বড়ো করে তুলতে নানারকম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। তার মধ্যেও জাতিগত বিদ্বেষ, ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ভাষাগত বিদ্বেষের বিষবাষ্পে সিক্ত হয়েছি আমরা। মাঝেমধ্যে  ক্ষমতার হস্তান্তর হলেও খুব বড় দীর্ঘস্থায়ী অরাজকতা ভারতীয় সমাজে আসে নি। এলেও তা সর্বব্যাপী রূপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য অনুসারে ক্ষমতার বদল হল  ২০১৪ সালে। ক্ষমতার হস্তান্তর অন্য মাত্রা আনল ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে। এই সময়  থেকেই ধর্মটাই হয়ে উঠলো ভারতীয় রাজনীতির একমাত্র ভবিতব্য।

 

আর সেই ধর্মীয় রাজনীতিতে বড় বিষয় হল হিন্দু- মুসলমান, মন্দির- মসজিদ,  ঝটকা-হালাল, গরু-ছাগল। আজকের ক্ষমতাসীন দল যখন প্রথম ক্ষমতায় এলো তার ইস্যু ছিল হিন্দু-মুসলিম। গরু হয়ে উঠলো তাদের মাতা। সেই মাতাদের অত্যাচারে আমার মফস্বলের রাস্তাও তারা দখল করে বসে থাকতো, এখনো থাকে। গাড়ি বা স্কুটির চালককেও সচেতন হয়ে গাড়ি চালতে হয়। মাতা বলে কথা! ২০১৮ সালে সেই গোরক্ষক দলের গণপিটুনিতে হরিয়ানার পেহেলু খান, খান হবার মূল্য চোকায় জীবন দিয়ে। ২০২৪ সালে হরিয়ানার দরাদরি এলাকার বাসিন্দা সাবির মালিককে গোরক্ষকরা পিটিয়ে হত্যা করে গোমাংস খাচ্ছে সেই সন্দেহে।  ২০২৪ উত্তরপ্রদেশে এগারোটি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয় ফ্রিজে গোমাংস রাখার অজুহাতে। রাষ্ট্রীয় মদতে যে অপরাধ হয় সেই অপরাধ কোনো মাপেরই অপরাধ বলে গণ্য হয় না রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাছে। রাষ্ট্র  এমনটা চাইছে বলেই তো এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। গরু থেকে নামাজে ব্যাপ্তি ঘটলো অঘটনের। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনকে বিচলিত ও অস্থির করতে এবং নিজেদের অপকর্মের বৈচিত্র্য আনতে এবার কোপ মসজিদ এবং নামাজে। গুরগাঁওয়ে সতর্ক গোষ্ঠী এবং হরিয়ানা সরকার, উত্তর প্রদেশের কোনো অঞ্চলে খোলা জায়গায় নামাজ পড়া বন্ধ করে একটা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে যা ভারতীয় সংবিধান ও ঐতিহ্যের বিপরীত। বাবরি মসজিদের উপর সাম্প্রদায়িক আঘাতের কথা সর্বজন বিদিত তাই সেই প্রসঙ্গে কিছু না বললেও, চলমান পরিস্থিতি এটা বলতে বাধ্য করছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মহিমাকে কুঠারাঘাত করেছে। যদিও এই সমস্যার বীজ রোপন হয়েছিল কংগ্রেসের আমলে। তবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আধিপত্য স্থাপনে ও রাজনৈতিকভাবে সেটাকে সার্থকভাবে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিদ্বেষের পরিধি মন্দির-মসজিদের বাতাবরণ থেকে  বেরিয়ে ব্যপ্ত হলো দেশের প্রাচীন স্থাপত্য এবং মসজিদের তলদেশ খনন করে মন্দিরের সন্ধানে।

 

হিন্দুত্ববাদের প্রবক্তাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে নির্যাতন করার এক কাল্পনিক নতুন তত্ত্ব হল লাভ জিহাদ। এটি প্রতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে চৌকিদারের রাজত্বে। আর এই ধুয়োতে ঘি ঢেলে চলেছে সরকারের মদতপুষ্ট গণমাধ্যমগুলি। দেশের কোনো না কোনো প্রান্তের মুসলমান যুবকরা এই তত্ত্বের ফল ভোগ করছে। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার বুলডোজার শব্দকে ধ্বংসের ব্যঞ্জনায় উত্তীর্ণ করেছে। তবে তা কেবল মুসলিমের ধ্বংসের প্রতীক নয়, আদিবাসী এবং অন্যান্য মানুষের জনজীবনকেও তছনছ করছে। গুজরাটের দীর্ঘদিন বসবাসকারী বাঙালি মুসলমানদের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর তকমা লাগিয়ে বাস্তুচ্যুত করছে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের  নামে মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া। অহিন্দুদের উপর সমস্ত রকমের নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জনগণের মনে এই সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে ভারতবর্ষ একটা হিন্দু রাষ্ট্র। অন্তরঙ্গে সেই ভাবনার লেলিহান শিখা জ্বলিয়ে এবার তারা  সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটাকে মুছে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে।  শুধু ধর্মনিরপেক্ষ কেন এগুলি তো সমাজতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলার একটা অঙ্গ। আসলে আগের গুলো সবই কিন্তু এই প্রক্রিয়ার পৌঁছানোর এক একটা ধাপ। মনে রাখতে হবে এই মানসিকতা ১৯৪৭-এ এবং ১৯৭৬-তেও  ছিল, আজও আছে। তবুও পূর্বে কোনো সরকারই সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক শব্দকে মুছে ফেলার কথা ভাবে নি। কারণ কোনো অভিপ্রায় বেঁচে থাকলে অদূরে না হোক সুদূর ভবিষ্যতের আশার আলো কোথাও বেঁচে থাকে তা সার্থক রূপ পাবার। ভারতবর্ষ কেবল দেশ বিশেষ নয়, মহাতীর্থ স্বরূপ বিশ্বকবির ভাবনায়। ভারতীয় সভ্যতার  ঐতিহ্য, কৃষ্টি গড়ে উঠেছে বহু দেশ, বহু ধর্ম, বহু জাতি, বহু মানুষের কলরবে। সেই সভ্যতা বহু মানবের আদান প্রদানের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মিশ্র সভ্যতা—-

হে মোর চিত্ত, পূণ্য তীর্থতীর্থে

জাগো রে ধীরে –

এই ভারতের মহামানবের

সাগরতীরে।

হেথায় দাঁড়ায়ে দু-বাহু বাড়ায়ে,

নমি নর- দেবতারে,

উদার ছন্দে পরমানন্দে

বন্দন করি তাঁরে"—

 

কিন্ত ধর্মনিরপেক্ষ শব্দকে মুছে ফেললে ভারতবর্ষ মহাতীর্থের রূপ ভেঙে পড়ে কেবল ভারত হয়ে থেকে যাবে। সেটা আমাদের কাছে কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

 

সমাজতান্ত্রিক শব্দটা বড়ো গোলমেলে এবং একটা কল্পনাবিলাসী শব্দ। ভারতবর্ষের মতো দেশে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা সার্বিক ও সার্থকভাবে বাস্তবিয় হওয়াটা সমাজতান্ত্রিক শব্দের মতোই প্রহেলিকাময়। তার একটা বড়ো কারণ রাষ্ট্রনেতাদের তেমন মানসিক গরজ এবং কোনো দায়বদ্ধতা নেই সাধারণ মানুষের প্রতি। সাধারণ মানুষ তাদের কাছে একটা ভোট মাত্র। তাও সেটা পাঁচশো টাকা, কিংবা পাঁচ কেজি চাল অথবা অন্যান্য প্রকল্প দিয়ে কেনা যায়। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আরো জোরালো কাজ করে। তা না হলে মিথ্যা মামলা ধর্ষণ, দেশদ্রোহী তকমা। তাতেও কাজ না হলে ভারাটে গুণ্ডা বা সুপারি কিলার দিয়ে প্রাণ ভোমরাটাকেই উড়িয়ে দাও। ভোটার নেই ভোটও নেই সহজ পদ্ধতি। তবুও সদ্য স্বাধীন দেশের কর্মকর্তারা সেই চেষ্টার বীজ অঙ্কুরিত করেছিল। ভারতবর্ষকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হলেও উৎপাদনের উৎসসমূহের সামাজিক মালিকানা এবং উৎপাদিত সম্পদের বন্টন টাইপের সমাজতন্ত্র ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত হয় নি। আবার উদারনীতি বা ধনতন্ত্রও একচ্ছত্র ভাবে স্বীকৃতি পায় নি। ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ নীতি অনুসারে ভারতবর্ষে  ব্যক্তিমালিকানা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানা স্বীকৃত। মিশ্র অর্থনীতির মধ্যে দিয়েই সরকারি উদ্যোগের প্রসার এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চেয়েছিলেন ঐ সময়ের রাষ্ট্রনায়করা। গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র নীতি অনুসারে রাষ্ট্র  সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক ন্যায়ের ভিত্তিতে সমাজব্যবস্থা গঠন করে জনকল্যাণে সচেষ্ট হবে। জনকল্যাণমুখী সরকারি নানা প্রকল্প থাকলেও তা সার্বিক সফলতা অর্জনে ব্যর্থ। তাছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী কাল থেকে বিংশশতকের শেষ পর্যন্ত এমন কী একবিংশ শতকে প্রথম দশক এবং তারও বেশি সময় পর্যন্ত মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব ছিল।  আজও আছে। তবে মিডিয়া এবং মুঠোফোনের দৌলতে মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন এবং সেগুলি সম্পর্কে জানতে পারে। সেকালে  এমনটার অবকাশ ছিল না। সেই সকল জনকল্যান মুখী সকল প্রকল্পের সুফল মানুষ পায় নি। পিছিয়ে থেকেছে সমাজ,  দারিদ্র বেড়েছে। একশ্রেণি হাতে অর্থ কুক্ষিগত হয়েছে। দূরত্ব বেড়েছে অর্থবান ও অর্থহীনের।  এরজন্য অনেকাংশে দায়ী সরকারি আমলা ও রাজনৈতিক নেতাদের এমন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পকে প্রচারের  অনীহা। সেইজন্যই—

“যুগ যুগান্তর হতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনে

জীবনে মরণে।

ওরা চিরকাল টানে দাঁড়,  ধরে থাকে হাল

ওরা মাঠে ঘাটে বীজ বোনে, পাকা ধান কাটে-

ওরা কাজ করে নগরে প্রন্তরে”

তারা চিরকাল বঞ্চিত থেকেছে।

 

তবে সময় কাউকে ক্ষমা করে না। আজকের রাজনীতির ময়দানে রাজনৈতিক নেতাদের ভারতজোড়ো, জনসংযোগ, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, দুয়ারে সরকার, আবাস যোজনা, বিনা পয়সায় রেশন, পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা, একশো দিনের কাজ ইত্যাদি ইত্যাদি কত কত রঙ্গ, কেবল সভ্যতার সেই কারিগরদের নিজেদের দিকে টানতে। এতদিন যাদের কেবল বঞ্চনা করে এসেছে আজ সেই বঞ্চিতরাই যে ক্ষমতাবানদের পিছনে টানছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশ ও দেশের সম্পত্তিকে নিজেদের ভাবা ছদ্ম দেশপ্রমিকদের মাটিতে টেনে নামিয়েছে চিরবঞ্চিতরাই। তারাই এখন এক মাটিতে বসিয়ে এক ঘটিতে জল খাওয়াচ্ছে ক্ষমতার ধ্বজাধারীদের। সকল রাজনৈতিক দল পাল্লা দিয়ে জনকল্যাণমুখী প্রকল্প কেবল ঘোষণাই করছে না, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সেগুলো তৎপরতা সঙ্গে কার্যকর করছে জনগণকে নিজেদের দিকে টানতে। এই সকল জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি তো  সমাজতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের  মহিমান্বিত করে। তবে এটাও ঠিক ব্যক্তি  মালিকানার বহরও বহুগুণ বেড়েছে গায়ে-গতরে। একটা বিশেষ  শ্রেণির মানুষের হাতে দেশের অধিকাংশ  অর্থ- সম্পদ কুক্ষিগত  হচ্ছে। তবুও বলি সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকার জন্য মানুষ অনেক সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছে। তাই বোধ হয় কোনো শব্দই মুছে ফেলার নয়, ফেলে দেবার নয়।  

 

    

0 Comments

Post Comment