পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR ‌ একটি সম্পূর্ণ অন্য প্রক্রিয়া যার সাথে ২০০৩ এর নাগরিকত্ব আইনের বেশ খানিকটা মিল পাওয়া যায়। ‌ নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক কাজ হল ভোট ব্যবস্থাটি চালানো, তাদের কাজ নাগরিকত্ব ‌ যাচাই নয়, তার জন্য আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তর।‌কিন্তু এখন দেখা গেল এই গভীর সংশোধনের নাম করে আসলে নাগরিকত্বের প্রশ্নটাই তুলে আনা হচ্ছে। ‌

Read more


সংবিধানের ১০ নম্বর ধারাটির উল্লেখ করা প্রয়োজন। সেই ধারায় বলা আছে, একজন ব্যক্তি যদি একবার নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে সেই নাগরিকত্ব এইরকম সরল কোনও পদ্ধতিতে চলে যেতে পারে না। এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল, তার সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন, ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং আরো বেশ কিছু প্রক্রিয়া যুক্ত। নির্বাচন কমিশন চাইলেই তা করতে পারে না, অথচ সমস্ত সংবিধানকে উলঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরীর নামে স্বেচ্ছাতারিতা চালাচ্ছে।

Read more


এই সরকার গত ১১ বছরে আসলে প্রতিটি নাগরিককে একলা করে দিয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে তাঁর নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত রেখেছে, যে তিনি অন্য কিছু নিয়ে ভাবতেই যাতে না পারেন তার ব্যবস্থা করেছে। কখনো আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সংযোগ, কখনো ফোনের বা রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযোগ করানোর নিদান দেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি নাগরিককে উদ্বেগে রেখেছে। ভোটার তালিকায় যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী চলছে তাতেও বহু মানুষ উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই সাম্প্রতিক রিজেন্ট পার্ক থানার আত্মহত্যার ঘটনা।

Read more


নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি জয়টা নিশ্চিত করতে পেরেই ঝাঁপি খুলে দিল এসআইআর। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনীর নামে বেছে বেছে দলিত, সংখ্যালঘু, মূলনিবাসী, গরিব মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নাও। এ শুধু বিহারেই থেমে থাকবে না, সব রাজ্যে হবে। পুরোনো ভোটার তালিকাকে খারিজ করে নতুন ভোটার তালিকা বানানোর প্রস্তুতিপর্ব। স্বৈরাচারী-গণতন্ত্রকে আশ্রয় করে এসআইআর গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে।

Read more


বিহারে নির্বাচন তালিকার যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন হয়েছে তার থেকে নির্বাচন কমিশনের মনভাব স্পষ্ট হতে আর বাকি কিছু নেই। পরিস্কারই বোঝা যায় তাদের মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া। বিহার দিয়ে শুরু হলেও এই প্রক্রিয়া চলবে গোটা দেশ জুড়ে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ওড়িশ্যার কথা বলা হচ্ছে। বিহারের মানুষ প্রতিরোধে সামিল হচ্ছে, পালা আসছে আমাদেরও, বুঝে ও যুঝে নেওয়ার। এখন বাংলা সহ আরও ১২টি রাজ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাই এই বিষয়টা সবার ভালো করে জানা উচিৎ।

Read more


দেশের অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক রভীশকুমার বলেছিলেন গোদী মিডিয়া না দেখতে। দিল্লির ক্ষেত্রে অনেকসময়ে এই কথা মেনে চললেও, বাংলার ক্ষেত্রে আমরা নানান সময়ে এই গোদী মিডিয়ার ভাষ্যেই বিশ্বাস করে থাকি। আসলে আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটাই গোদী মিডিয়া দেখায়। এটা একটা বৃত্ত, যার কোনও শেষ নেই। আমরা ভাবতে যা ভালোবাসি, সেটাই গোদী মিডিয়া আমাদের দেখায়। আমরা পাশের মুসলমান মানুষটিকে অনুপ্রবেশকারী ভাবি, কিন্তু হিন্দিভাষী মানুষটিকে ভাবি না, তাই গোদী মিডিয়াও সেটা দেখায় না।

Read more


SIR কি NRC-র মতোই? আমাদের আশঙ্কা, “Special Intensive Revision”-এর আড়ালে National Population Register (NPR) এবং পরবর্তীতে National Register of Citizens (NRC) চালু করার পরিকল্পনা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। যদি ট্রান্স- ক্যুয়ার মানুষদের SIR থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে তাঁরা তাঁদের নাগরিকত্বের অধিকার হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন।

Read more


যারা এই নথির গাড্ডায় পড়বে, তাদের একটি বড় অংশের, যার মধ্যে সিংহভাগ মহিলা, ধরাছোঁয়ার মধ্যে সেসব নথি নেই। এই বিষম পরিবেশে এর দায় ভোটারদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্বের কষ্টিপাথরে ভোটাধিকারের পবিত্রতা বিধানে নেমেছে। নথিপত্রের সমস্যা আদৌ ব্যক্তিগত ঘাটতির বিষয় নয়, সমস্যা কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক, যাতে বাস্তবিক ভুক্তভোগী ভোটারদের হাত নেই।

Read more

by মনসুর মণ্ডল | 14 November, 2025 | 566 | Tags : SIR Women Citizenship Act


যে সংবিধান একসময়ে সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছিল, সেই সংবিধানের অপপ্রয়োগ করে সেই মানুষদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে, তারপর সংবিধান রক্ষা নিয়ে বড় বড় কথা বললে, কি সংবিধান দিবসের মর্যাদা থাকে? যেহেতু ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্যতম পরিচায়ক, ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা, তাই এখানেও ডাঃ বি আর আম্বেদকরের কথাটিই আবার সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।

Read more


বাংলায় নির্বাচন কমিশন ২০০২-এর ভোটার তালিকাকে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এস আই আর-এর ভিত্তিরূপে ধরেছিল। যদিও এখন কাজ চালাচ্ছে ২০২৫-এর তালিকা দিয়ে। কমিশনের নানা কথা ও আচরণের মধ্যে কোনো সঙ্গতি নেই। বাংলায় যেনতেন করে বিপুল সংখ্যক বিজেপি বিরোধী ভোটার বাদ দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। এরই মধ্যে একটি সত্য জ্বলজ্বল করে বেরিয়ে এসেছে যে সোনালি খাতুনদের পরীক্ষা দিয়েই যেতে হবে, কারণ ঘটনাচক্রে তাঁদের জন্ম হয়েছে মুসলমান পরিবারে।

Read more


আধার কার্ডও আসার আগে বলা হয়েছিল এটা ঐচ্ছিক নয়, বাধ্যতামূলক নয়। বাধ্যতামূলক কিছুই নয়। আমার বাড়িতে কোন লোকের যদি লেখাপড়া জ্ঞান না থাকে এবং তার যদি রোজগারও না থাকে, সে যদি বোধবুদ্ধি হীন কেউ হয়, নেহাত সেই কারণে আমি যদি নিষ্ঠুরের মতন তার এপিক, আধার, প্যান, রেশন কার্ড কিছুই না করি - এতে কি প্রমাণিত হয় যে ওর কোন লোকাসস্ট্যান্ডি নেই?

Read more


নাম বাদ পড়ার পর থেকে রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে । কেমন এক হাল্কা লাগছে । পাখির মতো উড়তে উড়তে চলছিলাম আর নিজেকে দেখতে থাকি , দেখি হাঁটছি জঙ্গলের ধার দিয়ে ।এমন এক জঙ্গল যেখানে বাড়ি আছে।

Read more


সিপিআইএম পার্টির বঙ্গীয় নেতৃকুল আর পার্টির ত্রিপুরা নেতৃকুলের বক্তব্যে বিস্তর পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক। ত্রিপুরায় কোন সাড়া শব্দ করার উপায় সিপিআইএমের নেই। তাদের জিজ্ঞাসা করুন তোমাদের প্রধান শত্রু কে? এবার একই প্রশ্ন করুন পশ্চিমবাংলায়, দেখবেন সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী উত্তর। স্মরণ করুন, মানিক সরকার বলেছিলেন, তৃণমূলের তপ্ত তাওয়া থেকে বিজেপির ফুটন্ত তেলে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মূর্খামি।

Read more

by মালবিকা মিত্র | 03 December, 2025 | 776 | Tags : CPIM Politburo SIR


রাজ্য ভরে যাচ্ছে, ‘অনুপ্রবেশকারী’তে। এটি হচ্ছে বিশ্বাস, যেটি চলতে SIR আবহে খুব গতিশীল একটি বিশ্বাস। সর্বত্র ওপার বাংলার লোক বা অনুপ্রবেশকারীতে ভরে যাচ্ছে। রাজনীতিকদের কথা বাদ দিন, রাজনীতি করতে হলে বিরাট বিরাট বক্তব্য বিনা গতি নাই, কিন্তু আমরা যারা সাধারণ? তাঁদের অনেকেও তো একইভাবে ভাবছেন।

Read more


২০০১ সালের সেনসাসে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যা ছিল ৮.০২ কোটি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৭.৮৪। সেই বছরের সেনসাসে বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা ৬৮,২৫৯,৩৫৫। অর্থাৎ এই রাজ্যে বসবাসকারী প্রায়, ৮০,২০০,০০০ - ৬৮,২৫৯,৩৫৫ = ১১,৯৪০,২৫৯ জন বা ১ কোটির বেশি মানুষ বা প্রায় মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ % বাংলা ব্যতীত অন্য ভাষায় কথা বলেন। তাহলে কি বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে না কমেছে? আমাদের চারপাশ কী বলে?

Read more


আগামী সেনসাস শুরু হওয়ার আগেই আমরা ১৬ বছর পিছিয়ে যাচ্ছি মাইগ্রেশনের প্রকৃত তথ্য থেকে। এই ১৬ বছরের ফাঁকে পরিযায়ী নির্মাণ শ্রমিক শহর মুম্বাই গড়ে তুলেছে, বাস করছে সেখানে আর তার তথ্য রয়ে গেছে বিহারে, উত্তরপ্রদেশের গ্রামে। রাজস্থানের জরি শিল্পে বা হরিয়ানার কারখানায় যে শ্রমিক ঘাম ঝরাচ্ছে সে সংখ্যায় রয়ে গেছে মুর্শিদাবাদ বা ওড়িশার গ্রামে।

Read more

by অঞ্জন ঘোষ | 08 December, 2025 | 433 | Tags : SIR Illegal Migrants Census


রাজপাটে মৌরসী পাট্টা গেড়ে বসার পরে কেনই বা দুধেল গাইদের বিদেশে গচ্ছিত টাকা নিয়ে টানাটানি করা হবে? কখনো কখনো তাঁরা দেশ ছেড়ে বিদেশে যাবেন, সেই বন্দোবস্ত রাখতে হবে বৈকি। তাঁরা তো নির্বাচনী তহবিলে নামে বেনামে টাকা দেন, নির্বাচনী বন্ডও কিনেছেন। তাই এখন কালো টাকাও নেই, কালো টাকার বিদেশ গমনও নেই। কিছুদিন পরে কি আমাদের এটাও জানানো হবে, যে ভারতে বিদেশী বলেই কেউ নেই, কিংবা এই SIR এর পরে যাঁদের বিদেশী বলে বলা হচ্ছে, সেটাও অত্যন্ত নগণ্য?

Read more


আজ ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫। আজ নির্বাচন কমিশন তাঁদের বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়ার ফল প্রকাশ করবে, অর্থাৎ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। আজ থেকে কিন্তু সমস্ত মানুষের অনিশ্চয়তা কেটে যাচ্ছে এমনটা নয়, উল্টে আজ থেকে বহু মানুষের অনিশ্চয়তা আরো বাড়বে। হয়রানি বাড়বে। নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে সরকারের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হবে। আরো নতুন নতুন নিয়ম লাগু হবে, গোদী মিডিয়া জুড়ে সান্ধ্যকালীন চর্চার বিষয় হয়ে উঠবে, বাদ যাওয়া মানুষের সংখ্যা, কিন্তু মানুষের হয়রানি নিয়ে কেউ কথা বলবেন কি?

Read more