পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

গতকাল প্রাক্তন আইএএস কান্নন গোপীনাথন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা নিয়ে একটি টুইট করেছেন। উনি কাল রাত আটটায় কী বলেছেন আমরা শুনেছি। কান্নান গোপীনাথনের টুইটের বিষয়: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী বলতে পারতেন। এখানে সেই পুরো কাল্পনিক বক্তৃতাটি অনুবাদ করে দেওয়া হল।

Read more


এই করোনা আক্রান্ত সময়ে গ্রামের মানুষজন কি করছেন? তাঁরাও কি ঘরবন্দী হয়ে আছেন? তাঁদের কি ঘরবন্দী হলে চলবে?

Read more


শুধু লকডাউন বললেই যদি সমস্যার সমাধান হয়ে যায় তাহলে আমরা আমাদের সমাজে এত বৈপরীত্য দেখছি কেন? আসলে আমরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের অবস্থান থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। মহামারী উপলক্ষ্য মাত্র।

Read more


হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে, উপার্জন হারিয়ে নিজ নিজ ঘরে ফিরতে চাইছে, কিন্তু ফিরতে পারছে না। ফিরবে কী করে লকডাউন চলছে যে! ট্রেন নেই, বাস নেই অন্য কোনও বাহন নেই। রাষ্ট্র মানুষকে, মানবসভ্যতাকে বাঁচাতে সব বন্ধ রেখেছে।

Read more


অবশ্যই এই সময়ে সব থেকে জরুরী মানুষের খিদে নিয়ে কথা বলা। কিন্তু অসংখ্য মানুষ যে ঘোরের মধ্যে থেকে খিদের কথা, অধিকারের কথা , একসাথে বাঁচার কথা বলতে ভুলে গেল সেই নেশার দ্রব্যটি নিয়েও কথা হোক।

Read more


বিশ্বে বিস্ময় জাগিয়ে চীন করোনার গ্রাস থেকে মুক্ত। পশ্চিমী দুনিয়ায় শক্তিশালী পুঁজিবাদী দেশগুলিতে করোনা মহামারিতে জনজীবন বিধ্বস্ত। কী বার্তা বয়ে আনে এই বৈপরীত্য?

Read more

by মনসুর মণ্ডল | 18 April, 2020 | 2160 | Tags : corona lockdown china


নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে গেলে নিত্য যেটি প্রয়োজন তা হল কাজ আর অর্থের যোগান। কারণ এই অতি সাধারণ মানুষগুলির নিত্য খাদ্য তালিকার মধ্যে যা যা লাগে তার অনেকটাই বাজার নির্ভর। খাদ্য ও অর্থ সুরক্ষার সামঞ্জস্য না থাকলে বজবজ-মহেশতলা অঞ্চলের এইসব অনিত্য-প্রয়োজনীয় শিল্পের সঙ্গে যুক্তশ্রমজীবি মানুষগুলি ভাত ফুটোবে কী উপায়ে?

Read more


খদ্দেরবিহীন বন্ধ ঘরগুলোয় অলস ভাতঘুমের আবহ। তবু শাম্তি নেই। স্বপ্নে চেনা খদ্দেরদের মুখগুলোও ভাসছে। নির্জন খাটের স্বপ্নে আর একটা অবয়বের সান্নিধ্য। লকডাউনে খদ্দের আসা বন্ধ হওয়ার আগে অনেক যৌনকর্মীই খদ্দেরদের কাজের আগে নিয়ম করে সাবানে হাত ধোয়ানো বা হাতে স্যানিটাইজার লেপার দায়িত্ব পালন করছিলেন। কেমন আছেন যৌনকর্মীরা?

Read more


করোনা ভাইরাস থেকে দুর্ভিক্ষে বেশি মানুষ মারা যাবেন। তাই এই লকডাউন থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরোনো দরকার এবং তার জন্য দরকার একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা যার মূলে থাকবে অনেক বেশি সংখ্যক এবং সঠিকভাবে করা পরীক্ষা যার দ্বারা সংক্রমিত মানুষদের দ্রুত চিহ্নিত করে আলাদা করার ব্যবস্থা করা যাবে।

Read more


রেশনে গম দেয়, চালও। বন্ধুদের বাড়িতে খেয়ে দেখেছি, বেশ ভাল খেতে। পয়লা রোজার দিন এই সব বলার কী মানে? গমের সঙ্গে (যদি থাকে) একটু ডাল, সঙ্গে খানিকটা চাল দিয়ে তৈরি করা যায় অপূর্ব এক খাবার। গরিবের খাদ্য। শস্তার দু এক টুকরো মাংস তাতে দিতে পারলে আরও ভাল। না পেলেও চলবে, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো সয়াবিন চলতে পারে। হ্যাঁ, একটু সহিষ্ণু হয়ে রান্না করতে হয় পদটি। হালিম।

Read more


কলকাতা সহ এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছোটো বড় যে লালবাতি এলাকা গুলো আছে সেগুলোতে প্রায় ষাট হাজার কমার্শিয়াল সেক্স ওয়ার্কার বসবাস করে। লকডাউনে আমরা কি ভাবছি তারা কিভাবে বেঁচে আছে বা থাকছে? নাকি আমাদের শহুরে জীবন যাপনের বিলাসিতা তাদেরকে আরও প্রান্তিকতর জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বা দিতে চলেছে।

Read more


হুতোমের ওয়ার্ক ফ্রম হোম হয়েচে। সম্পাদক কোরোনায় ভুগচে, তবে গিন্নী আর কন্যের হয়নি। ভাগ্যে গিন্নীকে চুমো খাওয়ার সমন্দ অনেককাল চুকে গিয়েচে! তবে সম্পাদকের এম্নি আতঙ্ক, সে হুতোমকে বলেচে কোতাও যাওয়া হবে না। যত বলি ভূতের ছোঁয়া লাগে না, ভাইরাস হাজির হবে কোতা হতে? কান দেয় না। তা দেশে যা রঙ্গ হচ্চে, ঘরে বসেই নকশা লেকা চলতে পারে। কয়েকটি হুতোম বয়ান কচ্ছেন।

Read more


কেবল ভ্রমনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৯ কোটি জনতার কী হইবে? ২০১৫-১৬ সালে জিডিপিতে ভ্রমণ শিল্পের অংশ ছিল ৫.২%। ২০১৭-১৮ সালে ওই শিল্পে প্রত্যক্ষ ভাবে কর্মরত ছিল ৩.৫৪ কোটি মানুষ, পরোক্ষ ভাবে কাজ করতেন ৪.৫৬ কোটি কর্মচারী, মোট ৮.১১ কোটি ভ্রমণ শিল্পে জীবিকা নির্বাহ করতেন, যা ভারতবর্ষে মোট নিয়োগের ১২.৩৮% ছিল। অনুপাত যাই হোক না কেন, গত দুবছরে সংখ্যাটা বেড়েছে বই কমে নি। ফলে কোভিড ১৯ জনিত আতঙ্ক, যা লকডাউনের ফলে ব্যাপকতা লাভ করেছে, সরাসরি প্রায় ৯ কোটি কর্মচারীর জীবন ও জীবিকাকে বিপন্ন করে তুলেছে।

Read more


আর্টিকেল ১৪ বলে একটি ওয়েব পত্রিকাতে এই লেখাটি বেড়িয়েছে কিছু দিন আগে, যেখানে প্রশ্ন করা হয়েছে লকডাউন কি আদৌ জরুরী ছিল? আর কোনও উপায় কি ছিল না? সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য আর কি করণীয় ছিল আইসিএমআর কি বলেছে? গবেষণা কি বলেছে? লিখেছেন নীতিন শেঠী। আমরা সহমনের পক্ষ থেকেও একই প্রশ্ন রাখলাম।

Read more


আমাদের দেশে ফি বছর যক্ষায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছে আট লক্ষেরও বেশি নবজাতকের। সে তুলনায় করোনায় মৃতের সংখ্যা কত? কিন্তু তার জন্য কত দাম দিতে হবে ভারতবাসীকে?

Read more


এদানি সরকার বাহাদুরের ভারী মায়া দয়া হয়েচে। দেশ সুদ্ধ তালা ঝুলিয়েচেন, ছোটলোকে খেতে পাচ্চে না এ কতা যতক্ষণ নিন্দুকে বলেচেন ততক্ষণ কানে তোলেননি। কদিন হল বড়বাবু স্বপ্নাদেশ পেয়েচেন যে যে পথে আটকে পড়েচে সকলকে নিজ নিজ বাটীতে পৌঁচে না দিলে অমরাবতীর প্যাটেলের স্ট্যাচুতে চিড় দ্যাকা দেবে। তাই হেঁকে বল্লেন, এই, এদের সব যে যেকানে যাবে পাঠিয়ে দাও।

Read more


সারা দেশে অনেক মানুষ এই ত্রাণের কাজে নেমে পড়েছেন। কিন্তু সবার অলক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন এই সুদাম, বাপি, সঞ্জয় এবং বাদলদারা। এই মানুষেরাই তো আসল কমিউনিস্ট, এঁরাই তো মানুষের বিপদের সময়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে জানেন। এই মানুষদের হয়তো পুঁথিগত মার্ক্সবাদী শিক্ষা নেই, কিন্তু এই মানুষেরাই তো আসল শিক্ষক। এই মানুষদের কোনও হোয়াটসয়্যাপ বা ফেসবুক না থাকলেও, এই বাদলদারাই রোজ মানুষের কাছে যাচ্ছেন, এনারাই তো আজকের দিনের আমাদের শিক্ষক।

Read more


মহামারীর আতঙ্কে যখন ঘরবন্দী গোটা দুনিয়া , মানবসভ্যতা প্রবল সঙ্কটের মুখে, সেই সময় বদলে যাওয়া আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার এক দিকনির্দেশ এই ঘরবন্দীর দিনগুলি শীর্ষক লেখাটি…

Read more


আমাদের কথার বলার স্বাধীনতা ঠিক ওই বাবুটির বাতাস টেপার মতো। স্বাদহীন কথা বলে আমরাও আমাদের স্বাধীনতাকে পুষিয়ে নিচ্ছি। স্থান-কাল যাই হোক- রাজনৈতিক মঞ্চ হোক কিংবা ধর্মীয় জালসা, টিভির টক-শো হোক কিংবা খবরের কাগজ, রক হোক কিংবা চায়ের দোকান, বাস কিংবা ট্রেণ, তার ওপর আজকাল হয়েছে ফেস্‌বুক, ট্যুইটার। অবশ্য এতে আমাদের লাভ না হলেও এই করোনাকালে ক্ষতি কিছু হচ্ছে না! দিব্যি কাল কেটে যাচ্ছে ...

Read more


ভাষা ব্যাকরণের উদাহরণ টেনে মাঝে মাঝেই বলা যায় কিছু কথা, পুরুষ তিন প্রকার। আমি, আমরা, আমাদের- এসব হল উত্তম পুরুষ। (ইংরেজিতে First Person)। তুমি, তোমরা, তোমাদের- হল মধ্যম পুরুষ (Second Person)। আর সে, তাহারা, তাহাদের- হল প্রথম পুরুষ। (অর্থাৎ Third Person)।

Read more


যখন এই লকডাউনে সবাই কিছু না কিছু ছুট পেলেও আজ টানা ৪৬ দিন বইবাজার একেবারেই বন্ধ। কেমন আছেন ছাপাইকর্মী, বাঁধাইকর্মী, প্রকাশক, বইবিক্রেতারা। কিংবা ফুটপাতে বই সাজিয়ে যাঁরা পুরনো বই বিক্রি করেন! কেমন আছেন তাঁরা। জানি না। এনিয়ে কোনও মিডিয়ায় তেমন খবরও নেই।

Read more


করোনাকালের আগে ও পরে একজন আত্মমুখী মানুষের রোজনামচা.সেই হারিয়ে যাওয়া লেখাগুলির খোঁজে আমার দিন-রাতের অনেকটা সময় নষ্ট হয়। এই ভাবেই একটু একটু করে আমিও নষ্ট হই এই পৃথিবীর আলো-অন্ধকারে।

Read more


As cases started surfacing the central government started declaring hotspots and various coloured zones with very little back up public health initiative. The country failed to come up with with any plan for mass screening of the hotspots due to lack of serology kits and only had to depend on the costly and time-taking RT-PCR testing of those who are either quarantined because of foreign travel or for having a contact history with confirmed covid cases

Read more

by Dr Anindya Sen | 11 May, 2020 | 1492 | Tags : corona lockdown


ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য হচ্ছে। সচ্ছল পরিবারের ছেলে মেয়েরা অনলাইনে বা গ্রূপে ক্লাস করার পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। কাজে লাগাক, না লাগাক সুযোগ তো পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সচেতন বাবা মা গ্রূপে ছেলে মেয়েদের হয়ে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছেলে মেয়েরা যাঁদের স্মার্টফোন ব্যবহারের কোন সামর্থ্য নেই, উপায় নেই তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে অনলাইন বা গ্রপের ক্লাস থেকে। ওরা এই সুযোগ পেলে নিজেদেরকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে সম্পৃক্ত করে আরো ভালো রেজাল্টের দিকে এগিয়ে যেত।

Read more


মধ্যবিত্ত ঘরে বসে। লকডাউন ডিপ্রেশন উদযাপন করছে। আর লক্ষ লক্ষ শ্রমিক হেঁটে চলেছেন অনন্যোপায় হয়ে। মৃত্যুমিছিল চলছে। এরই মাঝে রামমন্দিরের টাকার বন্দোবস্ত হয়েছে। দেশের সবকিছু বিক্রি করা হয়েছে। আমাদের হেলদোল নেই। এই নিয়ে পরে আলোচনা করব, কিন্তু আদত সত্যিটা একটু বলে যাই। সেটা হোলো আপনার আমার এখনও শোকের অবকাশ আছে। ভয়ানক ডিপ্রেশন হলে এই খবর এড়িয়ে যাবার ক্ষমতা আছে। অনেকের নেই। শ্রমিকের নেই।

Read more


প্রথম বিশ্বের দেশও যখন এই ভাইরাসের খপ্পরে পড়ে তখন তড়িঘড়ি তা সংবাদ শিরোনামে; তাই ঘটেছে এবারেও। এই মুহূর্তে পরিযায়ী, কাজহীন শ্রমিকের ঢল রাজ্যে রাজ্যে; তারা অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত; নিভৃত গৃহবাস ক’জনের সম্ভব তা অনুমেয়। ১০০০-১৫০০ কিলোমিটার পথ গোরুর মতো গাদাগাদি করে ট্রাকে, পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, অভুক্ত আর অনাহারে থেকে  স্বাভাবিক Immunity-ই তলানিতে

Read more


মাইলের পর মাইল অনন্ত হেঁটে চলেছে ভারতের শ্রমিকেরা। তারা ভারত গড়ার কারিগর। ঘরে ফেরার অসহায় আর্তি নিয়ে আজ তারা পদাতিক। কারও নিথর দেহে ঘরে ফেরা। কেউ লাশকাটা ঘরে বেওয়ারিশ। আর অবশেষে দেহে প্রাণ নিয়ে ঘর অবধি পৌঁছনো, সে যেন ভাঙচুর হয়ে যাওয়া দেহ-মনের পরম ক্ষান্তি।

Read more


গত মার্চ মাসে কেন লক ডাউন হল সারা দেশে? সত্যিই কি সংক্রমণ আটকালো তাতে, বা কম হল? যদি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তবে কেন লক ডাউন উঠে গেল? এই প্রশ্ন করবেন না?

Read more


এডিটর বা প্রেসিডেন্ট যা- ই- হোন, এ মরসুমে ফ্যাসাদে আপনি পড়বেনই। হুতোম প্যাঁচার নকশা।

Read more


কোনো সন্দেহ নেই বর্তমান বামপন্থী কমিউনিস্টরা বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন নির্দিষ্ট একটা রণকৌশল নিয়েই, নতুন যায়গায় গিয়ে মানুষের মধ্যে বিশ্বাস অর্জন ও সংগঠন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে - পরবর্তী কালে এই যোগাযোগগুলি কাজে আসবে। কিসে কাজে আসবে সেটাও প্রশ্ন, আগামী বিধানসভা ভোটে নাকি পঞ্চায়েত ইলেকশনে নাকি সংগ্রামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে? এই বিপর্যয়কালে দাতা গ্রহীতার সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে কি মানুষের সংগ্রামী চেতনার উন্মেষ হয়?

Read more


'অনুগ্রহ করে শুনবেন। তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে থ্রু ট্রেন যাবে। দয়া করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।' দীর্ঘদিন হয়ে গেছে এ ঘোষণা শোনা যায়নি। তিন মাস ধরে লোকাল ট্রেন বন্ধ, ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথম।

Read more


স্বাধীনতার এতগুলো বছর পেরিয়েও দেশের সবরকম খাবার সবার মুখে পৌঁছে দেওয়া গেলনা।এ দায় কার?রাষ্ট্রের।সব মনে রাখা হবে।

Read more


ছবিগুলো কোনটিও কল্পিত নয় প্রতিটি ঘটনা ভিডিও ও ছবি সমেত মজুদ আছে কোথাও কোন সার্চ ইঞ্জিনে। তবে ছবির দৃশ্য আমার ও আপনাদের মনের মধ্যে অন্য আরও অনেক ইস্যুর নীচে একটু একটু করে বিস্মৃত হচ্ছে। তাই সাদাকালো রঙের ব্যবহার। এই সব ছবিগুলোতে যাকে লিঞ্চ করা হচ্ছে সেই মানুষ টার ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে ততটা ভয় লাগছে না আর।

Read more


চার মাস পরেও করোনা পরিস্থিতি বে-লাগাম কেন, এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। প্রশ্ন তো আরও। মানুষ কতদিন লকডাউনের বোঝা বইবে? দেশ আর কত ক্ষয়ক্ষতি মানবে? নিম্নবর্গের মানুষজনের এই ধকল সহ্য করার ক্ষমতাটুকুও যে আর অবশিষ্ট নেই।

Read more

by মনসুর মণ্ডল | 11 August, 2020 | 2122 | Tags : lockdown covid labour


মহাভারতের যুদ্ধ কবে শেষ হবে কে জানে? সেই কোন ছোটবেলা শোনা গল্পের সেই শ্রীকৃষ্ণ। রাজসভায় দুর্যোধনের ভাই দুঃশাসন ল্যাংটা করার জন্য দ্রৌপদীর শাড়ি টেনেই যাচ্ছে তো টেনেই যাচ্ছে। পাঞ্চালীর মা মেয়ের কথা শুনেই বুঝে গেল তার পাঞ্চালী কোনও শ্রীকৃষ্ণের জন্যই আর আশা করে থাকবে না। ফাঁকা প্ল্যাটফর্মের যে কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে পারু চাওয়া মাত্র নিজের পাতলা ছেঁড়া ফ্রকটা নিজেই খুলে রেললাইনে উড়িয়ে দেবে।

Read more


লোকাল ট্রেন বন্ধ প্রায় ছ’মাস। নগর কেন্দ্রিক যাবতীয় রুজির উপায় বন্ধ। মফসসলের লক্ষ লক্ষ মানুষ চরম বিপদের মধ্যে। কিন্তু অতিমারীর এই অবরুদ্ধ সময়ে লোকাল ট্রেন কবে এবং কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালানো যেতে পারে তা নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না রেল দফতর বা রাজ্য সরকার। এখানে তারই কিছু সুপারিশ। দ্বিতীয় পর্ব।

Read more


শুধু লকডাউন নয়, করোনাও এসে অনেকগুলো জিনিস আঙুল তুলে দেখিয়ে দিচ্ছে। আমাদের দেশে এবং রাজ্যে স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবস্থা আর কত সহজে একটা আতঙ্কের চাষ করা যায়, সেসব তো বটেই, সে নিয়ে ক্রমাগত বলে যাচ্ছি। কিন্তু এসব বাদেও কতকগুলো জিনিস চোখে পড়ছে। রোগটা শহুরে বা আর্বান। যে জায়গাগুলোতে গতবছরে এবং এবছরেও রোগের বিস্তার ঘটেছে, তীব্রতা, সবই শহরকে ঘিরে। যে রাজ্যে যত বেশি নগরায়ণ ঘটেছে, সেখানে তার প্রকোপ, মোট আক্রান্তের সংখ্যা আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার সবদিক থেকেই, বেশি।

Read more


বেকারত্ব কুড়ে খাবার এক পূর্বাভাস ঝড়ের মত বয়ে আসছে। তাই আগামী দিনে যে, নতুন নিয়োগের দরজা পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে,তা নিশ্চিত।ফলে লাফিয়ে বাড়বে স্কুলছুটের সংখ‍্যা।পড়াশুনো বন্ধ করে দেবে এক বিরাট ছাত্রসমাজ।তাই "লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে" বলেও শিশুমনকে পড়াশুনোয় উৎসাহিত করা যাবেনা আর।হয়তো সবশুনে শিশুরাও বলবে,কি হবে লেখাপড়া করে?কাজই তো নেই।এতদিন জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়ানো বলতে তারা যা বুঝতো,সময় তাদের শেখাল এই কথা কতটা অর্থহীন।

Read more


আমাদের ছেলে মেয়েরা যদি প্রশ্ন করে এই অন্য পৃথিবী নিয়ে, যদি জানতে চায় কেন আমরা তাদের জানতে দিইনি তাদের সহ নাগরিকদের কথা তখন কী উত্তর দেব? আমরা তো আমাদের সুবিধাবাদ দিয়ে জামলোকে মরে যেতে দিয়েছি, রামপুকার পণ্ডিতের বুকফাটা কান্না আমাদের নাড়া দেয়নি, বিহারশরিফের একরত্তি বাচ্চার মৃত মায়ের মুখ আমরা ভুলে মেরে দিয়েছি। এই প্রজন্ম তবু জানুক তাদের হারিয়ে যাওয়া সহ নাগরিকদের, ভাবুক, তৈরি হোক তাদের বাবা মায়েদের ক্রিমিনাল নীরবতা, অপারগতার গ্লানি কিছুটা লাঘব করতে। কারণ “the sky is still blue. Roads are still long. People are still walking”.

Read more


এমনিতেই কোভিড পরিস্থিতিতে বহু মানুষ চাকরি খুইয়েছেন, বহু মানুষ অর্ধেক মাইনেতে কাজ করছেন। এই সব মানুষের জন্য আজকের বাজারের প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম, বিশেষ করে ভোজ্য তেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকার বলছেন সব কিছুর দাম বাড়বে, কারণ বিশ্বের বাজারে এই সব পণ্যের দাম বাড়ছে, বিশেষ করে তেলের বাজার এখন অনিয়ন্ত্রিত। প্রথমেই বলে রাখা দরকার এই যুক্তি একটি ডাহা মিথ্যা। তেলের ব্যবহারের বৃদ্ধি যে অর্থনীতি ও আয়ের সঙ্গে সমানুপাতিক তা বোঝার জন্য অর্থনীতিবিদ হওয়ার প্রয়োজন হয় না। সরকার বলছেন মোটা টাকা দিয়ে তেল আমদানি করতে হচ্ছে কারণ দেশে নাকি তেলের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র হল এই যে মোদি জমানায় ভারতে অপরিশোধিত তেলের ব্যবহার কমেছে।

Read more


ভোর বেলায় বেশ কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেলো। এখন থেমে গেছে। জাম গাছের মোটা পাতাগুলো এখনো কিছুটা জল ধরে রেখেছে তাদের সর্বাঙ্গে। সজনে পাতাগুলো তুলনায় তাদের ঝাড়া ঝাপটা চেহারা এখনই শুকিয়ে নেবার জন্যে হালকা রোদে গা নাড়া দিয়ে দিয়ে শুকিয়ে উঠছে। এসে গেছে ছাতারে পাখির দল। ভিজে মাটির উপরে ভিজে পাতা উল্টে উল্টে খুঁজছে তারা পোকামাকড়। ডালে ডালে নড়াচড়া করতে শুরু করে দিয়েছে কাঠবিড়ালির দল। একটা বেজি বেরিয়ে এলো বাগানের কোন থেকে, সঙ্গে একটা বাচ্চা। এগিয়ে আস্তে আস্তে একেবারে জানালার কাছে এসে পড়লো। তারপর মুখ তুলে দেখতে পেল মুগ্ধাকে - আর দেখতে পেয়ে নব্বই ডিগ্রি কোণে বেঁকে পালিয়ে গেলো ডানদিকের পাঁচিলের ধারে।

Read more


২০২১ সালের গত তিন মাসে সারা পৃথিবীতে মারা গেছে: করোনাতে = ৩১৪৬৮৭ জন, ম্যালেরিয়াতে = ৩৪০৫৮৪ জন, আত্মহত্যা = ৩৫৩৬৯৬ জন, পথ দুর্ঘটনা = ৩৯৩৪৭৯ জন, এইচ আই ভি = ২৪০৯৫০ জন, মদ্য পানে = ৫৫৮৪৭১ জন, তাহলে ? কেন এই বাধানিষেধ? কেন স্কুল বন্ধ করা? কেন লোকাল ট্রেনে বাধানিষেধ?

Read more


প্রাথমিক স্তরে যে জিনিসগুলো পড়ানো হয় তা বাড়িতে প্রাইভেট টিউটর রেখে আরো ভালোভাবে শেখানো সম্ভব। কিন্তু যেটা বাড়িতে সামাজিকীকরণ বা সমাজের উপযুক্ত করে গড়ে তোলাটা বড্ড কঠিন কাজ। একটা বাচ্চা ইস্কুলে এসে আর দশটা বাচ্চার সাথে মেশে। বাকি বাচ্চারা তার একই আর্থিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল থেকে উঠে আসে না। তারা একসাথে খেলা করে, বেঞ্চে বসে, টিফিন ভাগ করে খায়। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুর জন্য কান ধরে দাঁড়াতেও দ্বিধা বোধ করে না। এই সবের মাধ্যমে বাচ্চারা শেখে কিভাবে সবার সাথে জীবনটা ভাগ করে নিতে হয়। তাই প্রাথমিক স্তরের ইস্কুল আগে খোলা জরুরী।

Read more