পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

মোদীর বি জে পি না রাহুলের কংগ্রেস: নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে এগিয়ে কে?

২০২৪ এর জাতীয় কংগ্রেস ২০০৯ সালের কংগ্রেসের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত, সাধারণ মানুষের অনেক বেশি কাছের। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রত্যক্ষ করেছেন গরিব খেটে খাওয়া মানুষের যন্ত্রনা। তারই প্রকাশ ঘটেছে কংগ্রেসের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে। ওদিকে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের নাম ‘মোদির গ্যারান্টি’। মূলত সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদকে ভিত্তি করে বি জে পি- র এবারের সংকল্প পত্র। ১৪ টি বিষয়ে তারা জোর দিয়েছে। একটি তূলনামূলক বিশ্লেষণ রাখলেন দেবাশিস মিথিয়া।

লেনিন ও সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম

‘ইম্পিরিয়ালইজম : দ্য হায়েস্ট স্টেজ অব ক্যাপিটালিজম’ নামক বইতে লেনিন দেখান সাম্রাজ্যবাদের আমলে দেখা দেয় বড় বড় একচেটিয়া কারবার ও পুঁজিপতিদের জোট। এই সাম্রাজ্যবাদকে তাই লেনিন বলেন একচেটিয়া পুঁজিবাদ। বিশ্বের কাঁচামালের উৎস, পণ্যোৎপাদন ও বাজারের একটা বৃহৎ অংশ দখল করে নেয় একচেটিয়া মালিকেরা। বুর্জোয়া রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনে প্রভুত্ব করতে থাকে তারা, সরকারগুলির ওপর নিজেদের অভিপ্রায়কে চাপিয়ে দেয়। আজ ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনকে আবার পড়া জরুরি।

শুভমনের গল্প

---- দাও, কাগজের প্রথম পাতাটা দাও তো। শুভমনের সেঞ্চুরির খবরটা একবার দেখি। স্বপ্নময়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল শুভমন।

মনকে নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতা—নিউরালিঙ্ক ব্রেন চিপ

চুপিসাড়ে সম্পূর্ণ এক নতুন উপনিবেশবাদ আসতে চলেছে। আসবে তা অবশ্যই। আর সেই সুযোগে দখল নেওয়া হবে মস্তিষ্কের। মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করার দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের অন্তিম সীমানায় পৌঁছে যাবে এই প্রকল্প। সিলিকন ভ্যালির এই প্রকল্পের মূল কাজ হবে মানুষের মনে উপনিবেশ গেড়ে ভাবনার নিয়ন্ত্রণকে মুঠোয় নেওয়া।

উত্তরের ডায়েরি

সামনে লোকসভা নির্বাচন, মানুষ ভোট দিতে যাবে। বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন, দার্জিলিং। সেখানকার গতি প্রকৃতি কেমন? কে কোন অবস্থানে আছেন।

এই নির্বাচন ঐতিহাসিক ঠিকই, কিন্তু নেপথ্যের কারিগর কারা?

ভোট ব্যবস্থা এবং ভোটের মাধ্যমে শাসক বদলের নেপথ্যে যে সব রহস্যময় ক্ষমতার সমীকরণ প্রধান ভূমিকা নেয়, সেসব কখনোই মূল ধারার সংবাদপত্র জনসমক্ষে আনতে চায় না। অতিসরলীকৃত কিছু ন্যারেটিভ এর মধ্যে জনমানসকে তারা বেঁধে রাখতে চায়। এই আখ্যানের বাইরে গিয়ে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এবং পট পরিবর্তনের বাস্তবতাকে একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।

লোকসভা ভোট ঘিরে সঙ্ঘ- বিজেপির কৌশল

কেন নির্বাচনী জনসভায় মানুষের খাওয়া, পরা নিয়ে কথা বলছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী? উত্তর হল বিভাজনের রাজনীতিকে তীব্র করে তুলে, সহনাগরিক মুসলমান সমাজের মধ্যে একটা ভয়ের ভূগোলকে প্রলম্বিত করা। এভাবেই রাজনৈতিক হিন্দুরাষ্ট্রের দিকে হিন্দুত্ববাদী শিবিরের যে ভারতকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্রকেই সমাজের আরো গভীরে ছড়িয়ে দেওয়া টাই হিন্দুত্ববাদীদের একমাত্র টার্গেট।

নববর্ষ : মানুষের রঙে রাঙা হোক বর্ষবরণের উৎসব

এপার বাংলার মানুষ যেমন নববর্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন ঠিক তেমনি ওপার বাংলার বাঙালিরাও মেতে ওঠেন বর্ষবরণের উৎসবে। নববর্ষের দিন রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান হয়। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানায়, যা ঢাকার রাস্তায় বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন সব ধর্মের মানুষ। এখানেই উৎসব হারিয়ে দেয় ধর্মকে।

আরও পুরানো লেখাগুলি

চাঁদরাতের মেহেদি আর শাওয়াল মাসের পরব

ইদ সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। আমরা যারা নানান ধর্মের মানুষ এক গ্রামে কিম্বা এক এলাকায় থাকি তাদের মধ্যে ইদের আনন্দ ভাগ হয়ে গিয়ে আনন্দ আরও বেড়ে যায়। রামুমুচির বছরের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা হয় ইদের আগের কটাদিন। হরেন দর্জির তো ক-দিন ঘুম থাকে না চোখে। বিভাজনের এই সময়ে, আসুন না একটু জেনে নেওয়া যাক, আমাদের প্রতিবেশীর একটি উৎসব ইদ সম্পর্কে।

ডিফিট বিজেপি কথাটায় কার কার আপত্তি ?

বাংলায়, ইন্ডিয়া জোটের নির্বাচনী ঐক্য হয়নি। ঠিক যেমন হয়নি কেরালাতে। তাহলে ইন্ডিয়া জোটের কোনও শরিক, যদি বাংলায় বা কেরালায়, এই শরিকদলের কোনও একটি দলকে ভোট দিতে না বলে, জনগণের বিচারবুদ্ধির ওপর ছেড়ে দিয়ে বলে বিজেপিকে হারান, কাকে হারানো উচিৎ, তা যদি জনগণের প্রজ্ঞার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভুল কোথায়?

আখ্যান

ডিফিট বিজেপি কথাটায় কার কার আপত্তি ?

বাংলায়, ইন্ডিয়া জোটের নির্বাচনী ঐক্য হয়নি। ঠিক যেমন হয়নি কেরালাতে। তাহলে ইন্ডিয়া জোটের কোনও শরিক, যদি বাংলায় বা কেরালায়, এই শরিকদলের কোনও একটি দলকে ভোট দিতে না বলে, জনগণের বিচারবুদ্ধির ওপর ছেড়ে দিয়ে বলে বিজেপিকে হারান, কাকে হারানো উচিৎ, তা যদি জনগণের প্রজ্ঞার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভুল কোথায়?

চাঁদরাতের মেহেদি আর শাওয়াল মাসের পরব

ইদ সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। আমরা যারা নানান ধর্মের মানুষ এক গ্রামে কিম্বা এক এলাকায় থাকি তাদের মধ্যে ইদের আনন্দ ভাগ হয়ে গিয়ে আনন্দ আরও বেড়ে যায়। রামুমুচির বছরের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা হয় ইদের আগের কটাদিন। হরেন দর্জির তো ক-দিন ঘুম থাকে না চোখে। বিভাজনের এই সময়ে, আসুন না একটু জেনে নেওয়া যাক, আমাদের প্রতিবেশীর একটি উৎসব ইদ সম্পর্কে।

ইস্যু থাকলেও ইন্ডিয়া জোট ঐক্যবদ্ধভাবে তা নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছে না

ভোট গ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার যত তীব্র হচ্ছে, একটাই প্রশ্ন সমগ্র দেশজুড়ে, কর্তৃত্ববাদী দক্ষিণপন্থী শক্তিকে কি পরাস্ত করতে পারবে অসংলগ্নতা এবং খণ্ডিত হওয়ার ঝুঁকি বহনকারি বিরোধীজোট ?

পলাশীর যুদ্ধ, সিরাজ, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র : নির্বাচনী আবহে ইতিহাসের বিতর্ক প্রসঙ্গে

ইতিহাসবিদরা প্রায় সকলেই বলেছেন যে পলাশীর ষড়যন্ত্রের পেছনে যে যে কারণই থাকুক না কেন, বিভিন্ন স্বার্থের দ্বন্দ্ব যে পরিমাণেই ক্রিয়াশীল থাকুক না কেন, হিন্দু মুসলিম প্রশ্ন একেবারেই কোনও বিবেচনাধীন বিষয় ছিল না। পলাশীর ষড়যন্ত্রকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণে হিন্দু মুসলিম বিরোধ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া একদিকে যেমন ইতিহাসবিকৃতি, তেমনি অন্যদিকে বিজেপির ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ও সমাজকে বিভাজনের ধারাবাহিক অপচেষ্টার আর এক চরম নিন্দনীয় প্রয়াস।

ঘৃণা

এক বেল বাজাতে গিয়েও হাতটা সরিয়ে নেয় কাবেরী। “ছক্কা আ আ আ “ উল্লসিত চিৎকার অর্কর, “আমার সব ঘুঁটি বেরিয়ে গেল,তুমি এখন ঘরে বসে বসে পচে মর’।” “বাবু, তুমি কিন্তু চোট্টামি করছ। তখন পষ্ট দেখেছি, তোমার দুই পড়েছে। তুমি তিন বলে চালিয়ে দিলে আর আমার পাকা ঘুঁটিটা কেটে দিলে।“ প্রাণপনে প্রতিবাদ করে বকুল। বকুল, মানে অর্কর ‘আটাপিসি’।

“বাবা” রামদেব, সুপ্রিম কোর্ট, সরকার এবং ক্ষমতার লম্বা হাত

বেশ কয়েক বছর আগে থেকে রামদেবের ক্ষমতার সর্বোচ্চ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের শুরু। এ সম্পর্কের গভীরতা এবং দৃঢ়তা অনুধাবন করতে পারলে আমাদের মতো প্রায় সমস্ত সাধারণ মানুষের চোখ কপালে ওঠা অস্বাভাবিক কোন ঘটনা হবেনা। ২০১৬ সালের পরে হরিয়ানা সরকার আরাবল্লি পর্বতমালার যে এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত অরণ্যের মধ্যে পড়েনা সে অংশ নিরঙ্কুশভাবে তুলে দিয়েছে “বাবা”র হাতে। কিন্তু এবার, বগা ফান্দে পড়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে, ধমক খাওয়ার ফল কী হয়, তার দিকে এবার সারা দেশ তাকিয়ে থাকবে।