পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

পুরানো লেখাগুলি

ফ্যাসিস্ত হিন্দুত্বের জমানায় শান্তিপূর্ণ আইন-অমান্য আন্দোলনও উগ্রপন্থা

মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথে ‘আইন-অমান্য আন্দোলন’কেও বেআইনি ঘোষণা করার সংস্থান রয়েছে এই ‘মহারাষ্ট্র স্পেশাল পাবলিক সিকিউরিটি বিল ২০২৪’ বিলে। গান্ধীর অহিংসাকে ‘আহাম্মকি’ বলে অভিহিত করেছিলেন গোলওয়ালকর । সুতরাং, গান্ধী প্রবর্তিত আইন-অমান্য আন্দোলনকে তাঁরা বেআইনি কার্যকলাপের তকমা লাগাবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। রাজ্যের নতুন আইনে মহারাষ্ট্রে কোনও রকম সরকার-বিরোধিতা আর চলবে না

উড়িতেছে ডাঁস, উড়িতেছে বোলতা, উড়িতেছে ভীমরুল

মিডিয়ার স্টুডিও আলো করে কয়েকজন দাবি করে চলেছেন এসব নাকি ঠিক বাংলা ভাষার বা বাঙালি কৃষ্টির ওপর নাকি আঘাত নয়, এটা অর্থনৈতিক রেষারেষি থেকে শ্রমজীবি শ্রেণীর ওপর আঘাত। তা "ওরা কাজ করে" শ্রেণীর ওপর এই আঘাত কতটা পুরনো এবং যাঁরা এনাদেরকে "ওরা" বানিয়ে রাখেন তাদের এই দেখেও না দেখার প্রবণতাটা যে কতটা গভীর তা একটু খতিয়ে দেখা যাক।

জ্ঞানেশের আমড়াগাছি সংঘীদের আমলাতন্ত্র

নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি কাজে লাগিয়ে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি জয়টা নিশ্চিত করতে পেরেই ঝাঁপি খুলে দিল এসআইআর। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনীর নামে বেছে বেছে দলিত, সংখ্যালঘু, মূলনিবাসী, গরিব মানুষদের ভোটাধিকার কেড়ে নাও। এ শুধু বিহারেই থেমে থাকবে না, সব রাজ্যে হবে। পুরোনো ভোটার তালিকাকে খারিজ করে নতুন ভোটার তালিকা বানানোর প্রস্তুতিপর্ব। স্বৈরাচারী-গণতন্ত্রকে আশ্রয় করে এসআইআর গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে।

শিয়ালদায় বাঙালি নির্যাতন ও কিছু আনুষঙ্গিক প্রশ্ন

এই খাস কলকাতার বাংলাভাষী সুশীল সমাজের একাংশ যখন বাঙালির একাংশকে অবলীলায় বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করতে পারেন, কেউ চোখে আঙুল দিয়ে তাঁদের এই ভ্রান্তির কথা ধরিয়ে দেওয়ার পরও তাঁদের কোনো আত্মসমীক্ষা যখন দেখা যায় না, শিয়ালদায় কারমাইকেল হস্টেলে বাঙালি ছাত্রদের নির্যাতনকারী হিন্দি-উর্দুভাষীদের কাছে আমরা আর কীই বা আশা করতে পারি!

গ্লিচ

ভোর পাঁচটায় এসওএস। অবজারভেটরির ফোন, ডক্টর গুরুমূর্তি, হার্ট এটাক সিরিয়াস, কাম কুইক। ওসি মুরুগাপ্পা সবে প্রাণায়াম শেষ করে শবাসনে শয়ান।

পদ্মভোট কমিশনের কিসসা

বিহারে বিশেষ নিবিড় সন্ধান চালিয়ে জ্যান্ত ভোটারদের মৃত বানিয়ে ছেড়েছে, মৃতদের নাম তুলে দিয়েছে গাদা গাদা। কীরকম ইস্পেশাল সন্ধান কম্ম বল? – বাপ রে, তুই তো দেখছি, রাহুল গান্ধী আর দীপঙ্কর ভটচাজ্যির ডায়লগ সব মুখস্থ করে নিয়েছিস। তার পর কী শুনলি? সেই সব কথা শুনতে হলে চটাদার সঙ্গে এই কথাবার্তা শুনতেই হবে।

প্রাতিষ্ঠানিক ‘স্বাধিকার’: ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও মূল্যবোধ

আচার্য ত্রিগুণা সেন স্মারক বক্তৃতায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান হীরেন মুখার্জি এক জায়গায় বলছেন,“….নিজের বিশ্বাস, নিজের মতবাদ থেকে কখনো তাঁকে বিচ্যুত হতে দেখা যায়নি।এ লোকটি তো অসম্ভব লোক।” এরকম অসম্ভব মানুষেরাই পারে অতি মূল্যবান ‘না’ শব্দটি উচ্চারণ করতে। সেটা একটা চর্চার বিষয়।

“রক্তপাতহীন” বিপ্লব

ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ ষষ্ঠ অধ্যায়- “রক্তপাতহীন” বিপ্লব।

আরও পুরানো লেখাগুলি

অন্দরে স্বদেশের গান

বাংলা ভাষা ও বাঙালিয়ানা আজকে আক্রান্ত হচ্ছে নানাভাবে; তার প্রতিরোধ গড়ে তোলার নানা উপায়ের মধ্যে একটা উপায় অবশ্যই বাংলা, বাঙালিয়ানা এবং বাংলা ভাষার গভীরতর চর্চা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষায়, "বাঙলাকে বুদ্ধিপূর্বক জানা"। অথচ আমাদের নগরকেন্দ্রিক যে ভাবনা চিন্তার বা বিদ্যা চর্চার ধারা সেখানে বাংলার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সংস্কৃতির কথা উঠে আসে না সেভাবে। কৃষি নির্ভর যে গ্রামীণ সংস্কৃতি, বিশেষত গোটা বাংলার যে নারী সংস্কৃতি, তাঁদের যে নিজস্ব সৃজন তা এতদিন পর্যন্ত খুব বেশি আলোচিত হয়নি। অথচ কী অসাধারণ মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্ববীক্ষা তার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় । আজ, 'পানি' শব্দ নিয়ে তর্কের কোন প্রয়োজনই হতো না কেননা উভয় বাংলার নানা সম্প্রদায়ের মায়েরা বৃষ্টি নামানোর গানে এ শব্দ ব্যবহার করেছেন যুগে যুগে-- "ওলো মেঘারানি, শাক ধুই ধুই ফেলা পানি"। 'পানি' শব্দের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা লাগানোর চেষ্টা, আমাদের মূর্খতা, অজ্ঞতার ফল।

জন্মহীন

বাবা যেদিন ফোন করে জানালো অপার বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা, সেইদিন থেকে অপার জামাইবাবুর মারাত্মক মন খারপ। শালীর মালিকানা বদল হয়ে যাবে; তার থেকেও বড় কথা শ্বশুরবাড়ির যত্ন আত্তি সব এবার থেকে পাবে নতুন জামাই।

আখ্যান

জন্মহীন

বাবা যেদিন ফোন করে জানালো অপার বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা, সেইদিন থেকে অপার জামাইবাবুর মারাত্মক মন খারপ। শালীর মালিকানা বদল হয়ে যাবে; তার থেকেও বড় কথা শ্বশুরবাড়ির যত্ন আত্তি সব এবার থেকে পাবে নতুন জামাই।

অন্দরে স্বদেশের গান

বাংলা ভাষা ও বাঙালিয়ানা আজকে আক্রান্ত হচ্ছে নানাভাবে; তার প্রতিরোধ গড়ে তোলার নানা উপায়ের মধ্যে একটা উপায় অবশ্যই বাংলা, বাঙালিয়ানা এবং বাংলা ভাষার গভীরতর চর্চা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষায়, "বাঙলাকে বুদ্ধিপূর্বক জানা"। অথচ আমাদের নগরকেন্দ্রিক যে ভাবনা চিন্তার বা বিদ্যা চর্চার ধারা সেখানে বাংলার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সংস্কৃতির কথা উঠে আসে না সেভাবে। কৃষি নির্ভর যে গ্রামীণ সংস্কৃতি, বিশেষত গোটা বাংলার যে নারী সংস্কৃতি, তাঁদের যে নিজস্ব সৃজন তা এতদিন পর্যন্ত খুব বেশি আলোচিত হয়নি। অথচ কী অসাধারণ মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্ববীক্ষা তার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় । আজ, 'পানি' শব্দ নিয়ে তর্কের কোন প্রয়োজনই হতো না কেননা উভয় বাংলার নানা সম্প্রদায়ের মায়েরা বৃষ্টি নামানোর গানে এ শব্দ ব্যবহার করেছেন যুগে যুগে-- "ওলো মেঘারানি, শাক ধুই ধুই ফেলা পানি"। 'পানি' শব্দের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা লাগানোর চেষ্টা, আমাদের মূর্খতা, অজ্ঞতার ফল।

আসল পুরস্কার, জনগণের ঘৃণা

বাংলা ভাষায় পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, ফরাসী কিম্বা ইংরেজি প্রভাবের বিরুদ্ধে কিন্তু এঁদের বিপুল বিরোধ ছিলো না। ছিল সেই বাংলার বিরুদ্ধে যাতে তথাকথিত মুসলমানী মিশেল আছে। অর্থাৎ একথা বলা চলে যে আসলে মুসলমানী বাংলা ও হিন্দু বাংলা তৈরীর কাজটাতে এঁরা অগ্রপথিক। তারপরে নানা ঘাট দিয়ে নানা জল বয়েছে। এই বাংলায় আজও বাংলা সরকারি কাজের মাধ্যম হতে পারেনি পরের পর শাসকদের অনিচ্ছায় এবং ব্যর্থতায়।

ন্যাশনাল সোশ্যালিজম

ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ পঞ্চম অধ্যায়- ন্যাশনাল সোশ্যালিজম।

ভিন রাজ্যে আক্রান্ত বাঙালি নাকি বাঙালি মুসলমান শ্রমিক ?

খেয়াল করার বিষয়, যে সকল বাঙালি মুসলিম পশ্চিমবঙ্গ থেকে গিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে, তাদের নিশানা করা হচ্ছে না। বিজেপির উদ্দেশ্য বাংলাদেশী মুসলমান অনুপ্রবেশ বিষয়টাকে শক্ত জমিতে দাঁড় করানো, এই নিয়ে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করা। সেজন্য আন্তঃরাজ্য শ্রম-পরিযান সাপেক্ষে বহিরাগত ও অসংগঠিত মুসলিম শ্রমিকরা তাদের সফ্‌ট টার্গেট। সেই জায়গায় তার বিরোধিতায় ‘বাঙালি মুসলমান’ থেকে ‘মুসলমান’ উহ্য থেকে গেলে সমস্যাটি ভিন্ন মাত্রা পেয়ে যায়— তা জাতিগত সঙ্কটে প্রতিস্থাপিত হয়ে যায়, যার সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা শূন্য।

রেট চার্ট অথবা নিছক ভূতের গল্প

[এক] "স্যার, রেট চার্টটা একটু দেখাবেন?" চমকে উঠলেন এমএলএ ফাল্গুনী চ্যাটার্জী। তাঁর টেবিলের সামনে ঝুঁকে আছে একটা লোক। পরনে একটা মলিন ফতুয়া আর ধুতি। কালোকুলো চেহারা, উস্কোখুস্কো চুল। প্রায় গলবস্ত্র হয়ে লোকটা বলল, "বলছি স্যার, রেট চার্টটা একটু দেখতে পারি?"