মুসলমান, অনুপ্রবেশ, সন্ত্রাসবাদ – তিনটি প্রসঙ্গকে পরস্পরের পরিপূরক হিসাবে দেশবাসীর কাছে উপস্থিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বিজেপি ময়দানে নেমেছে। ধর্মীয় বিদ্বেষের নিক্তিতে মুসলমান আর জাতি-বিদ্বেষের নিক্তিতে বাঙালি -- দুইকে মিলিয়ে-মিশিয়ে বিদ্বেষ-বিভাজনের এক ককটেল পলিটিক্স নামিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। এতে ম্যাজিক আছে; ‘হিন্দু খতরেমে হ্যায়’ বলে বাঙালি মুসলিমদের তাক করার মধ্য দিয়ে সূক্ষ্মভাবে জাতি বিদ্বেষকে লালন-পালন করা যায়। হিন্দুত্ববাদীরা সেটাই করছে। এর ভবিষ্যৎ হবে সংঘাতময়।
ঘটনাক্রম কমবেশি এরকম: পাড়ার ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে এল লোকটা। শনিবারের দুপুর গড়িয়ে বিকেল, ওর পিঠে নরম রোদ। সবুজ রঙের একটা বেড়ার সামনে এসে ও দাঁড়াল। ভাবল: ওহ না, মোটেই না, কতই বা ওর বয়স! সাত, বড়জোর আট, ওহ না, আমি তা করতে চাই না।
স্মার্টফোন কীভাবে কিশোর-কিশোরীদের জীবনকে প্রভাবিত করছে? এই ডিজিটাল যুগে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক সুস্থতার ওপর এর কী প্রভাব? আর কীভাবে আমরা এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, যাতে এটি তাদের ক্ষতির কারণ না হয়?
সংবিধান মতে খনিজ পদার্থ আর জলের অধিকার নিয়ে কথা বলার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তার মানে ছত্তিশগড় সরকার একদিকে স্থানীয় সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে দায়বদ্ধ, অন্যদিকে রাজ্যে তথাকথিত ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ’-এর ব্যাপারেও দায়বদ্ধ। কেবল মানুষ ও প্রকৃতিকে ছাপিয়ে দ্বিতীয়টির উপরেই কেন জানি না তাদের অতি উৎসাহ – তা সে যে রঙের সরকারি হোক না কেন।
ছ বছর আগে (২০১৯ সালে) পুলওয়ামার ঘটনায় দেশপ্রেম দেখাতে গিয়ে চটাদার কাছে যে ঝাড় খেয়েছিলাম সেটা ভুলিনি। এবার স্বর্গলোকের সুরোধামে হাল্লা সন্ত্রাসীদের হাতে ২২ এপ্রিল পর্যটক গণনিধনের ঘটনার ভয়াবহতা নৃশংসতা এবং ইসলামি জঙ্গিবাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তারুকাকার দোকানের সামনের জটলায় যতই সার্জারি মাইক্রোসার্জারি হতে থাকুক না কেন, আমি আর সহজে মুখ খুলিনি।
সফেদ বা সাদা রং এর কুয়াশা । একটা মৃদু ঘন কুয়াশা। তার ভেতর থেকেই ওরা বলছিল একটা নেকড়ে দুম করে বেরিয়ে আসতে পারে। যে কোনও মুহূর্তে বেরিয়ে আসতে পারে বিউটিফুল কুয়াশার ভেতর লুকিয়ে থাকা এক পিস সলিড হিংস্র নেকড়ে।
বিজেপি আরএসএস বিশ্বাস করে এই নীতিতে: hate unites, hate divides"; অর্থাৎ যত ঘৃণা ছড়াবে, তত এক বৃহৎ সম্প্রদায়কে খুশি করতে পারবে, সমধিক ভাবে অল্প কয়েকজনকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে। Hate propaganda is not legitimate speech. It is a form of harassment and discrimination...Free speech cannot degraded to the extent that it becomes a license to harm.
হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ৪০০ একর জঙ্গলকে উড়িয়ে দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের সবুজের জন্য লড়াই। প্রকৃতির অপার ছন্দে গড়ে ওঠা একমাত্র ‘ন্যাচারাল কার্বন-সিঙ্ক’ উদ্ভিদকূল অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডকে নিজের শরীরে শুষে নিয়ে পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করে রাখে। সেইসব প্রাকৃতিক জঙ্গলকে উচ্ছেদের এক করুণ গল্প শোনাবো পাঠকদের। শোনাবো সবুজ বাঁচানোর অভিযানের কথাও।
ভাবতে অবাক লাগে, বিরোধীরা মোদীর ত্রাতা হতে উঠে পড়ে লাগলেন! আসলে মোদী-শাহর বিজেপি বহুদিন ধরে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, তারাই একমাত্র দেশপ্রেমী, তারাই প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দল। এমনকী, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা জাতীয় কংগ্রেসের ক্রেডেনসিয়ালকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আর তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো দলকে তো বিজেপি মূলত সংখ্যালঘু মুসলিম তোষণের অভিযোগে বার বার কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। তাহলে তাদেরকে বরযাত্রী হিসেবে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্য কী?
ভোরের বাসে ওরা কোলকাতা ছাড়বে। কিছু দরকারি ওষুধ আনতে বেরিয়ে গেছে তানভির। যাওয়ার আগে অবশ্য বলেছিল, চল্ মুন্নি, ঘুরে আসি। আবার কবে আসি কে জানে।
ভোরের বাসে ওরা কোলকাতা ছাড়বে। কিছু দরকারি ওষুধ আনতে বেরিয়ে গেছে তানভির। যাওয়ার আগে অবশ্য বলেছিল, চল্ মুন্নি, ঘুরে আসি। আবার কবে আসি কে জানে।
ভাবতে অবাক লাগে, বিরোধীরা মোদীর ত্রাতা হতে উঠে পড়ে লাগলেন! আসলে মোদী-শাহর বিজেপি বহুদিন ধরে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, তারাই একমাত্র দেশপ্রেমী, তারাই প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দল। এমনকী, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা জাতীয় কংগ্রেসের ক্রেডেনসিয়ালকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আর তৃণমূল, ডিএমকে-র মতো দলকে তো বিজেপি মূলত সংখ্যালঘু মুসলিম তোষণের অভিযোগে বার বার কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। তাহলে তাদেরকে বরযাত্রী হিসেবে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্য কী?
যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা গণরাজনীতি দিয়ে করতে হবে। কারণ অস্ত্র শুধু অস্ত্র আর হত্যাকে ডেকে আনে। যে দোষে আমি অন্যকে দায়ী করব, তা আমি নিজে করতে পারি না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যেটুকু আছে তাকে শক্তিশালী করতে হবে লড়ে, পথের লড়াই থেকে আইনী লড়াই নানাকিছু দিয়ে। বাড়াতে হবে তাকে। আবার শাসকদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে হবে। তারা মানবাধিকারকে যতই সঙ্কুচিত করার চেষ্টা করুক না কেন, একই পদ্ধতিতে তাদের সঙ্গেও লড়তে হবে।
এই সদ্য যুদ্ধের আগুনের পাশে বসে যাঁর জন্মদিন উদযাপিত হল তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 'বছরে তিরিশ বার শ্যামা শাপমোচনের অশ্রুমোচনে' সীমাবদ্ধ না থেকে আমরা যদি আর একটু তলিয়ে তাঁকে জানতে চেষ্টা করতাম তবে সেই অমোঘ সত্যের মুখোমুখি হতে হয় যুদ্ধের আবহে প্রতিনিয়ত যাকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে।
ভারত পাকিস্তানের আগের যুদ্ধে কিছু গুজব ছড়িয়েছিল মুখে মুখে। কারণ গুজব ছড়ানোর মাধ্যম গুলো এত সক্রিয় ছিল না সেযুগে। অনেক বেশি ম্যানুয়াল। মুর্শিদাবাদে কোন পাকিস্তানী গুপ্তচর কে ধরা হয়েছে। কেউ বলবে, চন্দননগর উর্দি বাজারে, আবার কেউ বলবে হাওড়ার ঘুসুরিতে। এমনও শুনেছি, কে নাকি নৌকোয় উঠে গঙ্গা থেকে হাওড়া ব্রিজের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছিল। ভাবটা যেন হাওড়ার ব্রিজের ছবিটা দুষ্প্রাপ্য এবং গোপন। এবারের যুদ্ধতে এই গুজব ছড়িয়েছে মূলত গণমাধ্যমগুলো। সেই নিয়েও গণমাধ্যমগুলো লজ্জা পেয়েছে বলে জানা নেই। সমস্ত বিদেশী গণমাধ্যমও এখন এই নিয়ে কথা বলছে, তাতেও কি লজ্জা হবে এঁদের?
— বউমা আজকেও কচুর ঘ্যাট! রান্নাঘর থেকে ঝাঁঝালো কণ্ঠ তীর বেগে ধেয়ে আসে, হ্যাঁ, আপনার তো মাংস পোলাও চায়। তা ছেলেকে বলবেন বাজার থেকে মাছ মাংস নিয়ে আসতে।