---- দাও, কাগজের প্রথম পাতাটা দাও তো। শুভমনের সেঞ্চুরির খবরটা একবার দেখি। স্বপ্নময়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল শুভমন।
চুপিসাড়ে সম্পূর্ণ এক নতুন উপনিবেশবাদ আসতে চলেছে। আসবে তা অবশ্যই। আর সেই সুযোগে দখল নেওয়া হবে মস্তিষ্কের। মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করার দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের অন্তিম সীমানায় পৌঁছে যাবে এই প্রকল্প। সিলিকন ভ্যালির এই প্রকল্পের মূল কাজ হবে মানুষের মনে উপনিবেশ গেড়ে ভাবনার নিয়ন্ত্রণকে মুঠোয় নেওয়া।
সামনে লোকসভা নির্বাচন, মানুষ ভোট দিতে যাবে। বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন, দার্জিলিং। সেখানকার গতি প্রকৃতি কেমন? কে কোন অবস্থানে আছেন।
ভোট ব্যবস্থা এবং ভোটের মাধ্যমে শাসক বদলের নেপথ্যে যে সব রহস্যময় ক্ষমতার সমীকরণ প্রধান ভূমিকা নেয়, সেসব কখনোই মূল ধারার সংবাদপত্র জনসমক্ষে আনতে চায় না। অতিসরলীকৃত কিছু ন্যারেটিভ এর মধ্যে জনমানসকে তারা বেঁধে রাখতে চায়। এই আখ্যানের বাইরে গিয়ে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এবং পট পরিবর্তনের বাস্তবতাকে একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।
কেন নির্বাচনী জনসভায় মানুষের খাওয়া, পরা নিয়ে কথা বলছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী? উত্তর হল বিভাজনের রাজনীতিকে তীব্র করে তুলে, সহনাগরিক মুসলমান সমাজের মধ্যে একটা ভয়ের ভূগোলকে প্রলম্বিত করা। এভাবেই রাজনৈতিক হিন্দুরাষ্ট্রের দিকে হিন্দুত্ববাদী শিবিরের যে ভারতকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্রকেই সমাজের আরো গভীরে ছড়িয়ে দেওয়া টাই হিন্দুত্ববাদীদের একমাত্র টার্গেট।
এপার বাংলার মানুষ যেমন নববর্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন ঠিক তেমনি ওপার বাংলার বাঙালিরাও মেতে ওঠেন বর্ষবরণের উৎসবে। নববর্ষের দিন রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান হয়। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানায়, যা ঢাকার রাস্তায় বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন সব ধর্মের মানুষ। এখানেই উৎসব হারিয়ে দেয় ধর্মকে।
আর এস এসের ছুটির তালিকায় বড়দিনের, ঈদের বা মহরমের ছুটি থাকার কথা নয়, তাদের হিন্দু রাষ্ট্রে তো এটাই কাম্য। কিন্তু আমরা কজন জানি যে সেই কাঙ্খিত হিন্দু রাষ্ট্রে দোল উৎসব, দুর্গাপূজার সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী কিংবা লক্ষ্মীপুজোর ছুটিও নেই, কেননা সেগুলো আর এস এসের কল্পিত হিন্দু রাষ্ট্রে হিন্দুদের উৎসব নয়। কী বোঝা গেল বাঙালি? ওরা না হয় মুসলমান, আপনারা তো বাঙালি! আর এস এসের রাজনৈতিক মুখ বিজেপি ক্ষমতায় আরেকবার এলে বাঙালির আরও কী কী উৎসব চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তার ইঙ্গিত রয়েছে এই বইয়ের বিভিন্ন ছত্রে, বিশেষ করে আর এস এসের ছুটির তালিকায়।
বাংলায়, ইন্ডিয়া জোটের নির্বাচনী ঐক্য হয়নি। ঠিক যেমন হয়নি কেরালাতে। তাহলে ইন্ডিয়া জোটের কোনও শরিক, যদি বাংলায় বা কেরালায়, এই শরিকদলের কোনও একটি দলকে ভোট দিতে না বলে, জনগণের বিচারবুদ্ধির ওপর ছেড়ে দিয়ে বলে বিজেপিকে হারান, কাকে হারানো উচিৎ, তা যদি জনগণের প্রজ্ঞার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভুল কোথায়?
ইতিহাসবিদরা প্রায় সকলেই বলেছেন যে পলাশীর ষড়যন্ত্রের পেছনে যে যে কারণই থাকুক না কেন, বিভিন্ন স্বার্থের দ্বন্দ্ব যে পরিমাণেই ক্রিয়াশীল থাকুক না কেন, হিন্দু মুসলিম প্রশ্ন একেবারেই কোনও বিবেচনাধীন বিষয় ছিল না। পলাশীর ষড়যন্ত্রকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণে হিন্দু মুসলিম বিরোধ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া একদিকে যেমন ইতিহাসবিকৃতি, তেমনি অন্যদিকে বিজেপির ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ও সমাজকে বিভাজনের ধারাবাহিক অপচেষ্টার আর এক চরম নিন্দনীয় প্রয়াস।
ভোট গ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার যত তীব্র হচ্ছে, একটাই প্রশ্ন সমগ্র দেশজুড়ে, কর্তৃত্ববাদী দক্ষিণপন্থী শক্তিকে কি পরাস্ত করতে পারবে অসংলগ্নতা এবং খণ্ডিত হওয়ার ঝুঁকি বহনকারি বিরোধীজোট ?
ভোট গ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার যত তীব্র হচ্ছে, একটাই প্রশ্ন সমগ্র দেশজুড়ে, কর্তৃত্ববাদী দক্ষিণপন্থী শক্তিকে কি পরাস্ত করতে পারবে অসংলগ্নতা এবং খণ্ডিত হওয়ার ঝুঁকি বহনকারি বিরোধীজোট ?
ইতিহাসবিদরা প্রায় সকলেই বলেছেন যে পলাশীর ষড়যন্ত্রের পেছনে যে যে কারণই থাকুক না কেন, বিভিন্ন স্বার্থের দ্বন্দ্ব যে পরিমাণেই ক্রিয়াশীল থাকুক না কেন, হিন্দু মুসলিম প্রশ্ন একেবারেই কোনও বিবেচনাধীন বিষয় ছিল না। পলাশীর ষড়যন্ত্রকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণে হিন্দু মুসলিম বিরোধ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া একদিকে যেমন ইতিহাসবিকৃতি, তেমনি অন্যদিকে বিজেপির ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ও সমাজকে বিভাজনের ধারাবাহিক অপচেষ্টার আর এক চরম নিন্দনীয় প্রয়াস।
এক বেল বাজাতে গিয়েও হাতটা সরিয়ে নেয় কাবেরী। “ছক্কা আ আ আ “ উল্লসিত চিৎকার অর্কর, “আমার সব ঘুঁটি বেরিয়ে গেল,তুমি এখন ঘরে বসে বসে পচে মর’।” “বাবু, তুমি কিন্তু চোট্টামি করছ। তখন পষ্ট দেখেছি, তোমার দুই পড়েছে। তুমি তিন বলে চালিয়ে দিলে আর আমার পাকা ঘুঁটিটা কেটে দিলে।“ প্রাণপনে প্রতিবাদ করে বকুল। বকুল, মানে অর্কর ‘আটাপিসি’।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকে রামদেবের ক্ষমতার সর্বোচ্চ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের শুরু। এ সম্পর্কের গভীরতা এবং দৃঢ়তা অনুধাবন করতে পারলে আমাদের মতো প্রায় সমস্ত সাধারণ মানুষের চোখ কপালে ওঠা অস্বাভাবিক কোন ঘটনা হবেনা। ২০১৬ সালের পরে হরিয়ানা সরকার আরাবল্লি পর্বতমালার যে এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত অরণ্যের মধ্যে পড়েনা সে অংশ নিরঙ্কুশভাবে তুলে দিয়েছে “বাবা”র হাতে। কিন্তু এবার, বগা ফান্দে পড়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে, ধমক খাওয়ার ফল কী হয়, তার দিকে এবার সারা দেশ তাকিয়ে থাকবে।
এই বাংলায় বহু অবাঙালি মানুষের বাস, তাঁদের অনেকেরই পেশা অন্যরকম, তাঁদের জীবনযাত্রা কেমন, আমরা কোনোদিন কি জানতে চেয়েছি? এই নির্বাচনের আবহাওয়ায়, বহিরাগত, বাংলা বিরোধী ইত্যাদি অনেক শব্দ ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভিন রাজ্যের গাঁ গঞ্জের শ্রমজীবী হতদরিদ্র মানুষের 'নিজের ঠাঁই' হয়ে থাকবে তো আমাদের বাংলা? বাংলা নিশ্চিত তাঁর আঁচল দিয়ে এই মানুষদের আড়াল করবে।
স্পাই চলচ্চিত্রে তেমন আমরা একটি বাক্য ঘুরে ফিরে শুনতে থাকি, দ্য নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড। ভারতের সর্বকালের সর্ববৃহৎ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এখন ঘুরেফিরে সেই নামই আসছে। বন্ড, ইলেক্টোরাল বন্ড। তার জন্য সরকারের কেলেঙ্কারি থাকতে এদেশের ঐতিহ্য বাহী ঐতিহাসিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে রীতিমতো নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে। বিষয়টা এখন সকলের কাছেই স্পষ্ট। দুর্নীতি করতে আর দূর্নীতি থেকে বাঁচতে ওষুধ একটাই, দেহি ইলেক্টোরাল বন্ড মুদারম।