এই চরে এত রাতে “ মারা গেল! মারা গেল!”, বলে কে চিল্লায়? দু’বার চিল্লেই চিল্লানোটা হাওয়া হয়ে যায়। এখন চর আবার চুপ। মকদুম মৌলভী খানিক তাজ্জব বনে যায়। এখানে কারো কিছু হলে “ আগগে মা’গে মইরা গ্যাল্লো রে!” বলেই বিলাপের রীতি। ‘বিলাপ’ শব্দটাও এখানে মকদুম ছাড়া কেউ জানে বলে মকদুমের মনে হয় না। তারা সোজা ভাবে বলেঃ “কান্না কইরছে”।
বাঙালি কমিউনিষ্টরা লেনিনের মতই যদি বলতে পারতেন যে, “আমরা গর্ববোধ করি বাঙালিদের মধ্যে থেকেই এসেছেন চৈতন্য, লালনের মত চিন্তাবিদরা, এসেছেন বহু বৌদ্ধ আচার্যরা, এসেছেন বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথের মত ব্যক্তিরা যাঁরা যাঁরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে সকলেই ছিলেন বিপ্লবী”। বাঙালিদের মধ্য থেকেই এসেছেন অসংখ্য বিজ্ঞানীরা যাঁরা হিন্দু সমাজের ফতোয়া অগ্রাহ্য করে বিজ্ঞান চর্চা করেছেন, সমাজ-সংস্কার করেছেন। সমাজকে এগোতে সাহায্য করেছেন তাহলে কেমন হতো? বিষয়টা ভাবার এখনই তো সময়!
মিলি বসে থাকবে। অনেকক্ষণ। এভাবেই। সন্ধ্যে হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। মিলির শীত করছে হাল্কা। বাবা বিছানায় ছোট্ট কম্বলটা রেখে দিয়েছে? মিলি এখন চুপচাপ কম্বলের মধ্যে সেঁধিয়ে যাবে। ডোডো এসে কম্বলটা সরিয়ে দেবে। হাততালি দিয়ে হাসবে।
বাড়ি থেকে আমার স্কুল খুব বেশি দূরে নয়, সাইকেল চড়ে মাত্র মিনিট দশেকের পথ। অথচ আজ স্কুল যাব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দশ মিনিট নয়, আরও আরও অনেক মিনিট পেরিয়ে আমি যে কোথায় চলেছি তা আমার নিজেরই অজানা। আমি দেখছি একটা প্রশ্বস্ত পাকা সড়ক।
সুপারি পেয়েছিলাম। পেমেন্ট হয়ে গেছিল। গলিটা আলো আঁধারি। মাঘরীবের নমাজ সেরে ফিরছিল মালটা। আমি তাক করে ছিলাম অনেকক্ষণ। ফেজটুপি খুলে ফতুয়ার পকেটে ভরে গলিতে খানিকটা এগোতেই বড় বড় পা ফেলে ওর পিছনে পৌঁছে যাই। শর্ট রেঞ্জের পিস্তলটা আজ অবধি কোনোদিনও ফেল করেনি। তিনবার চালিয়েছিলাম। একটা খেয়েই পড়ে গেছিল, কিন্তু শিওর হওয়া দরকার ছিল। তাই বাকি দুটোও পরপর।
এত দিন অবধি কেতাব আলি শরীরে তেমন কোনও সমস্যা টের পায়নি। তে-রাস্তার ধারে তার মুদি দোকান ভালো চলেছে। দুই মেয়ের ভিতর ফরজানার বিয়ে নিয়ে কিছু দিন উদ্বেগ ছিল। ফরজানা গ্রাজুয়েট না হয়ে বিয়ে করবে না। শেষ পর্যন্ত সে ঝামেলাও মিটে গেছে।
নাম বাদ পড়ার পর থেকে রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে । কেমন এক হাল্কা লাগছে । পাখির মতো উড়তে উড়তে চলছিলাম আর নিজেকে দেখতে থাকি , দেখি হাঁটছি জঙ্গলের ধার দিয়ে ।এমন এক জঙ্গল যেখানে বাড়ি আছে।
হাসপাতাল থেকে ফেরামাত্র মিনি চোখের ইশারায় আমাকে ডাকে। অভিজিৎকে ও ভয় পায়, তাই এড়িয়ে চলে। আমি ঘরে ঢুকতেই তোশকের নীচ থেকে একটা ড্রয়িং খাতা বার করে, আমার হাতে দেয়। পাতা উলটাতে থাকি, এপাতা থেকে ওপাতা, আবার প্রথম পাতা…। মহাবিশ্বের মহাকাশে শুনতে পাই অদ্ভুত সব সুর আর অসুরের খেলা। মধুকৈটভের লড়াই।
যে সংবিধান একসময়ে সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছিল, সেই সংবিধানের অপপ্রয়োগ করে সেই মানুষদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে, তারপর সংবিধান রক্ষা নিয়ে বড় বড় কথা বললে, কি সংবিধান দিবসের মর্যাদা থাকে? যেহেতু ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্যতম পরিচায়ক, ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা, তাই এখানেও ডাঃ বি আর আম্বেদকরের কথাটিই আবার সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।
বাংলায় নির্বাচন কমিশন ২০০২-এর ভোটার তালিকাকে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এস আই আর-এর ভিত্তিরূপে ধরেছিল। যদিও এখন কাজ চালাচ্ছে ২০২৫-এর তালিকা দিয়ে। কমিশনের নানা কথা ও আচরণের মধ্যে কোনো সঙ্গতি নেই। বাংলায় যেনতেন করে বিপুল সংখ্যক বিজেপি বিরোধী ভোটার বাদ দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। এরই মধ্যে একটি সত্য জ্বলজ্বল করে বেরিয়ে এসেছে যে সোনালি খাতুনদের পরীক্ষা দিয়েই যেতে হবে, কারণ ঘটনাচক্রে তাঁদের জন্ম হয়েছে মুসলমান পরিবারে।
বাংলায় নির্বাচন কমিশন ২০০২-এর ভোটার তালিকাকে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এস আই আর-এর ভিত্তিরূপে ধরেছিল। যদিও এখন কাজ চালাচ্ছে ২০২৫-এর তালিকা দিয়ে। কমিশনের নানা কথা ও আচরণের মধ্যে কোনো সঙ্গতি নেই। বাংলায় যেনতেন করে বিপুল সংখ্যক বিজেপি বিরোধী ভোটার বাদ দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। এরই মধ্যে একটি সত্য জ্বলজ্বল করে বেরিয়ে এসেছে যে সোনালি খাতুনদের পরীক্ষা দিয়েই যেতে হবে, কারণ ঘটনাচক্রে তাঁদের জন্ম হয়েছে মুসলমান পরিবারে।
যে সংবিধান একসময়ে সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছিল, সেই সংবিধানের অপপ্রয়োগ করে সেই মানুষদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে, তারপর সংবিধান রক্ষা নিয়ে বড় বড় কথা বললে, কি সংবিধান দিবসের মর্যাদা থাকে? যেহেতু ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্যতম পরিচায়ক, ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা, তাই এখানেও ডাঃ বি আর আম্বেদকরের কথাটিই আবার সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।
আই সি ডি এস-এর মাধ্যমে শিশুদের জন্য বরাদ্দ অর্থের অপব্যবহার, নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ এবং ‘লিকেজ ’-এর কারণে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পুষ্টি পৌঁছায় না। এনএফএসএ-এর অধীনে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য কালোবাজারে বিক্রি বা ওজনে কম দেওয়ার মতো ঘটনা খাদ্য সুরক্ষার চেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই দুর্নীতি স্বাস্থ্য এবং খাদ্য সুরক্ষার ব্যবস্থাকে এমনভাবে দুর্বল করে যে, অপুষ্টির চক্র ভাঙা অসম্ভব হয়ে ওঠে, আর ভারত ক্ষুধা সূচকে নামতেই থাকে।
রণেনবাবুর ঠিক আধা-আধি যখন বয়স আমার, সেবারও বিলেত থেকে রাবার জিতে ফিরেছিল ভারত। রাহুল দ্রাবিড় যে ক্যাপটেন সেবার মনে ছিল বিলক্ষণ। খালি ভেন্যুটা মাথায় না আসায় খুলেছিলাম গুগল। স্ক্রল করে করে দেখছিলাম সেই নটিংহ্যাম টেস্টের স্কোরকার্ড। তখনই চোখে পড়ল সালটা।
সোনম ওয়াংচুক পরিবেশ আন্দোলনে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত এক নাম। যে আন্দোলন তিনি গড়ে তুলেছেন লাদাখে, তা অন্য অঞ্চলের পরিবেশ আন্দোলনকেও শক্তিশালী করবে, হিমালয় ছাড়িয়ে সে বার্তা পৌঁচচ্ছে দেশে-দেশে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অবদমিত গণতান্ত্রিক অধিকারকে মুক্ত করার দাবী তাঁরা তুলেছেন। কর্পোরেট স্বার্থে নয়, লাদাখের মানুষের স্বার্থে পরিবেশ উপযোগী উন্নয়নের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই তাঁরা গণতান্ত্রিক শাসনের অধিকার চাইছেন।
রাষ্ট্র কখনও নিরস্ত্র বিপ্লবীদের ছেড়েছে? নিরস্ত্র হিডমা সহ আরও অনেককে আদালতে তোলবার সাহস দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছে। হত্যা করে যখন তাঁর দেহের দখল নিয়েছে তখন তাঁর পাশে জীবনসঙ্গিনী, রাজ্জাকা শুয়ে। অনেক তথাকথিত সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী আবার তা নিয়ে আনন্দ করলেন। রাষ্ট্র হয়তো আজকে দৃশ্যত সাময়িকভাবে জিতে গেল, কিন্তু হিডমাদের মৃত্যু হয়না।