বিহারে বিশেষ নিবিড় সন্ধান চালিয়ে জ্যান্ত ভোটারদের মৃত বানিয়ে ছেড়েছে, মৃতদের নাম তুলে দিয়েছে গাদা গাদা। কীরকম ইস্পেশাল সন্ধান কম্ম বল? – বাপ রে, তুই তো দেখছি, রাহুল গান্ধী আর দীপঙ্কর ভটচাজ্যির ডায়লগ সব মুখস্থ করে নিয়েছিস। তার পর কী শুনলি? সেই সব কথা শুনতে হলে চটাদার সঙ্গে এই কথাবার্তা শুনতেই হবে।
আচার্য ত্রিগুণা সেন স্মারক বক্তৃতায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান হীরেন মুখার্জি এক জায়গায় বলছেন,“….নিজের বিশ্বাস, নিজের মতবাদ থেকে কখনো তাঁকে বিচ্যুত হতে দেখা যায়নি।এ লোকটি তো অসম্ভব লোক।” এরকম অসম্ভব মানুষেরাই পারে অতি মূল্যবান ‘না’ শব্দটি উচ্চারণ করতে। সেটা একটা চর্চার বিষয়।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ ষষ্ঠ অধ্যায়- “রক্তপাতহীন” বিপ্লব।
এই সরকার গত ১১ বছরে আসলে প্রতিটি নাগরিককে একলা করে দিয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে তাঁর নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত রেখেছে, যে তিনি অন্য কিছু নিয়ে ভাবতেই যাতে না পারেন তার ব্যবস্থা করেছে। কখনো আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সংযোগ, কখনো ফোনের বা রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযোগ করানোর নিদান দেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি নাগরিককে উদ্বেগে রেখেছে। ভোটার তালিকায় যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী চলছে তাতেও বহু মানুষ উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই সাম্প্রতিক রিজেন্ট পার্ক থানার আত্মহত্যার ঘটনা।
বাবা যেদিন ফোন করে জানালো অপার বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা, সেইদিন থেকে অপার জামাইবাবুর মারাত্মক মন খারপ। শালীর মালিকানা বদল হয়ে যাবে; তার থেকেও বড় কথা শ্বশুরবাড়ির যত্ন আত্তি সব এবার থেকে পাবে নতুন জামাই।
বাংলা ভাষা ও বাঙালিয়ানা আজকে আক্রান্ত হচ্ছে নানাভাবে; তার প্রতিরোধ গড়ে তোলার নানা উপায়ের মধ্যে একটা উপায় অবশ্যই বাংলা, বাঙালিয়ানা এবং বাংলা ভাষার গভীরতর চর্চা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষায়, "বাঙলাকে বুদ্ধিপূর্বক জানা"। অথচ আমাদের নগরকেন্দ্রিক যে ভাবনা চিন্তার বা বিদ্যা চর্চার ধারা সেখানে বাংলার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সংস্কৃতির কথা উঠে আসে না সেভাবে। কৃষি নির্ভর যে গ্রামীণ সংস্কৃতি, বিশেষত গোটা বাংলার যে নারী সংস্কৃতি, তাঁদের যে নিজস্ব সৃজন তা এতদিন পর্যন্ত খুব বেশি আলোচিত হয়নি। অথচ কী অসাধারণ মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্ববীক্ষা তার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় । আজ, 'পানি' শব্দ নিয়ে তর্কের কোন প্রয়োজনই হতো না কেননা উভয় বাংলার নানা সম্প্রদায়ের মায়েরা বৃষ্টি নামানোর গানে এ শব্দ ব্যবহার করেছেন যুগে যুগে-- "ওলো মেঘারানি, শাক ধুই ধুই ফেলা পানি"। 'পানি' শব্দের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা লাগানোর চেষ্টা, আমাদের মূর্খতা, অজ্ঞতার ফল।
বাংলা ভাষায় পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, ফরাসী কিম্বা ইংরেজি প্রভাবের বিরুদ্ধে কিন্তু এঁদের বিপুল বিরোধ ছিলো না। ছিল সেই বাংলার বিরুদ্ধে যাতে তথাকথিত মুসলমানী মিশেল আছে। অর্থাৎ একথা বলা চলে যে আসলে মুসলমানী বাংলা ও হিন্দু বাংলা তৈরীর কাজটাতে এঁরা অগ্রপথিক। তারপরে নানা ঘাট দিয়ে নানা জল বয়েছে। এই বাংলায় আজও বাংলা সরকারি কাজের মাধ্যম হতে পারেনি পরের পর শাসকদের অনিচ্ছায় এবং ব্যর্থতায়।
ফ্যাসিবাদ হল, “সমস্ত ধরণের বিমূর্ত, যুক্তিবাদী, অ-ধর্মীয়, এমনকি অস্বাভাবিক উদারতাবাদ ও যথেষ্ট মাত্রার বস্তুবাদী ফ্রি-ম্যাসন সৌভ্রাতৃত্ব ইত্যাদির সমস্ত ধরণ ও ব্যবস্থার” ঘোষিত জাতশত্রু। এখানে আমরা দেখি যে ছদ্মবেশ ছিন্ন করে আধ্যাত্মিকতাবাদ তার আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদ রিলিজিয়াস; তাই সে যুক্তিবাদকে বিপদ হিসেবে আর উদারতাবাদকে অনাসৃষ্টি বলে ঘোষণা করে। এই কথাগুলো লিখেছিলেন এম এন রায় ১৯৩৮ সালে। আজকের সময়ে ২০২৫ সালে ঐ লেখার অনুবাদ করলেন মলয় তেওয়ারি। আজ পঞ্চম অধ্যায়- ন্যাশনাল সোশ্যালিজম।
ধ্বংসস্তূপের উপর বিশ্বাস গড়ে উঠতে পারে না: হিমালয়কে ধ্বংস করছে গণপর্যটন : প্রসঙ্গ উত্তরকাশীর ভয়াবহ বিপর্যয়। মূল প্রবন্ধ লিখেছেন বিদ্যাভূষণ রাওয়াত যিনি নিজে একজন সমাজকর্মী এবং বর্তমানে হিমালয় ও ভারতের সমতল অঞ্চলে গঙ্গা সহ এর উপনদী গুলোর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল গত ৬ই আগস্ট, ২০২৫ ই নিউজরুম ওয়েব পত্রিকায়। সহমনের জন্য অনুবাদ করেছেন সন্তোষ সেন।
[এক] "স্যার, রেট চার্টটা একটু দেখাবেন?" চমকে উঠলেন এমএলএ ফাল্গুনী চ্যাটার্জী। তাঁর টেবিলের সামনে ঝুঁকে আছে একটা লোক। পরনে একটা মলিন ফতুয়া আর ধুতি। কালোকুলো চেহারা, উস্কোখুস্কো চুল। প্রায় গলবস্ত্র হয়ে লোকটা বলল, "বলছি স্যার, রেট চার্টটা একটু দেখতে পারি?"
[এক] "স্যার, রেট চার্টটা একটু দেখাবেন?" চমকে উঠলেন এমএলএ ফাল্গুনী চ্যাটার্জী। তাঁর টেবিলের সামনে ঝুঁকে আছে একটা লোক। পরনে একটা মলিন ফতুয়া আর ধুতি। কালোকুলো চেহারা, উস্কোখুস্কো চুল। প্রায় গলবস্ত্র হয়ে লোকটা বলল, "বলছি স্যার, রেট চার্টটা একটু দেখতে পারি?"
ধ্বংসস্তূপের উপর বিশ্বাস গড়ে উঠতে পারে না: হিমালয়কে ধ্বংস করছে গণপর্যটন : প্রসঙ্গ উত্তরকাশীর ভয়াবহ বিপর্যয়। মূল প্রবন্ধ লিখেছেন বিদ্যাভূষণ রাওয়াত যিনি নিজে একজন সমাজকর্মী এবং বর্তমানে হিমালয় ও ভারতের সমতল অঞ্চলে গঙ্গা সহ এর উপনদী গুলোর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল গত ৬ই আগস্ট, ২০২৫ ই নিউজরুম ওয়েব পত্রিকায়। সহমনের জন্য অনুবাদ করেছেন সন্তোষ সেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা বলছে―ধর্ষণ হল যৌন হিংসার এমন একটি রূপ– যা সম্মতির বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন, জোরজবরদস্তি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। ২০১২ সালের নির্ভয়া আন্দোলনের পর আইনে কিছু ইতিবাচক বদল দেখা গেছে। তবুও এখনো আমাদের চারপাশে ধর্ষণের ঘটনা ব্যাপক হারে ঘটছে।
শাক্ত কবি রামপ্রসাদ সেন একটি পদে লিখছেন – “দূরে জল, কাছে পানি, মাকে ডাকি তবু মেলে না মানি।” রামপ্রসাদ কিন্তু জল ও পানি দু’টো শব্দই ব্যবহার করছেন, এবং সেখানে কোনও বিভেদ নেই। তাহলে যাঁরা আজ বিভেদ করতে চাইছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য কী? আসলে ভাষার ভিতরেও সূক্ষ অপরায়ন ঘটাতে চাইছে বিজেপি-আরএসএস।
ধর্ষণ বা যৌন প্রতিহিংসা আজ কেবল আইনি সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক অসুখ এবং এর পেছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক, জৈবিক, সাংস্কৃতিক ও অবস্থানগত কারণ। নারীকে যে পুরুষ ধর্ষণ করে এর মধ্যে সবচেয়ে প্রধান হল, ধর্ষক তাঁর প্রথম জীবনে কীভাবে বেড়ে উঠেছিল, সেই ইতিহাস– যে সময় যৌনতা, বিশেষ করে নারীপ্রকৃতি সম্পর্কে তাঁর মধ্যে জন্ম হয়েছে একটি বিকৃত ধারণা।
কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী রাজ্যসভায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, কর্পোরেটদের কর ছাড়ের ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আনুমানিক ৯৯,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রবণতা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৮,১০৯ কোটি টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯৬,৮৯২ কোটি টাকা – বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এই ট্যাক্স ছাড় কি সাধারণ মানুষের গায়ে লাগছে না? যদি লাগে, তাহলে সমাধান কোথায়?