রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৪ বছর বয়সী মামদানিকে পাগল "কমিউনিস্ট" হিসাবে নিন্দা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং জনবহুল শহরগুলির মধ্যে একটির মেয়র পদে তাঁর এই জয়, ডেমোক্র্যাট এবং MAGA রিপাবলিকান দুপক্ষেরই রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এরই মধ্যে মামদানিকে ঠেকাতে একবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন রিপাবলিকানরা।
কোন কোন দিন সকালের নামাজ পড়তে ওঠা সাজিয়ার পক্ষে অসম্ভব হত। এইজন্য ও উচ্চ রক্তচাপের অজুহাত দিত। বারবার বলত যে হতচ্ছাড়া ট্যাবলেটগুলোর জন্য ওর মনে কোন শান্তি নেই।
যারা এই নথির গাড্ডায় পড়বে, তাদের একটি বড় অংশের, যার মধ্যে সিংহভাগ মহিলা, ধরাছোঁয়ার মধ্যে সেসব নথি নেই। এই বিষম পরিবেশে এর দায় ভোটারদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্বের কষ্টিপাথরে ভোটাধিকারের পবিত্রতা বিধানে নেমেছে। নথিপত্রের সমস্যা আদৌ ব্যক্তিগত ঘাটতির বিষয় নয়, সমস্যা কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক, যাতে বাস্তবিক ভুক্তভোগী ভোটারদের হাত নেই।
বন্দেমাতরম গানের একটি অংশ বর্জনের জন্য সেকালের কংগ্রেস নেতৃত্বকে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন ১৯৩৭ সালেই জাতীয় কংগ্রেস তাঁদের পক্ষ থেকে এই গানের বড় অংশকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। বন্দেমাতরম গানের দেড়শো বছর প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতায় এই সমালোচনা উঠে আসার পরেই নতুন করে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্কের তাৎপর্যটি বুঝতে হলে আমাদের সেই সময়ের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে হবে।
SIR কি NRC-র মতোই? আমাদের আশঙ্কা, “Special Intensive Revision”-এর আড়ালে National Population Register (NPR) এবং পরবর্তীতে National Register of Citizens (NRC) চালু করার পরিকল্পনা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। যদি ট্রান্স- ক্যুয়ার মানুষদের SIR থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে তাঁরা তাঁদের নাগরিকত্বের অধিকার হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন।
বাহারুল ছুটছে। পায়ের চটিজোড়া কোথায় ছিটকে পড়েছে কে জানে, খালি পায়েই উদ্ভ্রান্তের মত ছুটছে বাহারুল। এখন কি রাত্তির? না, রাত্তির হবে কি করে, ওই তো খটখটে রোদে, কালো পিচ রাস্তায়, বছর তিরিশের রুগ্ন এক যুবকের ছায়া পড়েছে, ঘামে চপচপে তার মুখখনা অবিকল আধার কার্ডের বাহারুলের মতই দেখতে।
একটি ছোট পরিবর্তন (যেমন বননিধন)➤ বড় পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে ➤যার ফলে নতুন পরিবর্তন আরও তীব্রভাবে সেই ধ্বংসকে বাড়িয়ে তোলে ➤ অবশেষে সিস্টেমটি “tipping point” অতিক্রম করে পড়ে যায় এক অপ্রত্যাবর্তনীয় সংকটে। তাই বলা যায় –এটি এমন একটি দশাবিন্দু, যেখানে কোন প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় ছোট একটি পরিবর্তন ঘটলেও সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায় রূপ নেয়। যেমন হিমালয় গ্লেসিয়ার➤ বরফ গলন➤ নদীপ্রবাহ অস্থির➤ ভূমিধস➤উদ্ভিদ ধ্বংস➤ আরও উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বরফের গলন।
দেশের অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক রভীশকুমার বলেছিলেন গোদী মিডিয়া না দেখতে। দিল্লির ক্ষেত্রে অনেকসময়ে এই কথা মেনে চললেও, বাংলার ক্ষেত্রে আমরা নানান সময়ে এই গোদী মিডিয়ার ভাষ্যেই বিশ্বাস করে থাকি। আসলে আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটাই গোদী মিডিয়া দেখায়। এটা একটা বৃত্ত, যার কোনও শেষ নেই। আমরা ভাবতে যা ভালোবাসি, সেটাই গোদী মিডিয়া আমাদের দেখায়। আমরা পাশের মুসলমান মানুষটিকে অনুপ্রবেশকারী ভাবি, কিন্তু হিন্দিভাষী মানুষটিকে ভাবি না, তাই গোদী মিডিয়াও সেটা দেখায় না।
‘উঁহু, আমি নেব না। ৪৭-এর অর্ডার ঢুকবে এখন। এটা পল্টুকে দিয়ে দে।’ মোবাইলের স্ক্রিনে রাজ সিমরানের প্রেমগাথায় মন গেঁথে রেখে, কাগজের কাপে চায়ের লম্বা চুমুক শেষ করে কথাটা বলল রাজু। ‘পল্টুর ফিরতে টাইম লাগবে। দূরে গেছে। ততক্ষণ কি কাস্টমারকে বলব বসে বসে আঙ্গুল চুষুন?’
ফ্যাসিস্ট বিজেপি-আরএসএস চায় ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে। সেই হিন্দুরাষ্ট্রের হিন্দু কোনও দলিত হিন্দু নয়। আরএসএস'এর মতে হিন্দুরাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা হবেন উচ্চবর্ণের হিন্দু। ব্রাহ্মণ। বিজেপি যতই বলুক দলিত-আদিবাসী সকলেই হিন্দু, ভারতীয় মুসলমানরাও হিন্দু– আসলে তাদের কাছে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ পুরুষেরাই হিন্দু। তাই সারা দেশে দলিত হিন্দুরা স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও প্রতিদিন উচ্চবর্ণের কাছে নির্যাতনের শিকার হন।
ফ্যাসিস্ট বিজেপি-আরএসএস চায় ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে। সেই হিন্দুরাষ্ট্রের হিন্দু কোনও দলিত হিন্দু নয়। আরএসএস'এর মতে হিন্দুরাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা হবেন উচ্চবর্ণের হিন্দু। ব্রাহ্মণ। বিজেপি যতই বলুক দলিত-আদিবাসী সকলেই হিন্দু, ভারতীয় মুসলমানরাও হিন্দু– আসলে তাদের কাছে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ পুরুষেরাই হিন্দু। তাই সারা দেশে দলিত হিন্দুরা স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও প্রতিদিন উচ্চবর্ণের কাছে নির্যাতনের শিকার হন।
‘উঁহু, আমি নেব না। ৪৭-এর অর্ডার ঢুকবে এখন। এটা পল্টুকে দিয়ে দে।’ মোবাইলের স্ক্রিনে রাজ সিমরানের প্রেমগাথায় মন গেঁথে রেখে, কাগজের কাপে চায়ের লম্বা চুমুক শেষ করে কথাটা বলল রাজু। ‘পল্টুর ফিরতে টাইম লাগবে। দূরে গেছে। ততক্ষণ কি কাস্টমারকে বলব বসে বসে আঙ্গুল চুষুন?’
ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায় এবং তপন সিংহ এই চারজন পরিচালকের কাজের মধ্য দিয়ে মৃত্যু চেতনা কখনো ব্যক্তিগত, কখনো সামাজিক, আবার কখনো ঐতিহাসিক বা দার্শনিক স্তর পেয়েছে। তাঁদের কাজগুলো ভারতীয় সিনেমাকে এক গভীর শিল্পরূপ দিয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য সর্বপ্রথম ছ বা ছো নাচের পরিবর্তে ছৌ নামে অভিহিত করেন এবং বিদেশে এই নাচের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার পরে এই নাচ ছৌ নাচ নামে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। সুধীর কুমার করণ, 'সীমান্ত বাংলার লোকযান' বইতে বলেছেন, "ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য মহাশয়ও ছৌ নামকরণের পক্ষে কোন যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
বাঙালি সমাজে কয়েক'শ বছর ধরে কালো পুরুষটিকে অসুর-মহিষাসুর যা অশুভ শক্তি, এই রূপেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু, অসুর জাতির অস্তিত্ব সিন্ধু-হরপ্পা ইত্যাদি প্রাচীন সভ্যতায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে এঁদের দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল প্রভৃতি দেশগুলোতে ভালো পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় প্রভৃতি জায়গার পাহাড়, পর্বত, বনাঞ্চল জুড়ে অসুর জাতির লোকেরা বসবাস করেন।
আজকের দিনে সোনাম ওয়াংচুক শুধু এক বন্দি নন, তিনি এক পরীক্ষার নাম। পরীক্ষাটা রাষ্ট্রেরও—কীভাবে আইন প্রয়োগ করবে। পরীক্ষাটা জনগণেরও—কীভাবে নিজেদের কণ্ঠস্বর রক্ষা করবে। বরফ জমছে, জল গোপনে গান গাইছে। একদিন সেই গান পাহাড় ছাপিয়ে সমতলেও পৌঁছাবে। তাই বরফে আটকে থাকা সোনাম ওয়াংচুকের কন্ঠস্বরকে আজ আটকে রাখা গেলেও, বেশীদিন কিন্তু তা পারা যাবে না।